নাটক রিভিউঃ " ব্যাথার বাগান "

---

🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼

*কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তো আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে একটি নাটক শেয়ার করার জন্য। নাটকটির নাম হচ্ছে ব্যাাথার বাগান। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।

_{^{ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট}}

---

নাম	ব্যাথার বাগান।
পরিচালনা	ইফফাত জাহান মম।
স্ক্রিপ্ট	কিংখর আহসান।
প্রযোজক	মোঃ কামরুজ্জামান।
অভিনয়ে	তৌসিফ মাহুবুব, আয়শা খান, কিংখর আহসান সহ আরও অনেকে।
আবহ সংগীত	জাহিদ নীরব।
দৈর্ঘ্য	৪৮ মিনিট।
প্লাটফর্ম	ইউটিউব।
মুক্তির তারিখ	১২ই ফেব্রুয়ারি , ২০২৫ ইং
ধরন	রোমান্টিক, সামাজিক ।
ভাষা	বাংলা

---

চরিত্রেঃ

আদনানঃ

তৌসিফ মাহবুব।

আয়েশাঃ

আয়শা খান।

---

কাহিনী সারসংক্ষেপ

_{^{ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট}}

নাটকের শুরুতে দেখা যায়, আদনান নুডলস তৈরি করছে। আর সেটা ইন্সটাগ্রামে আপলোড করে। ঠিক তখন তার ইন্সটাগ্রামের ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা একটি মেয়ে যার নাম আয়েশা পোস্ট করে ' I Quite '। আর যেখান থেকে মেয়েটি পোস্ট করে সেটা আদনানের বাসার আশেপাশেই ছিল। ঠিক তখন আদনান মেয়েটির বাসা খোজাঁখুজি করতে থাকে। অবশেষে মেয়েটির বাসাটা খুঁজে পায়। বাসার ভিতরে গিয়ে দেখে বাসার সবাই আয়েশাকে নিয়ে টেনশন করছে। কারণ সে সুইসাইডের চেষ্টা করেছিল। আদনান তারপর বলে সে ইন্সটাগ্রামে দেখে এসেছে।
কিছুদিন পর একটা ক্যাফেতে দেখা হয় মেয়েটার সাথে। মেয়েটার সাথে ছিল তার প্রিয় বিড়াল। যার নাম রেখেছিল কিট্টি!

_{^{ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট}}

তারপর দুজনের মাঝে পরিচয় করে জানতে পারে যে সে বাচাঁতে গিয়েছিল তাকে। আয়েশা তখন তাকে ধন্যবাদ দেয়। তারপর আয়েশা আদনানকে ট্রিট দিতে চাই। কিন্তু আদনান সে আরেকদিন ট্রিট খাওয়ার জন্য বলে। আর যখন ওয়েটারকে ডাকে বিল দেয়ার জন্য। তখন আয়েশার বিল আগেই দিয়ে দেয় আদনান। কিন্তু আয়েশা জানতো না যে ক্যাফেটা আদনানের। তারপর জানতে পারে যে এটা আদনানের। তারপর থেকে দুজনের মধ্যে ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। তাদের সম্পর্কের একটা পর্যায়ে এসে আদনান জানতে চেয়েছিল সেদিন কেন সুইসাইড করতে চেয়েছিল? আয়েশা একটা ছেলের সাথে রিলেশন ছিল। দুজনের ভালো লাগা মন্দ লাগার ব্যাপারগুলো শেয়ার করতো সবসময়। একটা সময় পরে এসে আয়েশা জানতে পারে ছেলেটা বিবাহিত!

_{^{ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট}}

এটা জানার পর আয়েশা টোটালি শকড! কিন্তু ছেলেটা আয়েশাকে ছাড়তে চাই না। কারণ ছেলেটি তার বউয়ের সাথে হ্যাপি ছিল না। আয়েশাকে ছেলেটি বলেছিল সে তাকে না পেলে সুইসাইড করবে। তখন আয়েশার সাথে সম্পর্কটা আবার শুরু হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই জানতে পারে ছেলেটি তার বউয়ের সাথে হ্যাপি আছে এবং চার বছরের একটা বাচ্চাও আছে। তারপর আয়েশা এতোটাই ভেঙে গিয়েছিল যে সে সুইসাইড করতে চেয়েছিল। আদনান আয়েশার গল্পটা শোনার পর বুঝতে পারে। কিন্তু আয়েশাকে বলে নতুনভাবে জীবনটা আবার শুরু করার জন্য। আয়েশা ও আদনানের সম্পর্কটা পরিণত হয় ভালোবাসায়। হঠাৎ একদিন আয়েশা শাড়ি পরে আদনানের বাসায় এসেছিল সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য। কিন্তু এসে জানতে পারে আদনান বাড়িটা বিক্রি করে চলে গিয়েছে। ক্যাফেতে যায়। সেখানে গিয়েও জানতে পারে ক্যাফেটাও আদনান বিক্রি করে চলে গেছে।

_{^{ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট}}

এদিকে আয়েশা খুব ভেঙে পরে। কেন বারবার তার সাথেই এমন হয়? তার অবস্থা দেখে আয়েশার বাবা বলে তার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে বিয়েটা করতে। কিন্তু আয়েশা তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে কখনো ঐ ভালোবাসার চোখে দেখেনি। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আয়েশার বেস্ট ফ্রেন্ড খোজঁ নিয়ে জানতে পারে আদনান অস্ট্রেলিয়া চলে যাচ্ছে। তার বাবা স্ট্রোক করেছে। যেহেতু আয়েশাকে সে ভালোবাসে এবং সে যদি অস্ট্রেলিয়া যেতে না চায় তার কিট্টিকে ছাড়া। তাই আগেই তার জীবন থেকে চলে আসার চেষ্টা করেছিল। অবশেষে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পথেই আদনানের সাথে দেখা হয় আয়েশার। তারপর দুজনের ভালোবাসার মেলবন্ধনের মধ্যে দিয়েই নাটকটির সমাপ্তি ঘটে।