নাটক রিভিউ: " চোখ যে মায়ের কথা বলে "

21-11-2024

০৬ ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। অনেকটা সময় পর আপনাদের মাঝে আবারো ফিরে আসলাম। এখন থেকে আপনাদের সাথে নিয়মিতই থাকবো। এই কয়েকটা দিনে দেশে ও দেশের বাইরে অনেক কিছুই হয়েছে। নতুন একটা বাংলাদেশও পেলাম। স্টিমিটে বেশকিছু ডেভেলপমেন্ট দেখতে পেলাম। পুশ মেমে কয়েন চালু করেছে দাদা। আশা করছি এটার ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে। আর আমরাও খুশি সেটার অংশীদার হতে পেরে। যাইহোক, আজকে সব কথা নয়। আজকে আপনাদের সাথে একটা নাটক শেয়ার করতে চলে এলাম। নাটকটির নাম হচ্ছে চোখ যে মায়ের কথা বলে। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

Screenshot_2024-11-21-10-44-23-41.jpg

ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট


নামচোখ যে মায়ের কথা বলে।
পরিচালনামোঃ ওমর ফারুক।
গল্পঅনামিকা মন্ডল।
প্রযোজকসোহাগ তালুকদার।
অভিনয়েখাইরুল বাশার, তানজিম সায়েরা তটিনী, শহিদুজ্জামান সেলিম, শিল্পী সরকার, বাপ্পী আশরাফ, জিম মাসুদ সহ আরও অনেকে।
আবহ সংগীততারিক তুহিন।
দৈর্ঘ্য৫০ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড।
মুক্তির তারিখ১১ই নভেম্বর , ২০২৪ ইং
ধরনসামাজিক ।
ভাষাবাংলা

চরিত্রেঃ

রবিনঃ
খাইরুল বাশার।
শিফাঃ
তানজিম সায়েরা তটিনী।


কাহিনী সারসংক্ষেপ

Screenshot_2024-11-21-10-43-06-32.jpg

Screenshot_2024-11-21-10-34-58-17.jpg

ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট

নাটকের শুরুতে দেখা যায়, শিফা সূর্যোদয় উপভোগ করার জন্য পার্কে বসে আছে। ঠিক পাশে দাঁড়িয়ে আছে রবিন। শিফা কিছুদিন আগেও আলো বাতাস উপভোগ করতে পারতো। একটা এক্সিডেন্ট এ শিফার চোখের কর্নিয়া ডেমেজ হয়ে যায়। তারপর থেকে শিফা কিছু দেখতে পারে না। তবে ডাক্তাররা বলেছে সেইম কর্নিয়া ট্রান্সফারেন্ট করলে শিফা আবার পৃথিবীর আলো বাতাস দেখতে পারবে। যায়হোক, রবিন শিফার মায়ায় পরেছে। অনেকদিন ধরেই রবিন শিফাকে ফলো করে। আর শিফাকে যে রবিন ফলো করে সেটা অনুভব করতে পারে শিফা। একটা সময় পরে শিফার সাথে রবিনের ভালো একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। রবিন শিপাকে ভালোবেসে ফেলে। রবিন তার মাকে বলে সে একটা মেয়েকে পছন্দ করে। তবে মেয়েটি অন্ধ। কিন্তু রবিনের মা এটা শুনে নাকচ করে দেয়।

Screenshot_2024-11-21-10-50-02-35.jpg

ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট

তারপর রবিন তার মাকে বুঝানোর চেষ্টা করে। মেয়েটা একটা এক্সিডেন্ট এ চোখ হারায়। তবে কর্নিয়া টার্ন্সফারেন্ট করলে আবার দেখতে পাবে। অবশেষে রবিনের মা মেনে নেয়। একদিন রবিনের মা বাজার করতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করে মাথার পিছনে প্রচন্ড আঘাত পায়। তারপর রবিনের মাকে নেয়া হয় হাসপাতালে। এদিকে রবিন অস্থির হয়ে যায় তার মাকে না পেয়ে। অনেক জায়গায় খোজাঁখুজি করে কিন্তু কোথাও তার মাকে খুঁজে পায় না। রবিনের মাকে যে হসপিটালে নেয়া হয় সে হসপিটালের প্রধান ডাক্তার আবার শিফার বাবা। শিফার বাবার সহকারী ডাক্তার জানায় রবিনের মা প্রচন্ড রকমের ব্যাথা পেয়েছে মাথার পিছনে। তবে রবিনের মায়ের চোখের কর্নিয়ার সাথে শিফার মিল পাওয়া যায়।

Screenshot_2024-11-21-10-53-08-34.jpg

Screenshot_2024-11-21-10-58-21-73.jpg

ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট

শিফার বাবার সহকারী ডাক্তার বলে যে, ভদ্র মহিলার চোখ ট্রান্সফারেন্ট করে শিফার চোখে লাগানোর জন্য। কিন্তু শিফার বাবা এতে অসম্মতি জানায়। কারণ অন্যায়ভাবে চোখ ট্রান্সফার করা ঠিক হবে না। এদিকে শিফা প্রতিদিন গিয়ে পার্কে বসে থাকে। কিন্তু রবিনের কোনো খোজঁ মিলে না। রবিন তার মাকে খুঁজে পায় না। এদিকে ডাক্তার জানায় রবিনের মা মারা গেছে। এখন চাইলেই কর্নিয়া ট্রান্সফার করতে পারবে। মেয়ের কথা চিন্তা করে তাই করতে রাজি হয়। তারপর শিফার চোখের অপারেশন হয়। তারপর থেকে শিফা আবারো দেখতে পারে। শিফা সুস্থ্য হওয়ার পর সে রবিনকে খোজার জন্য পার্কে গিয়ে বসে থাকে। একদিন রবিন শিফাকে দেখতে পেয়ে সেখানে যায়।

