বর্তমান সময়কে উপভোগ করতে শিখুন
02-03-2025
১৮ ফাল্গুন , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
০২ রমজান,১৪৪৬
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
মানুষের জীবনে তিনটা সময় থাকে। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ! তবে আমাদের জীবনের অতীত কারো হয় ভালো হয় আবার কারো খারাপ হয়। বেশিরভাগ মানুষের অতীত ঘাটলে দেখা দেখা যাবে তাদের বেশিরভাগ সময়ই খারাপ কেটেছে। তাই বলে কি জীবন থেমে থেকেছে? জীবন কিন্তু জীবনের নিয়মেই চলছে। অতীতের সময়গুলো আমাদেরকে বেশি দুঃখ দেয়। আমরা নিজেকে শান্ত করতে পারি না। অতীতে ছোট্র কোনো ভুলের মাশুল এখনও আমাদের দিতে হয়। মনে হয় অতীতে এই ভুল না করলেই ভালো হতো। কিন্তু কথা হলো আপনি ভুল না করলে শিখবেন কিভাবে?
জীবনে উত্থান পতন থাকবেই। এটাই জীবনের নিয়ম। আমরা করি কি অতীত নিয়ে বেশি টেনশন করে ফেলি আবারও এমনও কিছু মানুষ আছে যারা ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি ভেবে ফেলে। এই যেমন ধরেন আগামী এক বছরে সে পাচঁতলা বাড়ি বানাবে! অনেক টাকার মালিক হবে! এখন কথা হলো আপনি যে এক বছর বাচঁবেন এ গ্যারান্টি কি আছে! কেন আপনি ভবিষ্যৎ এর জন্য চিন্তা করছেন। তাহলে এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে তাহলে কি জীবনের কোনো প্লেনই করবো না? উত্তর হলো হ্যা। আপনি অবশ্যই জীবনের একটি প্লেন করে আগাবেন। তবেই আপনার জীবন সুন্দর হবে।
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন ছোট ছোট জিনিসগুলাতে আনন্দ পেতাম। এই যে এক টাকার চকলেট, দুই টাকার বেলুন, এক টাকার বাবল গাম, এক টাকার ললিপপ ইত্যাদি ইত্যাদি! আমাদের সুখের মূল্য ছিল তখন এক টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। একটার চকলেট পেলেই হয়ে যেতাম মহাখুশি! মনে হতো আমার থেকে আর কেউ খুশি না! যতই বয়স বাড়ছে ততই সুখের মূল্য কিন্তু বাড়ছে। এখন চকলেট দিলে খুশি হয় না, এখন রেস্টুরেন্ট এ খেলে খুশি হয়। আগে স্যান্ডেল পরেই খুশি হতাম। আর এখন লুফার জুতা পরেও মনে হয় অখুশি থাকি ।
বয়সের সাথে সাথে আমাদের সুখের সংজ্ঞাটাও পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে জীবনে ভালো থাকতে হলে ছোট ছোট বিষয়গুলোতে আনন্দ খুঁজে পেতে হবে। এই সকালের রোদ, পাখির কলগান, বৃষ্টির মুহূর্ত। ছোট ছোট এ বিষয়গুলো উপভোগ করার চেষ্টা করুন। প্রকৃতির এই ছোট ছোট বিষয়গুলো আপনার মনে শান্তি এনে দিবে। জীবনের এই এমুহূর্ত গুলো উপভোগ করতে পারলেই জীবন সুন্দর।
জীবনে ভালো থাকতে হলে নিজের শখকে মূল্যায়ন করতে শিখুন। আপনার কাছে যে কাজটি ভালো লাগে সে কাজটিই করুন। সেখানেই আপনি প্রশান্তি খুঁজে পাবেন। যেমন ধরুন আমার লেখালেখি করতে ভালো লাগে। আমার শখের জায়গা হলো লেখালেখি করা। আমি আমার শখটাকে মূল্যায়ন করি। যতটা সময় পায় চেষ্টা করি লেখালেখি করার। আপনার যা করতে ভালো লাগে তাই করুন। নিজেকে সময় দিন। যতটা সম্ভব প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। কারণ সোস্যাল মিডিয়া আপনার সময় নষ্ট করছে। অতিরিক্ত এটা আমাদের মস্তিষ্কেও প্রভাব ফেলে।
জীবনে ভালো থাকতে পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটান। এতে আপনি হাসিখুশি থাকতে পারবেন। বিশেষ করে বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা দিলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। আর মন ভালো থাকলেই সবগুলো বিষয় ভালো লাগবে। এই ছোট্র জীবনে যতটা সম্ভব নিজের মতো বাচাঁর চেষ্টা করাটাই ভালো। দিনশেষে আপনার ভালো থাকাটা আপনার উপর নির্ভর করে। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজেকে সময় দিন। জীবন সুন্দর।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Twitter share
Puss tweet
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি সুন্দর লিখেছেন ভাই। ভালো থাকতে হলে বর্তমান সময়কে উপভোগ করতেই হয়। অতীতে কি হয়েছে বা ভবিষ্যতে কি হবে ভেবে খারাপ থাকলে জীবনে কোনদিন ভালো থাকা হয়ে ওঠেনা। তাই বর্তমান সবাইকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে অল্প অল্প পরিসরে জীবনকে নিয়ে ভাবাই ভালো।
অতীতের দুঃখ বা ভবিষ্যতের চিন্তায় না ডুবে বর্তমানকে উপভোগ করাই জীবনকে সুন্দর করে তোলে। ছোট ছোট মুহূর্তগুলোর আনন্দ নেওয়ার মধ্যেই প্রকৃত সুখ লুকিয়ে আছে। খুব সুন্দরভাবে বাস্তব উপলব্ধি তুলে ধরেছেন ভাই,ভালো লাগলো।
আরে ভাই সময়কে উপভোগ করতে পারলে নিজের মনটা ভালো রাখা যায় কিন্তু রোগ বিপদ-আপদ যখন চলে আসে তখন চাইলেও আর সুন্দরভাবে সময়কে উপভোগ করা যায় না। ছোটবেলায় আমরা আমাদের জীবনটাকে অন্যতম আনন্দ উল্লাসে অতিবাহিত করেছি কিন্তু এখনকার মানুষেরা সেগুলো পায় না। তাই ছোটদের উৎসাহ প্রদান করতে হবে খেলাধুলা ব্যায়াম ইত্যাদি মধ্য দিয়ে যেন জীবনটাকে আনন্দে রাখতে পারে।