আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ বাজার দর ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও মিলেমিশে ভালো আছি। চঞ্চলতার আড়ালে নিজেকে আরো বেশী কার্যক্ষম রাখার চেষ্টা করছি। যদিও চারপাশের বর্তমান পরিস্থিতি কিংবা পরিবেশ আমাদের সর্বদা কার্যক্ষম থাকতে দেয় না। দেখুন এখন শীতকাল আর শীতকালকে সেরা সিজন বলা হয় অনেকগুলো কারণে তাদের মাঝে অন্যতম একটা কারণ হলো দারুণ সকল স্বাদের সবজি পাওয়া যায় বলে। আর ঠিক এই কারনেই শীতকালের প্রতি আমার ভালোবাসা এবং আকর্ষণ দুটোই একটু বেশী থাকে।
এবার শীতের শুরুটা সত্যি বেশ ভালো হয়েছিলো যদিও মাঝে কিছু সময়ের জন্য বেশ অসুস্থও ছিলাম কিন্তু তবুও কোন আক্ষেপ নেই। কিন্তু কয়দিন ধরে বেশ আক্ষেপ তৈরী হয়েছে নিজের মাঝে। যে সবজিগুলোর স্বাদ নিয়ে আমরা বেশ আনন্দে সময় ব্যয় করি, সেই স্বাদগুলো তৈরীর পেছনে যারা মেহনত করেন এবং শীতের ঠান্ডা উপেক্ষা করে যারা পরিশ্রম করে যান, সেই মানুষগুলো এবার খুব বেশী হতাশ। এবার সবজির ফলন বেশ ভালো হয়েছে, তাদের পরিশ্রম সার্থক করেছে কিন্তু তবুও তাদের মনে কোন আনন্দ নেই, হৃদয়ের মাঝে নেই কোন চঞ্চলতা।
এর মূল কারণ হলো এবার তারা সবজির ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। বিষয়টি সত্যি আমার কাছেও খারাপ লেগেছে। গতবার যে ফুলকপি পঞ্চাশ টাকার নিচে ছিলো না এবার সেগুলো বাজারেই বিক্রি হচ্ছে দশ টাকা পিছ, তাহলে কৃষক হতে তারা কত টাকা করে পিছ ক্রয় করেছে, এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে। শীতের প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে তাদের পরিশ্রমের ফলাফল যদি এমন নাজুক হয় তাহলে বুঝতেই পারছেন প্রকৃতপক্ষে তাদের মানসিক অবস্থা কতটা খারাপ আছে এখন।
আরো একটা সবজির নাম বলছি সেটা হলো টমেটো, এবার বাজারে বেশ সুন্দর সুন্দর টমেটোর উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে, গতবারও এমনটা ছিলো না। যদিও গতবারও টমেটোর দাম খুব একটা বেশী হেরফের হয়নি। কিন্তু এবার শুরুতেই বেশ দাম পড়ে গেছে। এখন সুন্দর ও বড় সাইজের ভালো টমেটো কিনতে পাওয়া যাচ্ছে কেজি প্রতি ২০ টাকায়। তাহলে কৃষকদের নিকট হতে পাইকার ব্যবসায়ীরা কত টাকা কেজি করে কিনছেন? কৃষকদের পরিশ্রম কতটা সার্থক হলো?