Screenshot_2024-11-21-11-09-14-74.jpg

ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট

রবিন ভাবে শিফা তাকে দেখতে পায় না। আর শিফা তখনই বলে যে শিফা রবিনকে দেখতে পাচ্ছে। তার চোখ অপারেশন করা হয়েছে। রবিন খুব খুশি হয় শিফাকে দেখে। কিন্তু রবিন বলে যে তার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকদিন হয়ে গেল তার মা নিখোঁজ! তারপর শিফা রবিনকে তার বাসায় নিয়ে যায়। শিফা রবিনকে তার বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর শিফার বাবা ভালো একটা চাকরির ব্যবস্থা করে রবিনের জন্য। তবে ঝামেলা হয় তখন যখন বায়োডাটা পাঠায় রবিন। সাথে তার মায়ের ছবি। আর সেটা দেখেই শিফার বাবা চুপ হয়ে যায়। কারণ রবিনের মা অনেক আগেই মারা গিয়েছে। তারপর রবিন জানতে পারে যে তার মা মারা গিয়েছে এবং তার মায়ের চোখ দুটি শিফার চোখে ট্রান্সফার করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত মতামত

ব্যক্তিগতভাবে নাটকটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। একদিকে ছেলের কাছে তার মা আপন আবার অন্যদিকে বাবার কাছে তার মেয়েটাই সব। বাবার চেষ্টার জন্যই শিফা আবার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছিল। মাঝে মাঝে সন্তানের ভালোর জন্য কিছু অন্যায় বাবারা করে। তাদের সন্তানের মুখে হাসি ফুটাতে পারলেই যেন তারা খুশি। অন্যদিকে মাকে হারানো আর মায়ের চোখ দিয়ে ভালোবাসার মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার বিষয়টি দারুণভাবে ফুটে উঠেছে।

ব্যক্তিগত রেটিং


৮.৭/১০


নাটকটির লিংক





10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 days ago 

অনেকদিন পর আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে পুরো নাটকটার রিভিউ দিয়েছেন। নাটকের গল্পটা দারুন ছিল। ভালো লাগলো পুরো রিভিউ টা দেখে। নাটকটা এখনো দেখা হয়নি তবে দেখার চেষ্টা করব। এত সুন্দর রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 5 days ago 

দেখতে পারেন ভালো লাগবে আশা করি।

 5 days ago 

নাটকের গল্পটি ভীষণ ভালো লাগলো। আজ আপনি আমাদের সাথে দারুন একটি নাটক রিভিউ করে শেয়ার করেছেন। তটিনী এ সময়ের জনপ্রিয় একজন নাটক অভিনেত্রী। তটিনীর অভিনীত প্রত্যেকটি নাটক আমার খুব পছন্দের। সুন্দর নাটকটি সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ।

 5 days ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য 🌸

 5 days ago 

সময়ের কারণে যদিও নাটক খুব একটা দেখা হয় না, তবে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য চেষ্টা করি। এই নাটকের কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আমি ভাবছি সময় পেলেই নাটকটা আমি দেখবো। আশা করছি আপনি প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাবেন। অনেক ধন্যবাদ এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।

 5 days ago 

জি ভাইয়া প্রতিনিয়ত চেষ্টা করবো দারুণ সব নাটক আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য 🌼

 5 days ago 

বেশ ভালো লাগলো নাটকটির কাহিনী। এই নাটক টি সম্পর্কে আগেই জেনেছিলাম এক ফ্রেন্ডের কাছ থেকে, দেখতে বলেছিলো। আপনার পোষ্ট পড়ে কাহিনী সংক্ষেপ জানা হয়ে গেলো। আপনি গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ ।

 5 days ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ দিদি

 5 days ago 

আপনার নাটক রিভিউ দেখে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো। এই নাটকটি আমি কিন্তু দেখিনি আজকে আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে দেখা হয়ে গেল। আমি কিন্তু সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তেমন দেখা হয় না। মাঝেমধ্যে আপনাদের রিভিউ গুলো দেখলে বেশ ভালো লাগে। পরবর্তী সময় করে আপনার নাটকটি দেখার চেষ্টা করব।

 5 days ago 

ধন্যবাদ আপনাকে আপু

 4 days ago 

অনেক সুন্দর একটা নাটকের কাহিনী পড়লাম আপনার আজকের এই রিভিউ পোষ্টের মাধ্যমে। আমার কাছে এরকম নাটক গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। তাইতো আমি সময় পেলে নাটকগুলো দেখার চেষ্টা করি। তবে এখনো পর্যন্ত এই নাটকটা আমি দেখিনি। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটা দেখব। অনেক সুন্দর কিছু বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই নাটকের মধ্যে।

 4 days ago 

নাটকটা দেখতে পারেন আপনার কাছে ভালো লাগবে আপু 🌸

 4 days ago 

আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করছেন। যদিও খাইরুল বাশারের নাটক গুলো আমার দেখা হয় না। তবে এইরকম তার কিছু কিছু নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগে। সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 4 days ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য 🌼