পড়ন্ত বেলায় কিছুসময়!
05-02-2025
২৩ মাঘ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই হলো প্রথম কথা। দিন যতই যাচ্ছে মানসিকভাবে ততই যেন দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। আসলে তার প্রধান কারণ হলো সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহার। সোস্যাল মিডিয়ার প্রভাব আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত পরছে আসলে। সোস্যাল মিডিয়ার লাইফটাকে আমরা রিয়েল লাইফের সাথে মেলানোর চেষ্টা করি। যার কারণে হয়কি আমরা মানসিক অশান্তিতে পরে যায়। তো মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে মাঝে মাঝে প্রকৃতির সন্নিকটে যেতে হয়। ইট পাথরের শহরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা সময় কাটানো আসলে বিলাসিতার মতো। সারাদিন আসলে রুমের ভিতরে বসে থাকতে মোটেও ভালো লাগে না। তার উপর মাথা ব্যথার জন্য বের হতে পারেনি। সকাল থেকে শুরু হয় ব্যথা যেটা দুপুর অবধি।
কিছুটা সুস্থ্যতাবোধ করার পর মেসের ছোট ভাইরা বলেছিল বিকালে রেল গেইট থেকে ঘুরে আসার জন্য। তারা আসলে এডমিশন ক্যান্ডিডেট। ঠিক কিছুদিন আগেও তাদের পজিশনে আমি ছিলাম। পড়াশোনা করে আসলে ক্লান্তি কাজ করে। সারাদিন পড়াশোনা করা ধৈর্যের একটা ব্যাপার। তবে মাঝে মাঝে রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য প্রকৃতির কাছে যেতে হয় আমাদের। রুমের ভিতর থেকে আমারই খারাপ লাগছিল ভীষণ। তো বিকালে চলে গেলাম ছোট ভাইদের নিয়ে গেইটে। উত্তরবঙ্গের যতগুলো ট্রেন আসে সবগুলো জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে ঢাকা যায়। বলতে গেলে বিজি রোড এটা। বিকালবেলায়ও ট্রেন চলাচল দেখতে পাওয়া যায়। আমরা যখন ট্রেনের রাস্তা দিয়ে হাটঁছিলাম তখন দেখতে পেলাম একটা ট্রেন আসছিল। ট্রেনের রাস্তা দিয়ে হাটাঁর সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কখন ট্রেন এসে বলা যায় না।
রেললাইন থেকে আমাদের ডুয়েট সেকেন্ড ক্যাম্পাসটা দেখা যায়। রিসেন্টলি ক্যাম্পাসটা চালু হয়েছে। সেকেন্ড ক্যাম্পাসের আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। দূর থেকে দেখতে ভালোই লাগছিল আসলে। রেল লাইনের পাশে সবুজ প্রকৃতি। ছোট ভাইদের সাথে অনেকদিন পর রেল লাইনে হেটেঁ তো বেশ ভালো লাগছিল।
রেললাইনের পাশে আগে অনেক গাছ ছিল। অনেকদিন পর গেলাম। গাছ কমে গেছে। রাস্তা পরিষ্কার করার কাজে পাশের গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। তবে প্রকৃতি ক্ষয় করে আমরা কিন্তু ভালো নেই! রেললাইনে কিছুক্ষণ হাটাঁর পরে সন্ধ্যার পূর্বেই মেসে চলে আসি।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | W3w |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet