নাটক রিভিউঃ- " আই ডোন্ট কেয়ার "
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে একটি নাটক শেয়ার করার জন্য। সপ্তাহে একটি নাটক দেখি মূলত আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আজকে যে নাটকটি শেয়ার করবো সেটির নাম হচ্ছে আই ডোন্ট কেয়ার।
নাম | আই ডোন্ট কেয়ার। |
---|---|
পরিচালনা ও গল্প | মাহমুদ মাহিন। |
প্রযোজক | মোঃহাবিবুর রহমান। |
অভিনয়ে | খাইরুল বাশার , সামিরা খান মাহি, সমু চৌধুরী, শশী আফরোজ, লাল নানা এবং আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | সালমান জাইম। |
দৈর্ঘ্য | ৪৬ মিনিট ০৬ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ০৯ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং |
ধরন | রোমান্টিক, সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
আদিলঃ
খাইরুল বাশার।অর্পাঃ
সামিরা খান মাহি।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, আদিল তার শার্টের জন্য চেঁচামেচি করছে। কারণ তার আজকে শার্টটা পরে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু বাসায় কাজ করা ময়না খালা তার শার্টটা ধুয়ে দেয় নি। তার চেঁচামেচি শুনে রুম থেকে বেরিয়ে আসে। কেন সে সকাল সকাল চেঁচামেচি করছে। তারপর শার্টের ধুয়ার কথা বললে তার মা বলে একটা মেয়ে বিয়ে করলেই তো হয়। ময়নার ছোট ছোট কাজ কি আর মনে থাকে। তাছাড়া আদিলের বয়স হয়েছে। ঘরে তার মা একা। বিয়ে করে বউ নিয়ে আসলে ঘরটাও ভরপুর থাকবে। আদিল একটা কোম্পানিতে জব করে। সেই কোম্পানির প্রধান আদিলকে ভীষণ পছন্দ করে। কারণ আদিলের জন্য কোম্পানির সুনাম বেড়েছে। এদিকে আদিলের বসের মেয়ে যে কিনা বাহিরের দেশ থেকে এসেছে। দেশে এসেই ঘুরাঘুরি নিয়ে ব্যস্ত!
আদিল ও তার বসের সাথে কথা বলছিল। ঠিক তখন বসের মেয়ে অর্পা ফোন দেয়। ফোন দিয়ে বলে যে তার পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগবে ইমার্জেন্সি! আদিলের বস কিপ্টা হলেও মেয়েকে টাকা দিতে বাধ্য। কারণ অর্পার মা অনেক আগেই মারা গিয়েছিল। তারপর থেকে মেয়ের ভালো মন্দ তার বাবাই দেখেছে। মেয়ের ইচ্ছে সব পূরণ করেছে। কোনো কমতি রাখেনি। কিন্তু বেশি টাকা দিয়ে মেয়েটাকেও মাথায় তুলে ফেলেছে। আদিলকে বলে যাওয়ার সময় সে যেন অর্পাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে যায়। আদিল পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে রেস্টুরেন্ট এ চলে যায়। তারপর যেতেই অর্পা আদিলকে দেখে তুমি তুমি করে বলা শুরু করে দেয়। সেটা শুনে আদিলের রাগ বেড়ে যায়। তখন আদিলও তাকে তুমি বলে সম্বোধন করে। যেটা অর্পা মোটেও নিতে পারেনি। কারণ আদিল তার বাবার অফিসে কাজ করে, আর সে অফিসের মেয়েকে তুমি করে বলার সাহস কোথা থেকে পায়।
আদিল তার বাবার অফিসের কর্মী কিন্তু অর্পার না! আদিল তখন পঞ্চাশ হাজার টাকা না দিয়েই চলে আসে অফিসে। আর সে টাকাটা তার বসকে দিয়ে দেয়। তারপর আদিল তার বসকে বুঝানোর চেষ্টা করে মেয়েকে যখন তখন টাকা না দিয়ে দিতে। এতে করে তারই মাথায় উঠে যাবে। ঠিক তখন অর্পা এসে হাজির অফিসে। অফিসে এসেই তার বাবাকে বলে আদিলকে যেন চাকরি থেকে বের করে দেয় এখনি। আদিলের বস তখন আদিলকে ইশারা দিয়ে বলে চলে যেতে। আদিল চলে যায় কাজে। তখন অর্পার বাবা তাকে শান্ত করে এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়। আর সে টাকা নিয়ে আসার সময় মোতালেব চাচার সামনপ হঠাৎ এসে দাড়ায়ঁ। আর মোতালেব চাচার হাতে চায়ের কাপ ছিল, সেটা অর্পাকে দেখে ভয়ে চা পরে যায়। তখন অর্পা মোতালেব চাচাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আর সেটা দেখে আদিল রেগে যায়। কারণ মোতালেব চাচার বয়স এ অফিসে সবচেয়ে বেশি। তার ডেসিগনেশন নিচে হলেও তাকে সবাই সম্মান করে। আর তাকেই অর্পা ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়!
