চিতল মাছের ভুনা রেসিপি || Bengali Recipe by @hafizullah

in আমার বাংলা ব্লগlast month

চিতল (1).jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। যদিও সুস্থ থাকাটা এখন বেশী কঠিন হয়ে গেছে, পরিবেশ দূষণের এবং সিজন পরিবর্তন এর কারনে চারপাশে কম বেশী সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। তবে সবচেয়ে বেশী দেখা যাচ্ছে ঠান্ডা-কাশি জনিত সমস্যা। তবুও প্রত্যাশা করছি সবাই ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন। প্রকৃতি তার প্রতিশোধ ঠিক সুযোগ করে নিয়ে নিবেন, এটাই নির্মম বাস্তবতা। কারন আমরা যেমন কর্ম করবো ঠিক তেমন ফল পাবো। সুতরাং ভালো কিছু না করলে ভালো কিছুর ফলাফল প্রত্যাশা করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

যাইহোক, পরিবেশ এবং প্রকৃতি ঠিক না হলে হয়তো এই সমস্যার দ্রুত কোন সমাধান আমরা পাবো না। কিন্তু তবুও আমাদের জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আজকে একটা রেসিপি শেয়ার করবো আর সেটা হলো চিতল মাছের রেসিপি। একটা সময় আমাদের এই অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয় এবং স্বাদের একটা মাছ ছিলো এই চিতল। কালের বিবর্তণে সবাই হারিয়ে যেতে বসেছে, অনেক মাছতো এখন আর দেখাই যায় না। তবুও দুই একটি নদী ভালো থাকায় হয়তো মাঝে মধ্যে স্বাদের মাছের দেখা পাওয়া যায়। অবশ্য চাষের মাছের সুযোগ তৈরী হওয়ার পর মাছের নামগুলো এখনো আমরা ধরে রাখতে পেরেছি।

চিতল (2).jpg

রেসিপির উপকরণঃ

  • চিতল মাছ
  • টমেটো
  • পেঁয়াজ
  • কাঁচা মরিচ
  • ধনিয়া পাতা
  • আদা রসুনের পেষ্ট
  • হলুদ গুড়া
  • মরিচ গুড়া
  • জিরা গুড়া
  • ধনিয়া গুড়া
  • লবন
  • তেল।

প্রস্তুতি পর্বঃ

চিতল (4).jpg

চিতল (6).jpg

চিতল (9).jpg

প্রথমে মাছের টুকরাগুলোতে হালকা হলুদ, মরিচের গুড়া ও লবন দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি এবং তারপর একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তেল গরম করে মাছগুলো ভেজে নিয়েছি।

চিতল (11).jpg

চিতল (12).jpg

চিতল (13).jpg

চিতল (15).jpg

এরপর পুনরায় একটা কড়াই বসিয়ে তেল গরম করেছি, তারপর পেঁয়াজ কুচিগুলো দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি। এরপর আদা রসুনের পেষ্টসহ সকল মসলা দিয়েছি, তারপর টমেটো দিয়েছি, হালকা পানি দিয়ে কষা করে নিয়েছি।

চিতল (16).jpg

চিতল (18).jpg

চিতল (19).jpg

এরপর ঝোলের জন্য পানি দিয়েছি এবং বেশ কিছুটা এভাবে রান্না করেছি। তারপর ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়েছি এবং আরো কিছুটা সময় রান্না করেছি।

চিতল (21).jpg

চিতল (22).jpg

চিতল (26).jpg

তারপর ঝোল একটু ঘন হয়ে আসলে প্রথমে কাঁচ মরিচ পরে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়েছি। ঝোল আরো কিছুটা ঘন হয়ে শুকিয়ে আসলে পরিবেশনের জন্য নামিয়ে নিয়েছি।

চিতল (31).jpg

ব্যস, হয়ে গেলো আজকের দারুণ স্বাদের চিতল মাছ ভুনা রেসিপি, একটু ঝোল ঝোল থাকলেও বেশ দারুণ হয়েছিলো খেতে।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  
 last month 

চিতল মাছ আর বাংলাদেশী এই দুটো কামিনেশন এলেই আমার মনে হয় রেসিপি হবে চিতল মাছের মুইঠ্যা। হা হা হা৷ এই রেসিপি তো এপার বাংলাতেও হয়। তবে ইউটিউবে দৌলতে একবার মুইঠ্যা বানাতে শিখেছিলাম তখন বাড়িতে বানিয়ে সবাইকে খাইয়ে ছিলাম। আপনার রান্না মাছটা দেখে আমার মনটা কেমন যেন মুইঠ্যা মুইঠ্যা করছে৷ হা হা হা৷ আপনি কিন্তু ভালোই রান্নাবান্না করেন দেখি।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