আসলে বাস্তবতা হলো, আমরা তখনই ভালো কিছু হতে নিরুৎসাহিত হই যখন সেখান হতে কাংখিত ও সার্থক ফলাফল পেতে ব্যর্থ হই। এটা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তব সত্য। ভালো কিছুর প্রত্যাশা করলেই হবে না বরং সেখানে ভালো কিছুর জন্য সঠিক ও কাঙ্খিত ফলাফলও থাকতে হবে। না হলে একবার, দুইবার কিংবা তিনবার তারপর আর সেই কাজের প্রতি আমাদের উৎসাহ থাকবে না। ঠিক এমনটাই হচ্ছে এখন। জমির পর জমি পতিত পড়ে আছে কিন্তু চাষাবাদ হচ্ছে না কারন সেই কাংখিত ফলাফল না পাওয়া। বাস্তবতার সাথে কাজের সংযোগ না থাকলে যেমনটা হয়, আর এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কখনো তেমন চিন্তা করি না।
Image Taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জি বিষয়টা আমিও লক্ষ্য করেছি। তবে হয়তো আপনার মত এভাবে উপলব্ধি করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে ফেসবুকে অনেকগুলো ভিডিও দেখতে পেলাম যেখানে ফুলকপি তারা চাষ করার পরে ভালো ফলন হয়েছিল। আর সেগুলো কেটে ফেলছে ন্যায্য দাম না পাওয়াতে। আর এটা ঠিক বলেছেন যে কেউ যদি কাজের সঠিক মূল্য না পায় তখন সে কষ্ট পায়। আর সেই কষ্ট থেকেই সে কাজে নিরুৎসাহিত হয়। বাস্তব ও সত্য কিছু কথা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
উত্তরাঞ্চলে অনেকেই জমি হতে ফুলকপি তুলেন নাই কারন লাভের দেখা পাবেন না বলে, এটাই নির্মম বাস্তবতা।
হে ভাইয়া আমাদের এখানেও তাই। সব্জির দাম এতোটাই কম তা দেখে অবাক হয়েছি আমি ও।এতে করে কৃষকদের বেশ লস হয়েছে বুঝতে পারলাম।আসলে কাঙ্খিত কিছু থেকে ব্যর্থ হলে মানুষের সেই বিষয়ে আগ্রহ কমে যায়। এটা একদম বাস্তব সত্যি কথা।ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
কিন্তু দেখুন পরের যদি কৃষকটা চাষ করতে আগ্রহী না হয় তখন কিন্তু আবার এক কপি একশত টাকা দিয়ে কিনতে হবে আমাদের। এটার একটু সঠিক সমাধান হওয়া উচিত।
বর্তমানে ফুলকপির বাজার একেবারেই কম হওয়ার কারণে ফুলকপি চাষিরা সম্পূর্ণরূপে নিরাশ হয়ে গেছে। এমনকি অনেকেই প্রচুর পরিমাণে লোন গ্রস্থ হয়ে গেছে। আসলে অধিক উৎপাদনের কারণেই এমনটা হয়েছে। যাহোক আমাদের দেশে কোন সময় কৃষকেরা তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য হতাশাজনক।
এই সমস্যা হতে আমাদের কৃষক সমাজ বের হয়ে না আসতে পারলে আমাদের সমস্যা ভবিষ্যতে আরো বেশী হবে। ধন্যবাদ
এবার শীতকালে প্রতিটি সবজির দাম অনেক কম। ছোটবেলায় শীতকালে সবজির দাম যেমন ছিলো, এখন ঠিক তেমন। এবার সবজির দাম দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি। তবে কৃষকদের জন্য সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। যাইহোক এতকিছু না ভেবে শীতকালীন সবজি বেশি বেশি খান ভাই হা হা হা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এবার অনেকেই শীতের সবজি কিনে মজুত করতে পারে নাই যার কারনে কৃষক যেমন দাম পাচ্ছে না ঠিক তেমনি আমরাও খুব বেশী বেশী কিনছি না।
শীতকালীন সবজির স্বাদ ও কৃষকদের পরিশ্রমের কথা তুলে ধরে আপনি খুব সুন্দরভাবে সেই হতাশা ও চ্যালেঞ্জগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। কৃষকরা যেভাবে তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল পাচ্ছে না, তা আমাদের চিন্তা করার বিষয়। সত্যিই, সঠিক মূল্য ও সমর্থন না পেলে সমাজে ভালো কিছু ঘটানো কঠিন। তাদের কঠোর পরিশ্রমের মূল্যায়ন জরুরি।