অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কোলকাতা (পর্ব-০১)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং নিজেদের সময়গুলোকে উপভোগ করছেন। আজ থেকে আমি শুরু করলাম আমার অনুভূতির গল্প নামে নতুন সিরিজ। অনুভুতির গল্প হলেও ফটোগ্রাফিগুলো কিন্তু কিছুটা পুরনো, কারন বেশ কিছু দিন হয়ে গেছে কোলকাতা ভ্রমণ করে বাংলাদেশে ফিরে আসছি। সিরিজটির নাম দিয়েছি হৃদয়ের টানে কোলকাতা। কেন এই নামটি দিলাম সেটা হয়তো লেখাগুলো পড়তে পড়তে ঠিক বুঝে যাবেন। কারন অনেক কিছুর অনুভূতি সঠিকভাবে প্রকাশ করা যায় না নির্দিষ্ট কোন শব্দ ব্যবহার করে। এই ভ্রমণটা ছিলো সেই রকম একটা অনুভুতি, যেটা হয়তো পুরোপুরি উপস্থাপন করতে পারবো না।

বেশ কয়েক মাস যাবত আমাদের মাঝে একটা উত্তেজনা কাজ করতে ছিলো, আর সেটা ছিলো আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা @rme দাদার সাথে সাক্ষাত করা। কিছু বিষয়ের প্রতি সকলের একটা অন্য রকম আকর্ষণ থাকে, কিছু মানুষের প্রতি অন্য রকম একটা ভালোবাসা কাজ করে এবং তার সাথে সাথে সেই সকল মানুষদের সাথে সাক্ষাত করার অন্য রকম একটা উত্তেজনা হৃদয়ে দিন দিন বাড়তে থাকে। আমাদের বিষয়টি অনেকটা ঠিক সেই রকম ছিলো, আমাদের প্রায় প্রতিদিন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতাম এবং নিজেদের উত্তেজনাকে আরো বেশী চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করতাম। আমরা বলতে আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন, আরিফ ভাই, সুমন ভাই, শুভ ভাই এবং আমি। যদিও শেষ পর্যন্ত শুভ ভাই তার নামের শুভ শব্দটার সঠিক ব্যবহার করতে পারেন নাই, তাই অনাকাংখিতভাবে তাকে আমরা মিস করেছিলাম এই ভ্রমণের সময়।

IMG_20230325_075538.jpg

অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে আমরা আমরা কাংখিত ভ্রমণের ভিসা পেতে সক্ষম হই, কিন্তু এখানে বেশ দুশ্চিন্তা এবং হতাশা ভর করেছিলো আমাদের উপর, এই মনে হয় আমাদের আকাংখা পূর্ণতা পাবে না আবার পরক্ষণেরই মনে হচ্ছে সব ঠিক হয়ে যাবে, এভাবে একটা সময় পর সেটা আলোকিত হয়ে উঠলো, অর্থাৎ আমাদের ভিসা নিশ্চিত হয়। এর পরেই শুরু হলো দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ কিভাবে যাবো? আমাদের প্রথম পছন্দ ছিলো ট্রেন কিন্তু যেহেতু রোজা শুরু হয়ে গেছে সেহেতু অনেকেই নিষেধ করলেন এখন ট্রেনের টিকেট পাওয়া খুবই মুশকিল হয়ে যাবে কারণ এই সময়টায় ব্যবসায়ীরা একটু বেশী যাতায়াত করেন কোলকাতা। বিকল্প অপশন ছিলো বাস, কিন্তু এটাতে আমি কোনভাবেই রাজি ছিলাম না, কারন এ বিষয়ে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো চাকুরী সূত্রে। তাই একটু খরচা বেশী হলেও আমরা সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলি এবং বিমানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এই ক্ষেত্রে আরিফ ভাই ছিলেন ভরসাস্থল। কারন আমরা যেদিন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সেদিনের কোন টিকেট ছিলো, মাঝখানে তিন দিন ছুটির দিন হওয়ার কারনে সব টিকিট অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছিল এবং টিকিটের দামও প্রায় দ্বিগুন হয়েছিলো।

IMG_20230325_071215.jpg

IMG_20230325_083256.jpg

IMG_20230325_083301.jpg

IMG_20230325_083305.jpg

স্মার্টবয় আরিফ ভাইয়ের কল্যাণে খুব সহজেই আমরা পরের দিনের টিকেট নিশ্চিত করে ফেলি এবং উত্তেজনা টাকে তিন গুণ উন্নীত করি। সত্যি বলছি সেদিন সকালে আমাদের ফ্লাইট ছিলো সকাল বলতে অতোটা সকাল ছিলো না, দশটায় ছিলো। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশ আর টিকেটের গায়ে লিখা ছিলো কমপক্ষে তিনঘন্টা আগে উপস্থিত থাকতে হবে, তাই বাড়তি চিন্তা কাজ করতে ছিলো মনের ভিতর। আসলে পত্রিকায় পরে মোটামোটি একটা ভিন্ন ধারণা তৈরী হয়ে গেছে আমাদের বিমানবন্দর কিংবা ইমিগ্রেশন সম্পর্কে। তাই সেদিন সারারাত আর ঘুমাতে পারি নাই, আগের দিনই একটা প্রাইভেট কার রির্জাভ করে রেখেছিলাম। রাতে সেহেরি খেয়ে আর ঘুমাতে যাই নাই, নামাজের পরই গাড়ি চলে আসে আমার বাড়ির সম্মুখে তারপর সেটায় করে রওয়ানা হই বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে, অবশ্য যাওয়ার পথে সুমন ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলাম, না জোর করে না উনি আপষেই উঠেছিলেন গাড়িতে, হা হা হা।