তারপর আদিল অর্পাকে খসে একটা চড় মারে। অর্পা রেগে অফিস থেকে বের হয়ে যায়। আর আদিলকে তার বস বুঝায় সে যেন কিছু মনে না করে। তার পরেরদিন অফিসে প্রবেশ করতেই দেখে সব জায়গায় সরি লিখা! আদিল অবাক হয়ে যায় এতো সরি লেখা দেখে। তখন মোতালেব চাচা বলে ওয়েটিং রুমে গেলেই বুঝতে পারবে। তারপর অর্পা ওয়েটিং রুমে বসা। ওয়েটিং রুমে যেতেই আদিলকে অর্পা প্রপোজ করে বসে। আদিল সেটা মোটেও পাত্তা দেয়নি। কারণ আদিল জানে বড়লোকের মেয়েদের এমন হয়, দুদিন পর সব পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু তারপর থেকে অর্পার পাগলামি বাড়তে থাকে। কিছু না বলেই আদিলের বাসায় চলে যায়। আদিলের মাকে বলে সে তার হবু বউ! তার মা খুশি হয়। কিন্তু আদিল যখন চলে আসে তখন অর্পাকে বলে চলে যেতে। শুধু পাগলামী করে।
অর্পার পাগলামী একটা সময় আদিলের কাছে ভালো লাগায় পরিণত হয়। তারপর দুই পরিবারের সম্মতিতে যখন বিয়ের আয়োজন করা হয় ঠিক তখন অর্পা আদিলকে বাসায় নিয়ে অপমান করে। আদিল তখন তার মাকে নিয়ে বেরিয়ে এসে পরে। তার কিছুদিন পর অর্পা তার ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু আদিল মোটেও তার ব্যাপারটা সিরিয়াসভাবে নিতে পারেনি। তারপর অর্পা তাকে বলে যদি তাকে ভালো না বাসে তাহলে সে ছাদ থেকে লাফ দিবে। তারপর অর্পা সত্যিই তাই করে। অর্পা ছাদ থেকে লাফ দেয় এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর আদিল অর্পার ভালোবাসা মেনে নেয়।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে। নাটকটিতে বেশ কিছু শিক্ষণীয় বিষয় ফুটে উঠেছে। কেউ পদমর্যাদায় নিচু হলে তাকে ছোট করতে নেই বরং তাকে সম্মান করতে হবে। আর অতিরিক্ত রাগ ভালো নয়। রাগের বসে অনেক কিছুই করে বসে অনেকে। টাকার অহংকার করতে নেই। টাকার অহংকার মানুষকে অমানুষে পরিণত করে। নাটকটিতে খাইরুল বাশার ও সামিরা খান মাহি দারুণ অভিনয় করেছে। সবমিলিয়ে নাটকটি উপভোগ করার মতো ছিল।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
বাহ খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন দেখছি। এই নাটকে বেশ কিছু বিষয় ফুটে উঠেছে যা সত্যি খুবই শিক্ষনীয়। এই ধরনের নাটক দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনি সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
নাটকটি দেখলে আশা করছি আপু আপনি উপভোগ করতে পারবেন।
Twitter share
Puss tweet
Super Walk টাস্ক এর স্ক্রিনশট নেই।
জি, পরের পোস্ট থেকে এড করে দিবো 🙏
খুব সুন্দর একটি শিক্ষনীয় নাটক আজ আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন। নাটক রিভিউ করে খুব ভালো লাগলো। টাকা থাকলে আসলেই অহংকার করা উচিত নয়। নাটকটি আসলে অনেক সুন্দর।অবশ্য নাটকটি আমার এখনো দেখা হয়নি।কোন একদিন দেখা হয়ে যাবে। সুন্দর নাটকটি গুছিয়ে রিভিউ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একদম! টাকা থাকলে কোনোভাবেই অহংকার উচিত নয়!
