আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ ফ্রাইডে স্পেশাল ]

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি এবং ভালো থাকার চেষ্টা করছি। আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন, তবে আমাদের কর্মজীবীদের কাছে সেটা আরো বেশী ব্যস্ততার দিন হিসেবে গন্য হয় হি হি হি। সত্যি বলতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে কাজের তালিকাটা অনেক বেশী বড় হয়ে থাকে অন্যান্য যে কোন সাধারণ দিনের তুলনায়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন সবগুলো কাজ সম্পন্ন করতে হবে, আর সেটা যদি অসম্পূর্ণ রয়ে যায় তাহলে গণতন্ত্রের অধিকার নিয়ে বাড়িতে আবার আন্দোলন শুরু হয়ে যেতে পারে। এমনিতে দেশের পরিবেশ ভালো না।

হুট-হাট করে যে কোন জায়গায় যে কোন বিষয় নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। মানে এখন দাবী আদায়ের মৌসুম, তাই সবাই যার যার অবস্থান হতে বেশ সোচ্চার, এই সুযোগ মিস করা যাবে না আর যাইহোক। তো আমাদের বাড়ির বড় ম্যাডামরাও আজকাল সেই সুযোগের সঠিক ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন, না না না উনাদের আমি কিন্তু সুযোগ সন্ধানী বলি নাই, খবরদার আমাকে আবার দোষী বানাইয়েন না হি হি হি। এমনিতে আমি নিরীহ মানুষ, আন্দোলন দেখলে ভীষণ ভীত হয়ে যাই। যাইহোক, গণতন্ত্র নিয়ে যেহেতু আমরা বড়াই করি সেহেতু গণতন্ত্রের সুবিধা ভোগ করার সুযোগ দিতেই হবে সবাইকে।

sunrise-1321710_1280.jpg

আজকে অবশ্য একটু সকাল সকাল পোষ্ট করছি কারণ আজকের সিডিউল একটু বেশী লম্বা, সকাল সকাল বের হচ্ছি বাড়ি হতে কারণ সোজা চলে যাবো গ্রামে। না না আমাদের গ্রামের বাড়িতে না আজকে যাবো গিন্নীর বাপের বাড়িতে। প্রতি বছর রমজান মাসেই আমি যাওয়ার চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু দোয়ার আয়োজন করতে। আসলে আমরা তো আজকাল মুরুব্বীদের তেমন একটা মনে রাখি না বা রাখার চেষ্টাও করি না। নানা কিছু নিয়ে নিজেদের খুব বেশী ব্যস্ত রাখি বা ব্যস্ত থাকার ভান করি, তাই তাদের বিষয়ে চিন্তা করার অথবা একটু সময় ব্যয় করার সুযোগ কই আমাদের? দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি।

যেহেতু শুক্রবার, সেহেতু সিডিউলটা একটু বড় হওয়াটাই স্বাভাবিক, আরে ভাই সাপ্তাহে একটা দিনই তো বাড়িতে থাকি। প্রতিদিন তো সময় দেই না, দেখুন এটাও আমার কথা না ম্যাডামের কথা। মানে ম্যাডামের কাজে লাগাতে পারে না, এই জন্য বলেন যে সময় দেই না। কি আশ্চার্য রকমের কথা চিন্তা করে দেখুন একটু? শুরুর দিকে আমি অবশ্য চিন্তা করতাম কিন্তু যখন বুঝলাম না এখানে পেরে উঠার কোন সম্ভাবনা নেই, তারপর হতে চিন্তা করা ছেড়ে দিয়েছি। যেহেতু আপনাদের সময় আছে তাই আপনারা চাইলে একটু চিন্তা করতে পারেন, ভবিষ্যতে কাজে লাগলেও লাগতে পারে হি হি হি।

শেষ করছি, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি বাড়ির মুরুব্বী যারা গত হয়েছেন তাদের নানাভাবে, নানা আয়োজনে স্মরণ করার চেষ্টা করা হতো। তাদের জন্য ঈসালে সওয়াব এর ব্যবস্থা করা হতো। কারণ তারা তাদের মন হতে ভালোবাসতেন এবং সম্মান করতেন। তাই গত হওয়ার পরও তারা তাদের ভুলে যেতেন না। আর আমরা তো ভিন্ন মানসিকতার মানুষ, জীবিত মানুষকেই মনে রাখি না আর মৃতদের তো দূরের কথা। আমরা সত্যি দিন দিন কেমন জানি অকৃতজ্ঞ হয়ে যাচ্ছি সব দিক হতে। পরিবর্তন আসুক আমাদের মানসিকতায়, পরিবর্তন আসুক আমাদের কর্মের মাঝে।

Image Taken from Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 days ago 

ঠিক বলেছেন ভাই যেন দাবি আদায়ের মৌসুম চলছে যার যখন ইচ্ছা নিজের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমে যাচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে আমি ভাবছি আমরা কয়েক বন্ধু মিলে বিয়ের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামবো হা হা হা।

 2 days ago 

আসলে ভাইয়া ছুটির দিনে ম্যাডামকে তো সময় দিতেই হবে।আর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের তো রাজপথে নামতেই হবে।সকাল সকাল আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 days ago 

সপ্তাহে এক দিন ছুটি আসলে সারাদিনের দীর্ঘ কাজ এর লিস্ট সারতে সারতেই চলে যায়! অফিস কাজের চেয়েও বেশি ব্যস্ততা থাকে ছুটির দিনে। আর বর্তমানে বৃদ্ধ বাবা-মা কেই ছেলে-মেয়েরা দেখতে চায় না, আর যারা গত হয়েছেন তাদের মনে রাখা কিভাবে আশা করা যায়! আশা করছি ভাবীর বাড়ির সকলে মিলে বেশ আনন্দে মুহূর্তগুলো পার করছেন।

 2 days ago 

আপনার পোস্টটি খুবই প্রাণবন্ত এবং বাস্তবতা প্রতিফলিত করেছে। জীবনের ছোট ছোট মূহূর্তগুলোর গুরুত্ব এবং আমাদের ব্যস্ততার মাঝে মুরুব্বীদের প্রতি অবহেলার কথা তুলে ধরেছেন, যা সত্যিই চিন্তা করতে বাধ্য করে। আপনি যেমন বললেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোও নানা কাজের মাঝে পার হয়ে যায়, কিন্তু পরিবারের সাথে একটু সময় কাটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মনোভাবের পরিবর্তন প্রয়োজন, যেন আমরা জীবিত ও মৃত সকলকে সম্মান ও ভালোবাসা দিতে পারি। আপনার লেখাটি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক, ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 days ago 

আমরা ছোট বেলায় দেখেছি বাড়ির মুরুব্বী যারা গত হয়েছেন তাদের নানাভাবে, নানা আয়োজনে স্মরণ করার চেষ্টা করা হতো।

এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাই। মৃত্যু বার্ষিকী তো সবসময়ই পালন করা হতো। তাছাড়া মানুষজন ঘনঘন কবর জিয়ারত করতে যেতো। কিন্তু সেটা এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। আসলে দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে,মায়া মমতা ততই কমে যাচ্ছে। যাইহোক সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভাবীর কথামতো সবকিছু করবেন ভাই। তাহলে সংসারে শান্তি আর শান্তি থাকবে হা হা হা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।