IMG_20230325_083331.jpg

IMG_20230325_083352.jpg

IMG_20230325_083427.jpg

IMG_20230325_090308.jpg

আমাদের টিকেটের গায়ে লিখা ছিলো ৭টা ১৫ মিনিটে ইমিগ্রেশনে থাকতে হবে, আমরা ৭টা বাজার পূর্বেই বিমানবন্দর চলে আসি এবং তারপর নতুন এক অভিজ্ঞতা অর্জন করি, কেন আমাদের তিন ঘন্টা পূর্বে বিমানবন্দর আসতে বলা হয়েছিলো? বিমান বন্দরের প্রথম গেইট পার হতেই আমাদের ৩০ মিনিট চলে যায়, অথচ এখানে কোন সময় লাগার কথা ছিলো না, পাশের জনতো আরো ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন, উনি নাকি দুই ঘন্টা যাবত সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন, ভেতরে টুকতেই পারছেন না। হঠাৎ এক ভদ্রলোক এসে বললেন ভিতরে যাবেন, সিরিয়াল ছাড়া ব্যবস্থা করে দিবো, জিজ্ঞেস করলাম কত টাকা লাগবে উনি বললেন দুই জনের ১০০০ টাকা লাগবে, বুঝেন এবার কেন সকলের এতো সময় লাগতেছিলো এখানে? অথচ এখানে কোন চেকিং নেই, কোন কিছু দেখার নেই এবং বলারও নেই। এটা ছিলো মূল গেইট, এরপর ভিতরে গিয়ে যার যার কাংখিত বিমানের কাউন্টারে যাবে এবং বোডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশনের সিরিয়ালে দাঁড়াবে। কিন্তু যারা নতুন বিষয়টি জানেন না, তারা হয়তো ভয়ে ৫০০/১০০০ টাকা ঠিক দালালদের দিয়ে ভেতরে ঢুকতে বাধ্য হবেন।

IMG_20230325_083744.jpg

IMG_20230325_083750.jpg

IMG_20230325_083838.jpg

IMG_20230325_083841.jpg

IMG_20230325_083848.jpg

যাইহোক, আমরা ভেতরে ঢুকলাম এবং হেল্পডেস্কে গিয়ে টিকেট দেখালাম তারপর আমাদের বিমানের বোডিং কাউন্টারে গিয়ে বোডিং পাশ নিলাম। তারপর শুরু হলো মূল পর্ব অর্থাৎ ইমিগ্রেশন, কঠিন একটা পরীক্ষা এখানে, না না না অন্য কিছুর না বরং আমাদের ধৈর্যের, কারন এতোটা স্লো এবং সময় ব্যয় হয় এখানে যা বলার ভাষা নেই, আমাদের সামনে অনেকেই দেখলাম আসসুস করছেন, কারো কারো বিমানে উঠার নির্দিষ্ট টাইম পার হয়ে গিয়েছে আবার কয়জনকে দেখলাম পাশে দাঁড়িয়ে আছেন যাদের বিমান ইতিমধ্যে চলে গিয়েছে। কারণ অব্যবস্থাপনা, স্লো গতিতে কাজ করা এবং শুধুমাত্র মূল গেটের ভিতরে ঢুকতেই এক/দুই ঘন্টা সময় নষ্ট হওয়া। যাইহোক, আমরা ঠিকঠাক মতোই সব সম্পন্ন করি, তারপর ভেতরে গিয়ে বিমানের অপেক্ষায় বসে থাকি। অপেক্ষায় মানে আমাদের বিমানের উঠার গেইট নির্দিষ্ট সময়ের আগে খোলা হবে না তাই আমরা সেখানে বসে তার অপেক্ষায় ছিলাম। তবে এই ফাঁকে আমরা চারপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখেছি, অন্য কাউন্টারে চলে গিয়েছি তারপর রানওয়ের দৃশ্যগুলো মোবাইলে ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছি।