আপনি আজকে চমৎকার একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন। আসলে নাটক দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি সময় পেলেই নাটক দেখি এবং নাটকের রিভিউ পড়তে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হলো নাটকের কাহিনী এবং নাটকের গল্পটা বেশ দারুন।
হুমম, নাটকটি দেখলে আশা করছি আপনি উপভোগ করতে পারবেন ভাই
দারুন একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। নাটকটির রিভিউ পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আগামীতে সময় পেলে অবশ্যই এই নাটকটি দেখে নিব। মনে হচ্ছে নাটকটির মধ্যে অনেক শিক্ষণীয় দিক রয়েছে।
নাটকটি দেখলে উপভোগ করতে পারবেন। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল
নাটক রিভিউ গুলো বেশ ভালোই শেয়ার করেন। নাটক দেখে বিনোদন নিতে পারেন। অন্যদিকে সেই নাটকের রিভিউ শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন। বলতে গেলে দুই দিকেই বেশ ভালো কাজ হয়। অনেক সুন্দর একটি নাটকের ভিডিও শেয়ার করলেন আপনি। দেখে অসাধারণ ভালো লাগলো।
আরও বেশি অসাধারণ লাগবে যদি আপনি নাটকটি দেখেন।
খাইরুল বাশার আর মাহির এই নাটকটা খুব সুন্দর ছিল। আমার কাছে তো খুব সুন্দর লেগেছে এই নাটকের পুরো রিভিউটা পড়তে। সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো আমি প্রায় সময় দেখার জন্য চেষ্টা করি। এরকম নাটকগুলো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। এই নাটকটা এখনো পর্যন্ত যদিও দেখা হয়নি, কিন্তু ভাবছি সময় পেলে নাটকটা দেখব।
জি আপু, খাইরুল বাশারের এ নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সময় পেলে বাকিটুকু দেখে নিয়েন
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। যদিও এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি তবে নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো।সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমি সবসময় চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ পড়ার জন্য। সংক্ষেপে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের কাহিনীটা জানতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই সময় পেলে নাটক দেখি। এরকম নাটক গুলো আমার অনেক বেশি দেখা হয়। এই নাটকটার শর্ট ভিডিও দেখেছিলাম। আর তখন ভেবেছিলাম নাটকটা সম্পূর্ণ দেখবো। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে এখনো দেখা হয়নি। এখন রিভিউ পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
সময় পেলে নাটকটা দেখতে পারেন, আশা করছি ভালো লাগবে ভাইয়া।
খাইরুল বাশারের নাটক অনেক সুন্দর হয়ে থাকে এবং তার নাটক গুলো আমি দেখার চেষ্টা করি৷ তবে এখনকার সময়ে তেমন একটা নাটক দেখার সময় পাইনা৷ তবে চেষ্টা করি আমাদের কমিউনিটির যারা সুন্দর নাটকের রিভিউগুলো শেয়ার করে থাকেন সেগুলো করার৷ আজকে আপনিও খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন৷ এখানে এই নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম৷ অবশ্যই আমি নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷
দেখতে পারেন আশা করছি উপভোগ করতে পারবেন আপনি