নাটক রিভিউঃ " বসন্তবৌরি "
21-02-2025
০৯ ফাল্গুন , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼 আসসালামুআলাইকুম সবাইকে 🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো আজকের দিনে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সকল ভাষা শহীদদের। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পেলাম বাংলা ভাষায় কথা ও লেখার সুযোগ। তাদের এ ঋণ আমরা কখনোই ভুলতে পারবো। বাংলা ভাষা আমাদের গর্ব, বাংলা ভাষা আমাদের অহংকার। আজকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমরাই একমাত্র জাতি যারা কিনা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। তাদের অবদান ভুলবার নয়। আমাদের উচিত বাংলা ভাষাটাকে বুকে লালন করা এবং এ ভাষার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা। তো আজকে যেহেতু শুক্রবার ছিল। আমি চেষ্টা করি এ দিনটাতে একটা নাটক আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আজকে যে নাটকটি শেয়ার করবো সেটির নাম হচ্ছে বসন্তবৌরি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাম | বসন্তবৌরি। |
---|---|
পরিচালনা | মিশুক মিঠু। |
স্ক্রিপ্ট | জাহান সুলতানা। |
প্রযোজক | মোঃ কামরুজ্জামান । |
অভিনয়ে | খাইরুল বাশার, তানজিন তিশা, শমু চৌধুরী, আব্দুল্লাহ রানা, মিলি বাশার, শিল্পী সরকার সহ আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | রায়হান ইসলাম শুভ্র ও আতিয়া আনিসা। |
দৈর্ঘ্য | ৪১ মিনিট ২২ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ১৮ই ফেব্রুয়ারি , ২০২৫ ইং |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব। |
ধরন | রোমান্টিক, সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
পলাশঃ
খাইরুল বাশার।শিমুঃ
তানজিন তিশা।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, মতিন সাহেবের পরিবার নিয়ে পলাশদের বাড়িতে আসে। মতিন সাহেব একজন সরকারি চাকরিজীবী। চাকরির সুবাধে বিভিন্ন জায়গায় ট্রান্সফার হতে হয়। এবার পলাশদের গ্রামে ট্রান্সফার হয়েছে। বাড়িতে আসতেই পরিচয় হয় পলাশের সাথে। মতিন সাহেবের মেয়ের শখের প্রাণী আছে। যেটা একটা মোরগ। যার শব্দে শিমুর প্রতিদিন ঘুম ভাঙে। শিমু সে মোরগটাকে আদর করে নাম দিয়েছে আইনস্টাইন। সাথে করে আইনস্টাইনকে সবসময় নিয়ে আসে শিমু। পলাশ প্রথম দিন দেখেই শিমুকে মোরগী ওয়ালী বলে ডাকে। পলাশদের বাড়ির দুতলায় ভাড়া নিয়েছে শিমুর পরিবার। শিমুর সামনে এডমিশন পরীক্ষা। আর মাত্র দেড়মাস বাকি। আর সে জন্য সে সবসময় পড়াশোনা করে। এদিকে পলাশ পড়াশোনা না করে ঘুমায়। এজন্য তার বাবা তার উপর রেগে থাকে। পলাশকে বলে পাশের বাসার মেয়েটার কাছ থেকে কিছু শেখার জন্য।
পলাশ ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। শিমু জোরে জোরে সাউন্ড করে পড়াশোনা করে তার জন্য। আবার রাতে আইন্সটাইনের ডাকে ঘুম ভেঙে যায়। এ নিয়ে পলাশ ঝামেলায় থাকে। তখন পলাশ ও তার বন্ধু মিলে প্লেন করে শিমুকে একটা শিক্ষা দেয়ার জন্য। শিমু একদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। পলাশ ও তার বন্ধু পথ আটকিয়ে বলে এতো জোরে জোরে সাউন্ড করে না পড়ার জন্য। কারণ তার ঘুমের ডিস্টার্ব হয়। কিন্তু শিমু তার কোনো কথায় পাত্তা দেয়নি। বরং বলে সে আরও জোরে জোরে পড়বে। তখন পলাশ তাকে হুমকি দেয়। যদি সে বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে তার আইন্সটাইনকে পুড়িয়ে খেয়ে ফেলবে! তারপর এটা শোনে শিমু কেঁদে কেঁদে তার বাবাকে বলে। তারপর তার পরিবার পলাশের বাসায় গিয়ে বিচার দেয় যে তার আইন্সটাইনকে খেয়ে ফেলবে। শিমুর বাবা তখন নানান ধরনের কথা শোনায় পলাশের বাবাকে। তারপর পলাশের বাবা পলাশকে মাইর দেয়।
তারপর পলাশ সিদ্ধান্ত নেয় শিমুকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। পলাশ রাতের আধারে গিয়ে শিমুর আইন্সটাইনকে চুরি করে ফ্রাই বানিয়ে খেয়ে ফেলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার আইন্সটাইন নেই। তখন পলাশের বাসায় যায় শিমু। কেন তার আইন্সটাইনকে খেয়ে ফেলেছে সে! পলাশ তখন মিথ্যা বলে। ঠিক তখন শিমুর বাবাও সেখানে আসে। তখন শিমু খসে পলাশকে থাপ্পর মারে। তারপর সেখানে হট্রগোল শুরু হয়ে যায়। এদিকে শিমুর এডমিশন টাইম চলে আসে। এডমিশন পরীক্ষার সময় তার বাবা যখন শিমুকে দিতে যায় তখন হঠাৎ করেই শিমুর বাবা অসুস্থ হয়ে পরে। পলাশ ও তার বন্ধু মিলে শিমুর বাবাকে হসপিটালে নিয়ে যায়। শিমু মেডিকেলে চান্স পেয়ে যায়। একদিন সকালে উঠে দেখে শিমুর আইন্সটাইন তার খাচায় রয়েছে। তারপর থেকে শিমুর পলাশের প্রতি ভালোলাগা শুরু হয়। দুজনের মাঝে তৈরি হয় বন্ধুত্ব হয়। শিমু চান্স পেয়ে যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে।
শিমুর পরিবার ঢাকা চলে যাবে। তার বাবার ট্রান্সফার আবার হয়েছে। পলাশের সাথে হয়তো শিমুর কখনো দেখা হবে না। শিমুর এটা ভেবে ভীষণ খারাপ লাগছে। জীবনের প্রথম ভালোবাসা শিমুর। সে কখনো ভুলতে পারবে না। শিমুর পরিবার চলে যায় ঢাকায়। সেখানে শিমুর পড়াশোনা ভালো চলতে থাকে। আর শিমু ডাক্তার হয়ে যায়। হঠাৎ একদিন ফোন আসে শিমুর ফোনে। চাকরিটা পেয়ে গেছে পলাশ। এখন বিয়ে করতে আপত্তি নেই তো?