বর্তমান সময়ে কেউ ভালো নেই সবাই অসুস্থ আর এজন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। প্রকৃতি তার প্রতিশোধ সময় করে নিয়ে নিবেই ঠিক বলেছেন ভাই। চিতল মাছের ভুনা রেসিপিটি দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছিল। টমেটো ও ধনেপাতা রেসিপির স্বাদ আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। অনেক ধন্যবাদ ভাই লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 last month 

চিতল মাছের ভুনা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাঁর কারণ আপনি অনেক সুন্দর করে সময় দিয়ে ধৈর্য ধরে রেসিপি তৈরি করেন।চিতল মাছ আমি যদিও খাই না, তবে আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার চিতল মাছের ভুনা রেসিপিটি আপনি পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক মজাদার হয়েছিল ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 last month 

রান্না হলো একটি শিল্প। আপনি বেশ দারুন করে আজকের রেসিপিটি তৈরি করেছেন তা কিন্তু বেশ বোঝা যাচ্ছে। আমার কাছে কিন্তু মনে হচেছ আপনার রান্না করা চিতল মাছের ভূনা খেতেও বেশ স্বাদের হয়েছেল। এমন দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last month 

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে কম বেশি সবাই।সত্যি তাই প্রকৃতি অবশ্য প্রতিশোধ নেয়।ভালো কাজ ও খারাপ কাজ দুটার ফল ভোগ অবশ্যই করতে হয়।চিতল মাছ খুবই লোভনীয় একটি মাছ।আপনার রেসিপিটি অনেক লোভনীয় হয়েছে। খেতে অনেক সুস্বাদু রেসিপিটি তা বুঝতেই পারছি।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন।ধন্যবাদ সুন্দর লোভনীয় রেসিপিটি গুছিয়ে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।

 last month 

তাপমাত্রা যেভাবে উঠানামা করছে, এতে করে সুস্থ থাকার উপায় নেই। আমিও কয়েকদিন ধরে সর্দি ঠান্ডায় ভুগছি। যাইহোক বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। চিতল মাছ আমার খুবই পছন্দ। যদিও চিতল মাছ অনেকদিন আগে খেয়েছিলাম। এখন তো মাছ বাজারে গেলে চিতল মাছ চোখেই পড়ে না। রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

ছোটবেলায় আমার নানার বাড়ির পুকুরে অনেকগুলো চিতল মাছ ছিল। চিতল মাছগুলো যখন লেজ নাড়িয়ে উপরের দিকে উঠে খেলা করত তখন বেশ মজা লাগতো। আমরা প্রায় সময়ই চিতল মাছের লাফ দেয়া গুলো দেখতাম। তবে বর্তমান সময়ে কবে যে সেই চিতল মাছ দেখেছি আর মনে নেই। এখন যেন এগুলো পাওয়াই যায় না। চাষের কারণে এখন অনেক মাছ হারিয়ে গিয়েছে। দারুন একটা রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া, খেতে ইচ্ছে করছে দেখেই।

 last month 

চিতল মাছে অনেক কাটা।কিন্তু খেতে ভীষণ মজার।এই মাছের কোলের মাছ খাওয়া গেলেও পিঠের মাছ খেতে খুব কষ্ট পেতে হয়।তাই আমি মাছ দিয়ে কোফতা করে থাকি।আপনি খুব সুন্দরভাবে রান্না করে রেসিপি শেয়ার করেছেন। খুবই মজা করে খেয়েছেন আশাকরি।রেসিপিটি ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।

 last month 

বর্তমানে চারপাশের অবস্থা অনেক খারাপ। কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে বারবার করে। কখনো শীত কখনো গরম। এইজন্য অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যাইহোক চিতল মাছ কয়েকবার খেয়েছিলাম। আপনি তো দেখছি চিতল মাছের ভুনা রেসিপি খুবই মজাদার ভাবে করেছেন, যেটা দেখে জিভে জল চলে আসলো। আমার তো খুবই পছন্দ হয়েছে ভাইয়া আপনার তৈরি করা রেসিপি। দেখেই বুঝতে পারছ এটা খেতে দারুন লেগেছে। লোভ লাগিয়ে দিলেন রেসিপি টা দেখিয়ে।