ভিডিওগ্রাফি || কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল মহাবিদ্যালয়

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকতে পারাটাই সবচেয়ে বড় বিষয়! আসলে মাঝে মাঝে ভালো থাকতেও পারি না। পরিবেশ পরিস্থিতি আমাদের মাঝে মাঝে ভালো থাকতে দেয় না। তো আজ নিউজে দেখলাম বাংলাদেশে ভ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। ৫ দশমিক ৫ মাত্রার সম্ভবত ভূমিকম্পটা অনুভূত হয়েছে। কিন্তু ভূমিকম্প যে হলো টের পেলাম না। গ্রামে আসলে বুঝাও যায় না ভূমিকম্প হয়েছে কি না। তবে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে আবার বুঝা যায়। ক্লাস ফোরে থাকতে একবার কঠিন লেভেলের ভ-কম্পন দেখেছিলাম। ভয়ে তখন আমার হাত-পা কাপঁছিল! সন্ধ্যার দিকে হয়েছিল ভূমিকম্পটা। আমি তখন টেবলে বসে পড়ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই টের পেলাম কে যেন আমাকে ঠেলছে! আমি প্রথমে পাত্তা দেয়নি। পরে টেবলের নিচে দেখি কেউও নেই! আম্মা রান্না ঘরে রান্না করছিল। হঠাৎ করে বলে উঠল ভূমিকম্প হচ্ছে। আমি সোজা এক দৌড় দিয়ে উঠানে চলে গেলাম!

মাটি কাপঁছে! আমার গলা পুরো শুকিয়ে গিয়েছিল। আমাদের ঘর টিনের চালা হওয়ায় লাইটগুলো দুলছিল! কিন্তু ভূমিকম্পটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সম্ভবত দেড় মিনিটের মতো! গ্রামেই যদি এ অবস্থা হয় তাহলে শহরে কেমন হয়েছিল! আসলে প্রাকৃতিক এ দুর্যোগগুলোতে আমাদের কোনো হাত নেই। যেকোন সময় এমন প্রাকৃতিক দূর্যোগ আঘাত আনতে পারে। ভূকম্পনের যেহেতু পূর্বাভাস আগে থেকে পাওয়া যায় না তাই এ সময় কি কি করা যায় তা আমাদের জানা জরুরি। শহরে বিশেষ করে ভূকম্পনের সতর্কতা সম্পর্কে সকলের জানা উচিত আমি মনে করি। যে হারে বিল্ডিং হচ্ছে! একটু বেশি মাত্রার হলেই শেষ, আল্লাহ তায়ালা আমাদের এমন দূর্যোগ থেকে বাচাঁর তৌফিক দান করুক।

যাক, কিছুদিন আগে গুরুদয়াল কলেজে গিয়েছিলাম আপনারা ইতোমধ্যে জানেন। এরই মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি আপনাদের সাথে। তো ফটোগ্রাফির থেকে ভিডিও করলে সেখানকার অবস্থা সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভ করা যায় আমি মনে করি। তাই আমি মাঝে মাঝেই আপনাদের সাথে কোনো জায়গায় বা কোনো মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করে থাকি। আজকের ভিডিওতে গুরুদয়াল কলেজের সম্মুখ দিকটায় কিছু প্রাতিষ্ঠানিক বিল্ডিং আর ফুলের বাগান দেখতে পাবেন। গুরুদয়াল কলেজ কিন্তু আগে এতো উন্নত ছিল না। সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকেই কিশোরগঞ্জ এর সব জায়গায় বলতে গেলে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তার মধ্যে গুরুদয়াল কলেজ ভবন নির্মাণ এবং মাঠ সংস্কার অন্যতম! আগে যেটা টিনের চালের ছিল আর এখন এটা বহুতল ভবন হয়েছে।

কলেজের ভিতরে এতোসব গাছও ছিল না। বিভাগও কম ছিল। সবই এখন বেড়েছে। এখানেই কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পড়াশোনায় হয়। দিনকে দিনকে গুরুদয়াল কলেজের চাহিদাও বাড়ছে। প্রতিবছর এস এস সি পাশ করে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে আসে। পড়াশোনার মানও উন্নত। ছাত্রদের সংখ্যাও অনেক। যদিও এ কলেজে আমি পড়াশোনা করেনি তবে আমার বন্ধুদের কাছ থেকে জেনেছি কলেজ সম্পর্কে।

ভিডিও লিংক