ব্যক্তিগত মতামত
ব্যক্তিগতভাবে নাটকটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। নাটকের সংলাপ থেকে শুরু করে দৃশ্য সবকিছুই দারুণ ছিল। নাটকটিতে তানজিন তিশার ছোট মানুষী যে অভিনয় সেটা ভালো ছিল। জীবনে প্রেম একবারই আসে। আর সে প্রেম কখনো ভুলার। কোনো এক বসন্তে প্রেম আবার মিলিত হয়। পলাশ ও শিমুর জীবনের প্রেম যেন বসন্তেই মিলেছে। সবমিলিয়ে নাটকটি উপভোগ করার মতো ছিল।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Twitter share
Puss tweet
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।কিছুদিন আগে এই নাটকের ট্রেইলার আমি দেখেছি যা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।তবে নাটকটি ডাউনলোড করব ভাবছি ভাবছি করে এখনো ডাউনলোড দিতে পারিনি।যাইহোক আপনার নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
নাটকটি আসলে উপভোগ করেছিলাম আসলে অনেক। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আজকে ছুটির দিন ছিলো বাসায় ছিলাম। বসন্তবৌরি নাটকটি দেখলাম ভালো লেগেছে। আপনি দেখি চমৎকার ভাবে রিভিউ করেছেন ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাইয়া নাটকটি উপভোগ করার মতো ছিল।
নাটকটি আমার এখনো দেখা হয়নি।আপনার রিভিউ দেখে যা বুঝলাম নাটকটি খুবই সুন্দর। নায়ক নায়িকার নাম আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো।ছোটখাটো খুনসুটি তে ভরা নাটকটি খুবই ভালো লাগলো। তবে ভাইয়া আমার মনে হয় না প্রেম জীবনে একবার আসে। প্রেম জীবনে বার বার আসে। তবে প্রথম প্রেম সব সময় মনে থেকে যায়। সময় পেলে নাটকটি অবশ্যই দেখবো। নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলেই প্রথম প্রেম মনে থেকে যায়। নাটকটি সময় পেলে দেখতে পারেন।
আসলে ভালোবাসার নাটকগুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। আর আপনি যে নাটকটি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং নাটকের প্রত্যেকটি ঘটনা অল্পের মধ্যে প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে নাটকটির রিভিউ করে মনে হয় প্রায় অর্ধেকের বেশি নাটক দেখা হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ইউটিউবে নাটক দেখার চেষ্টা করব।
নাটকটি দেখতে পারেন আশা করছি নাটকটি উপভোগ করতে পারবেন।
আপনি তো দেখছি আজকে আমার খুবই পছন্দের নায়ক নায়িকার নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছেন। এই নায়ক এবং নায়িকা আমার অনেক বেশি পছন্দের। তাদের বেশিরভাগ নাটকই আমার দেখা হয়েছিল। তবে এখন আর ব্যস্ততার জন্য তাদের নাটক খুব একটা দেখা হয় না। কিন্তু আজকে আপনি এত সুন্দর করে তাদের এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে পড়তে। " বসন্তবৌরি " নাটকের পুরো কাহিনীটাকে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
নাটকটি ভালো লাগার মতোই ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার নাটকের রিভিউ টা পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে দারুন ছিল নাটকটা। তাছাড়া তানজিন তিশা নাটক গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে অনেক আগে থেকেই। বর্তমানে নাটক দেখার সময় সেরকম হয়ে ওঠে না কিন্তু নাটক রিভিউ পোস্টগুলোর মাধ্যমে নাটকের গল্প গুলো জেনে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সময় পেলে নাটকটা দেখতে পারেন। আশা করছি আপনি উপভোগ করতে পারবেন
আরে বাহ্ খুব সুন্দর ছিল তো বসন্তবৌরি নাটকটার পুরো কাহিনী। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এই নাটকের রিভিউটা পড়তে। এই নাটকের মধ্যে নায়ক নায়িকা দুইজনে অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে। এই নাটকের শেষের মুহূর্তটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আমি তো ভাবছি সময় পেলে নাটকটা দেখব।
এটা ঠিক বলেছেন আপু। শেষের মুহূর্তটা দারুণ ছিল নাটকটিতে।