অতীত স্মৃতির সাথে প্রকৃতির ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ আছি। আশা করছি রমজানের বাকি রোজাগুলোও সুস্থতার সাথে পালন করতে পারবো। শারীরিক এবং মানসিক উভয় অবস্থায়ই ভালো থাকবো, কারণ শারীরিক সুস্থতার সাথে সাথে মানসিক সুস্থতাও অনেক বেশী জরুরী। যদিও আমরা অনেক ক্ষেত্রেই মানসিক সুস্থতার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারি না, হয়তো অনেক কিছুই আছে কিন্তু তবুও হৃদয়ের মাঝে একটা শূন্যতা বিড়াজমান থাকে, মানসিক প্রশান্তির দেখা পাওয়া যায় না সেই শূন্যতার কারণে।
আমরা একটা সময় একেকটা বিষয়ের প্রতি ছুটি, শৈশব কালে যেমন এক বিষয় থাকে ঠিক তেমনি কৈশরে সেটা আবার পরিবর্তন হয়ে যায়। শৈশবের সেই বিষয়টি আর ভালো লাগে না, তখন অন্য কিছুর প্রতি আকর্ষণবোধ করি। ঠিক তেমনি কৈশরে যে বিষয়টির প্রতি চঞ্চলতা কাজ করে এর পরের স্টেজে কিন্তু সেটা আর কাজ করে না, এটাই জীবনের বাস্তবতা। সময়ের সাথে সাথে আমাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটে, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে এবং তার সাথে সাথে আমাদের অবস্থানও পরিবর্তন হতে থাকে। কিন্তু এই সব কিছুর মাঝেও আমাদের মানসিক সুন্দর অবস্থা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হয়।
আর এই ক্ষেত্রে প্রকৃতি বেশ সুন্দর একটা ভূমিকা পালন করে থাকে। যদিও বর্তমান প্রজন্ম প্রকৃতির সজীবতার বিষয়টি একদমই উপলব্ধি করতে পারে না। অবশ্য এর জন্য তারা দায়ী নয় বরং অনেকাংশে আমরা নিজেরাও দায়ী। আমাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেলে দেখতাম বাড়ির চারপাশে দাদা নানা জাতের ঔষধি গাছ বুনে রাখতেন এবং তিনি নিজেও নানা প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করতেন। এর মাঝে একটা ছিলো অড়হর পাতা, আমাকে প্রায় গুড় দিয়ে এই পাতার রস খাওয়ানো হতো। তখন অবশ্য অতো কিছু বুঝতাম না, খালি বলা হতে এটা শারীরিক সুস্থতার জন্য বেশ উপকারী।
ঠিক তেমনি নানু বাড়িতে বেড়াতে গেলেও নানা জাতের গাছ দেখতাম বাড়ির চারপাশে, সেগুলোর ব্যবহার দেখতাম। এর ফলে প্রকৃতির প্রতি কিন্তু আমাদের একটা ভরসা কিংবা আস্থা যেটাই বলুন না কেন, সেটা তৈরী হয়েছে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার এবং প্রকৃতি যে আমাদের উপকারী বন্ধু সেটা খুব সুন্দরভাবে আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম কি সেটা বুঝার সুযোগ পাচ্ছে? সুতরাং সকল ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে শুধুমাত্র তাদের দোষ দিলেই হবে না, বরং এখানে আমাদের নিজেদেরও অনেক কিছু করার সুযোগ ছিলো বা আছে।
আমরা পারিবারিকভাবে প্রকৃতির যতটা কাছে যেতে পেরেছিলাম তারা কিন্তু সেটা পারে নাই। আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছে কিন্তু তারা বড় হচ্ছে ইট পাথরের চার দেয়ালের মাঝে। আমাদের বাহিরে খেলার প্রচুর জায়গা ছিলো, ছিলো বিনোদনের সেরা সকল উপায় কিন্তু তাদের ইনডোর বাদে তেমন কিছুই নেই এখন। সুতরাং পরিবর্তন হয়েছে ক্ষেত্রে, পরিবর্তন হয়েছে বর্তমান প্রজন্মের মানসিক দিক হতে। যার ক্ষতি শুধু তাদের হয়নি বরং আমাদের নিজেরও হযেছে।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৫ইং।
লোকেশনঃ মানিকগঞ্জ, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা আর সেভাবে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকতে পারছে না। আসলে তাদের জীবনটা সম্পূর্ণভাবে ডিভাইস নির্ভর হয়ে গেছে। এই কথা আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন ভাই। আপনি প্রকৃতির কয়েকটি সুন্দর ছবি তুলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আজকাল তো সবুজ প্রকৃতি পাওয়াই যায় না। তাই এমন সজীব প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে।
আমার মামা বাড়িতে গেলে সকালে খালিপেট এ বেশ কয়েক রকমের ওষুধি গাছের পাতা একসাথে বেটে তার রস খাওয়ানো হতো ( গুড় ছাড়া) । সে বস্তু খাওয়ার সময় পুরো গা গুলিয়ে উঠতো ছোট বেলায়, নাক- মুখ চেপে কোন মতে গিলতাম। আর এখন সেই স্মৃতি টাই যেন সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে মামাবাড়ির কথা উঠলেই। আপনার পোষ্ট পড়েও সেই স্মৃতি মনে হলো।
আমিও ছেলেবেলা অড়হর পাতার রস খেয়েছিলাম একবার।কেন খেয়েছিলাম তা মনে নেই।আসলে এসব ঔষধি গাছের গুন অনেক।আগের মানুষ গুলো এসব ঔষধি গাছের রস খেয়েই সুস্থ থাকতেন।প্রকৃতির চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আসলেই ছোটবেলায় বিভিন্ন জায়গায় ঔষধি গাছ দেখতাম। অসুখ বিসুখ হলে কিংবা সুস্থ থাকার জন্য সেই ঔষধি গাছগুলো ব্যবহার করা হতো। আসলে প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ হতে পারলে,এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। আর আমরা তো এখন কিছু হলেই হসপিটালে দৌড় দেই। এতো এতো ঔষধ খেয়েও তেমন কাজ হয় না। কারণ ঔষধের মধ্যেও ভেজাল। কিন্তু ঔষধি গাছগুলোতে কোনো ভেজাল ছিলো না। তাইতো সুস্থ হতেও সময় লাগতো না। প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক থাকলে আমাদেরই লাভ। কিন্তু সেটা বেশিরভাগ মানুষ এখন বুঝতে চায় না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।