দূর্বার রাজশাহীর দারুণ জয়!
27-01-2025
১৪ মাঘ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকাটাই হলো সবচেয়ে বড় বিষয়। আপনারা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন। তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর নিশ্চয় রাখেন। তো আমি ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। মাঝে মাঝে সময় পেলে ক্রিকেট খেলা দেখার চেষ্টা করি। তো আপনারা জানেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলছে। ২য় রাউন্ডের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যে। আজকে চলে এলাম বিপিএলের ৩৪ তম ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ৩৪ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রংপুর রাইডার্স বনাম দূর্বার রাজশাহী। এবারের বিপিএলে রংপুর রাইডার্স এখন পর্যন্ত আনবিটেন। কোনে ম্যাচই তারা হারেনি। দেখার বিষয় ছিল দূর্বার রাজশাহীর সাথে কেমন করে।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর রাইডার্স। দূর্বার রাজশাহীর টিমটা শুরু থেকেই অগোছালো ছিল। তাদের বকেয়া টাকা নিয়েও বেশ ঝামেলা চলছিল। গতকাল যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সেখানো কোনো বিদেশী প্লেয়ার ছিল। সব দেশী প্লেয়ার দিয়ে টিম সাজিয়েছেল। তাসকিনের ক্যাপ্টেন্সির নেতৃত্বে মাঠে নামে দূর্বার রাজশাহী। শুরুতে ব্যাটিং করতে নামে জিসান আলম ও সাব্বির হোসেন। দুজনে লিস্ট এ ক্রিকেটে ভালো খেলেছে। দূর্বার রাজশাহীর শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। তৃতীয় ওভারেই একটি উইকেট হারায় রাজশাহী। সাইফুদ্দিন এর বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় জিসান আলমকে। তারপর ব্যাটিং করতে আসে এনামুল হক বিজয়। দলীয় সংগ্রহ যখন ২০ রান তখন সাব্বির হোসেন ডাউন দা ট্র্যাকে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্প আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে।
তারপর মাঠে আসে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এনামুল হক বিজয় মৃত্যুঞ্জয়কে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করার চেষ্টা করে। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ যখন ৪৩ রান তখন মৃত্যুঞ্জয় আউট হয়ে যায়। খেলার পিচ দেখে মনে হচ্ছিল বোলিং পিচ। কারণ ব্যাটাররা যথেষ্ট স্ট্রাগল করছি খেলতে। একের পর এক রাজশাহীর উইকেট হারাতে থাকে। দলীয় সংগ্রহ যখন ৬৮ রান তখন ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তারপর শেষের দিকে সানজামুল এর ২৮ রানের সুবাধে ১১৯ রান করতে সমর্থ হয় দূর্বার রাজশাহী। এবারের বিপিএলে এটাই মনে হয় লোয়েস্ট টোটাল ছিল। ১১৯ রান চেইস করে জেতাটা রংপুরের জন্য সহজ ধরে নিয়েছিলাম। তবে দেখার বিষয় ছিল রাজশাহীর বোলাররা কেমন বল করে।
রংপু টিমে ইনজুরি কাটিয়ে সৌম্য সরকার যোগদান করেছে। সেদিক দিয়ে তারা আরও স্ট্রং হয়েছে। শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে স্টিভেন টেইলর ও সৌম্য সরকার। ওভারেই শুরুতেই আউট হয়ে যায় টেইলর! প্রথম উইকেটটি তুলে নেয় তাসকিন। তারপর মাঠে আসে সাইফ হাসান। সাইফ হাসানের পারফর্মেন্স সাম্প্রতিক কালে ভালো যাচ্ছে। আগের ম্যাচগুলাতে ভালো পারফর্মেন্স করেছে সাইফ হাসান। কিন্তু সাইফ হাসান ব্যর্থ হয়। দলীয় সংগ্রহ যখন ৯ রান তখন মৃত্যুঞ্জয় এর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরতে হয়। তারপর ব্যাটিং করতে আসে ইফতিখার আহমেদ। ইফতিখার আহমেদ ও সৌম্য সরকার দুজনেই মাঠে স্ট্রাগল করতেছিল। দলীয় সংগ্রহ যখন ২৩ রান তখন সৌম্যও আউট হয়ে যায়। বলতে তখন থেকে রংপুর রাইডার্স চাপে পরে যায়। তারপর মাঠে আসে মেহেদী হাসান।
মেহেদী হাসান নামার পরে সেও ব্যর্থ হয়। শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান। কিন্তু নুরুল হাসানও ব্যর্থ হয়। দলীয় সংগ্রহ যখন ৪৯ রান তখন রংপুর রাইডার্সের ৭ উইকেট চলে যায়। সেখান থেকে খেলায় জয় ছিনিয়ে আনাটা কঠিন ছিল। তবে শেষের দিকে সাইফুদ্দিন এর হার না মানা ৫২ রানের ইনিংসের সুবাধে ১১৭ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। ২ রানের ব্যবধানে হেরে যায় রংপুর রাইডার্স। ম্যান অফ দা ম্যাচ সিলেক্ট হয় মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet
একটানা দুই ম্যাচ রংপুর কে হারিয়ে দুর্বার রাজশাহী বিপিএল ড্যাশবোর্ডে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আশা করছি পরবর্তী ম্যাচ গুলো রাজশাহী ভালো কিছু বয়ে আনতে পারবে। রাজশাহীর জন্য শুভকামনা রইল।
রাজশাহী ভালো খেলছিল তাই ম্যাচটি জিততে সহজ হয়েছে।
এরকম লো স্কোরিং ম্যাচে শুরুতে ভেবেছিলাম খুব সহজেই রংপুর রাইডার্স জয় ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু এটা সত্যি যে ক্রিকেট একটি অনিশ্চয়তাময় গৌরবের খেলা। আর সেটাই দিনশেষে প্রমাণিত হলো। মাত্র দুই রানে পরাজিত হলো রংপুর রাইডার্স। সত্যিই এবারের বিপিএলের দারুন একটি ম্যাচ এটা।
আমিও আপনার মতো ভেবেছিলাম হয়তো রংপুর জিতে যাবে। কিন্তু ফলাফল তা হয়নি
সাইফুদ্দিন আমার পছন্দের একজন খেলোয়াড়। বরাবরই সে বোলিং এবং বেটিং দুটোই চমৎকার করে। এই ম্যাচেও দুর্দান্ত একটি ব্যাটিং উপহার দেওয়ার পরেও আমাদের রংপুর হেরে যায় মাত্র দুই রানের জন্য। শুরুর দিকটা যদি একটু ভালো হতো তাহলে রংপুর জিতে যেতো। রাজশাহীর সাথে দুটি ম্যাচই আমাদের রংপুর হেরে গেলো। খুবই সুন্দর করে রিভিউ করেছেন ভাই রাজশাহী এবং রংপুরের মধ্যে হওয়া ম্যাচটি। খুবই ভালো লাগলো আপনার রিভিউ টি পড়ে,ধন্যবাদ।
শেষের দিকে আর একটা বল থাকলেই ম্যাচটা জিতে যেত। সাইফুদ্দিন ভালো ব্যাটিং করেছিল।