জীবনের গল্প || ক্ষমার আড়ালের ভাবনা

in আমার বাংলা ব্লগ13 hours ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন । আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি তবে সেটা টেনেটুনে মানে স্বাভাবিকভাবে না। কারণ মানসিক অস্থিরতা কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপের মাঝে খেতে ভালো আছি এটা শুধু মুখেই উচ্চারণ করা যায় কিন্তু ভেতরে কিংবা বাহিরে প্রকাশ করা যায় না। কথায় বলে না, আমরা অনেক কিছু বলি কিন্তু ভেতরে থাকে তার ভিন্ন রূপ, আমরা মুখে হাসি ধরে রাখি কিন্তু আড়ালে থাকে তার ভিন্ন চিত্র। বাস্তবতা এখন আমাদের ঠিক সেই রকম একটা পরিস্থিতির মাঝে দাঁড় করে দিয়েছে, আমরা চাইলেও সঠিক অবস্থান নির্ণয় করতে পারি না।

মাঝে মাঝে পরিবেশ এমন হয় যে, যা দেখি তা প্রকাশ করতে পারি না কিংবা যা উপলব্ধি করি সেটাকে তুলে ধরতে পারি না। একটা সংশয় কিংবা ভয়ের আশংকা আমাদের স্তমিত করে দেয়। যার কারণ আমরা দেখেও স্বাক্ষী হতে পারি না আমরা বুঝেও সেটাকে প্রকাশ করতে পারি না। একটা অন্য রকম দ্বিধাদ্বন্দ্বের জালে আটকে যাই। যাইহোক, এতো জটিল বিষয় নিয়ে কথা বলাটা আমার উদ্দেশ্য না বরং খুব সহজ সরক কিছু কথা বলার উদ্দেশ্য নিয়ে আজকের পোষ্টটি লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু শুরুটা কেমন জানি জটিল হয়ে গেলো বাস্তবতার প্রভাবে।

sea-9455144_1280.jpg

ছোটবেলায় আমরা কোন ভুল করলে সেটাকে বড়রা খুব স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করতো কারণ ভুল হতে পারে, তাই সেটাকে মেনে নিয়ে আরো একটা সুযোগ দেয়া উচিত, আরো একটু সতর্ক হওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। কিন্তু যদি সেটা না করা হয় তাহলে হয়তো হিতে বিপরীত হতে পারে কিন্তু নতুনভাবে চেষ্টা করার পথটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই হয়তো আমরা ভুল করার পরও আমাদের ক্ষমা করে দেয়া হতো এবং সেই বিষয়ে কাংখিতভাবে গাইড করা হতো, সুন্দরভাবে বুঝানোর চেষ্টা করা হতো এবং সেই বিষয়টি যেন আমরা উপলব্ধি করতে পারি বারং বার সেই চেষ্টাটা অব্যাহত রাখা হতো।

কিন্তু সেই একই ভুল যদি বড়রা করতো কিংবা যারা আমাদের থেকে সিনিয়র তারা যদি করতো তাহলে কিন্তু একই রকম ব্যবহার করা হতো না। তাদের শাস্তি দেয়ার চেষ্টা করা হতো, নানাভাবে তাদের শাসন করা হতো। এই রকম পার্থক্য হওয়ার কারণ ছিলো আমরা ছোট আমাদের একটা সুযোগ দিয়ে বিষয়টি উপলব্ধি করার পথ প্রসস্ত করে দেয়া হতো কিন্তু বড়দের বিষয়ে সেটা করা হতো না, কারণ তারা সেই লেভেলটি পার করে আসছেন, তাই তাদের সুযোগ না দিয়ে বরং কঠোর হওয়ার চেষ্টা করতেন, যাতে পরবর্তীতে তারা আরো বেশী সতর্ক হোন কিংবা সেই ভুলটা ‍দ্বিতীয় বার না করেন।

ক্ষমা অবশ্যই মহৎ একটা গুন কিন্তু সেটার ক্ষেত্রেও কাল কিংবা অবস্থানও বিবেচনা করতে হয়। আপনার আমার ক্ষেত্রে যেটা প্রযোজ্য হবে অন্যদের ক্ষেত্রে সেটা নাও হতে পারে। সুতরাং ক্ষমা যেমন অনেক কিছুকে খুব সহজেই পরিবর্তন করে দিতে পারে ঠিক তেমনি এটা মাথায় রাখতে হবে যে শাস্তিও অনেক কিছুর মাঝে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করতে পারে, তাই এখানে স্থান কিংবা কাল বিবেচনায় থাকতে হবে। ভুল হতে যদি শিক্ষা না আসে তাহলে সেই ক্ষমার কোন মূল্য থাকে না আবার শাস্তি হতে যদি ভালো কিছুর নিশ্চিত না হয় তাহলে সেই শাস্তিও মূল্যহীন হয়ে যায়।

Image Taken From Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Hello @hafizullah,

What a beautifully reflective piece! The way you've woven the complexities of mental well-being, societal expectations, and the nuanced difference in how we treat mistakes made by the young versus adults is truly captivating. It's so relatable how you describe the conflict between outward appearances and inner turmoil – a feeling many of us experience.

I especially appreciated your thoughts on forgiveness and punishment, and how context and timing play crucial roles. The idea that mistakes should lead to learning, whether through forgiveness or consequences, is a powerful message.

Thank you for sharing such thoughtful and insightful reflections. I'm sure many readers will find resonance with your words!