তীরে এসে তরি ডুবলো রাজশাহীর!
20-01-2025
০৭ মাঘ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকাটাই হলো মূখ্য বিষয়। আপনারা হয়তো অবগত আছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) হচ্ছে। দেখতে বেশ কিছু ম্যাচ চলে গেল। এবারের বিপিএলের ম্যাচগুলো যথেষ্ট উত্তেজনার মধ্যে দিয়েই হচ্ছে। আগে যারা ব্যাটিং করছে সে দল স্কোরবোর্ডে ভালো একটা টোটাল সংগ্রহ করতে পেরেছে। তো আজকে আমি আলোচনা করবো বিপিএলের ২৬ নাম্বার ম্যাচ নিয়ে। সে ম্যাচটিতে মুখোমুখি হয়েছিল দূর্বার রাজশাহী বনাম খুলনা টাইগার্স! দুটিমই এভারেজ জিতেছে এখন অবধি। প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে আছে খুলনা টাইগার্স! তো গত ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা টাইগার্স!
ব্যাটিং এ নামে নাইম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজ! নাইম শেখ আগের ম্যাচেও ভালো পারফর্ম করেছিল। তবে ব্যাটে কনসিসটেন্সি নেই। এজন্য সে জাতীয় দল থেকেও বাহিরে রয়েছে। ইনিংসের শুরুটা দারুণভাবে করে নাইম শেখ ও মিরাজ। পাওয়ার প্লে এর প্রথম চার ওভারেই ৪১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। তবে ঠিক আগের বলেই নাইম শেখ জিসানের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপরে মাঠে আসে আফিফ হোসেন। আফিফ হোসেনের খেলা এখন অবধি তেমন দেখা হয়নি। তবে আফিফের হিটিং ক্যাপাবিলিটি বেশ ভালো। মাঠে থাকতে পারলে রান আসে। আফিফ নামার পরে মিরাজ তাকে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ গড়ার ট্রাই করে। তবে তাসকিনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মিরাজকে। তারপরে মাঠে আসে এলেক্স রোজ। কিন্তু ভুল বুঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে রোজ। দলীয় ৬০ রানেই তিন উইকেট হারায় খুলনা টাইগার্স। তারপর মাঠে আসে বসিস্তো! বসিস্তো অস্ট্রেলিয়ান একজন ক্রিকেটার!
বসিস্তোকে নিয়ে আফিফ ১১৩ রানের চমৎকার এক পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করে। তবে তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে দলীয় সংগ্রহ যখন ১৭৩ রান। শেষে অংকনের ১২ বলে ৩০ রানের চমৎকার ইনিংসের কারণে শেষ অবধি খুলনা টাইটানস ২০৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। ২০৯ রান চেইস করা টাফ! তবে এবার যেহেতু ব্যাটিং পিচ করা হয়েছে তার জন্য এটা চেইস করা কঠিনও না। দেখার বিষয় ছিল দূর্বার রাজশাহীর ব্যাটাররা কেমন ব্যাটিং করে। ব্যাটিং করতে নামে জিসান ও হারিছ। হারিছ আগের ম্যাচগুলোতে ভালো পারফর্ম করেছিল। মাঠে থাকতে পারলে রান হয়। রাজশাহীর শুরুটা ভালোই হয়েছিল। তবে খুলনা টাইটান্স ও কিছু চান্স মিস করে! দলীয় সংগ্রহ যখন ৪৭ রান তখন জিসান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে।
তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন বিজয়। বিজয়ের এবারের ক্যাপ্টেন্সি ভালোই যাচ্ছে। তবে ব্যাট হাতে তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারছে না। বিজয় হারিছকে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেছিল। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ৬২ রান তখন হাসান মাহমুদের বলে মিডঅনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়। আবু হায়দার রনি দারুণ ক্যাচটা ধরে নেয়। তারপর মাঠে আসে ইয়াসির আলী। ইয়াসির আলীর পারফর্মেন্স ভালোই যাচ্ছে। তো এনামুল হকের সাথে একটা পার্টনারশিপ গড়ার তৈরি করেছিল। কিন্তু ইয়াসির আলীও আবু হায়দার রনির বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যায়। এদিকে বিজয় ইনিংসটা চালিয়ে যেতে থাকে। মাঠে আসে রায়ান বার্ল! কিন্তু রায়ান বার্ল কে নিয়ে তীরে এসে তরি ডুবালো রাজশাহী। শেষ ১ ওভারে ১৭ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বিজয়ের ব্যক্তিগত শতক হাকাঁলেও ম্যাচটি হেরে যায় দূর্বার রাজশাহী। ম্যান অফ দা ম্যাচ হয় হাসান মাহমুদ।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Twitter share
Puss tweet
এবারের বিপিএল খেলা দেখছি খুবই সুন্দর হচ্ছে। এতটা জমজমাট খেলা হচ্ছে সেটা তো আমি লক্ষ্যই করেছিলাম না। রাজশাহীর আসলেই কপাল খারাপ তীরে এসে তরী ডুবে গেল।
আসলে ওইদিন হয়তো তাদের কপাল খারাপ ছিলো। কিন্তু অনেক চেষ্টা ছিলো তাদের ম্যাচ টি জিতার।যাইহোক বিজয় কিন্তু দারুণ একটি ইনিংস খেলছে, আর একটু চেষ্টা করলেই হয়তো ম্যাচ টি জিততে পারতো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।