IMG_20230325_083431.jpg

IMG_20230325_083435.jpg

অবশ্য এই ফাঁকে ভেতরে সাজানো এবং আকর্ষণীয় ফাষ্টফুড দোকানগুলো হতে কিছু পয়সা খরচা করে কিছু খেয়ে নিয়েছি, চিন্তা করলাম এতো কষ্ট করে ভেতরে প্রবেশ করলাম, আর এতো সুন্দর ডেকোরেশন করা দোকানগুলো হতে যদি কিছু না খাই তাহলে তাদের ডেকোরেশনটাই মাটি হয়ে যাবে, হি হি হি। অবশ্য দাম তুলনামূলক ভাবে একটু বেশীই ছিলো, আসলে বেশী না হলে সেটা হতো বেমানান হা হা হা। সময় যাচ্ছে আর আমাদের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই বিমানের আরো কিছু যাত্রীর সাথে পরিচয় হলাম এবং তাদের নিকট হতে কোলকাতার অভিজ্ঞতা নিলাম, যাতে উত্তেজনাটা একটু হ্রাস পায়। কিসের কি তাতে উত্তেজনা আরো দ্বিগুন হয়ে গেলো। নির্দিষ্ট সময় শেষে গেইট খোলা হলো এবং আমরা সকল নিয়ম অনুসরণ করে রানওয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার সেখানে অপেক্ষা করতে লাগলাম। বাকিটা পরের পর্বগুলোতে পাবেন ......

তারিখঃ মার্চ ২৫, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  
 2 years ago 

ঈদ মোবারক ভাইয়া। আপনারা অনেক ঝক্কিঝামেলার পর শেষে দাদার কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেন আর সেই অনুভূতি গুলো শেয়ার করেছেন, খুব ভাল লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

সত্যি বলতে দাদার সাথে সাক্ষাত হওয়ার পর সব ঝাক্কি ঝামেলার কষ্টই নিমেষেই ভুলে গিয়েছি।

Loading...

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

দাদার সাথে দেখাকরার প্রচন্ড ইচ্ছা আমারো আছে।তাই আপনার এই সিরিজটি অনেক উপভোগ করব। আপনাদের উত্তেজনা টা অনুভব করতে পারছি।ছোট বেলায় নানুবাড়ি যাওয়ার কথায় এমন হত।বাংলাদেশের প্রতিটা জায়গাতেই প্রায় এমন কাজের দেরি করাবার ভয় দেখিয়ে উৎকোচ আদায় চলে।অনেক ভাল লাগল প্রথম পর্ব। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আসলে দাদার ভালোবাসা সবাইকে দাদার প্রতি আরো বেশী আগ্রহী করে তোলছে, আশা করছি আপনার ইচ্ছাটাও পূর্নতা পাবে একদিন।

 2 years ago 

আপনার সিদ্ধান্ত একদম ঠিক ছিল ভাইয়া,বিমানে করে গিয়েই ভালো করেছিলেন। বাসে এবং ট্রেনে উভয় জায়গায় সমস্যা হতো রোজার সময়।আরিফ ভাইয়ের সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি টিকেট ম্যানেজ করে ফেলেছিলেন।এখানেও বোডিং কাউন্টারে গিয়েও অব্যবস্থাপনা,আসলে সব জায়গায় ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে একদমই ভালো লাগেনা।এসকল জায়গায় খাবারের দাম বেশিই থাকে,বাঙালি তো লাভ করাটা মেইন ফোকাস তাদের।আপনার কলকাতা ভ্রমণের অনুভূতির গল্প হৃদয়ের টানে প্রথম পর্ব পড়ে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

জ্বী সেটা ঠিক ছিলো কিন্তু বেশ সময় নষ্ট হয়েছে আমাদের শুধু মাত্র অব্যবস্থাপনার কারনে, সকল জায়গায় শুধু ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

 2 years ago 

কিছু কিছু অনুভূতি আছে যেগুলো ব্যক্ত করা যায় না। আমাদের সকলের প্রিয় দাদার সাথে দেখা করার সৌভাগ্য হয়তো আমাদের কখনো হবে না। তবে আপনি সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন এজন্য সত্যি ভালো লেগেছে ভাইয়া। তবে কোথাও যেতে গেলে বর্তমানে সত্যি ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়। ধৈর্য ধরে না থাকলে এগোনো যায় না। আসলে সময়টা এমন হয়েছে যে মানুষ ধৈর্য ধরতে ধরতে বিরক্ত হয়ে যায়। আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরো নতুন কিছু জানতে পারব। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আসলেই সেটা অন্য রকম একটা অনুভূতি ছিলো যখন দাদার ঠিক সামনে বসেছিলাম, কথা বের হচ্ছিল না মুখ দিয়ে কেমন জানি একটা জড়তা চলে আসছিলো।

 2 years ago 

এই পোস্টারই অপেক্ষায় ছিলাম। আসলে বিমানবন্দরের সব সময় সবকিছুতেই এরকম দেরি হয়। যখন আমরা আব্বুকে আনতে যেতাম প্রতিবছর তখন ঠিক এমনটাই অনেক দেরি করে বাবা বের হতো সময়ের চেয়ে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি,তাড়াতাড়ি লিখবেন কিন্তু ভাইয়া।আর পোস্ট পড়েই বুঝতে পারছি কতোটা এক্সাইটেড ছিলেন।

 2 years ago 

এটা সত্যি দুঃখজনক এবং অনাকাংখিত, যারা বিদেশী আসেন তারা প্রথমেই বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রবেশ করেন আর কোলকাতার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আসলেই উত্তেজনা চরমে ছিলো।

 2 years ago 

মুহূর্তগুলো পড়ছিলাম আর ভিন্ন রকম অনুভূতি কাজ করছিল নিজের মাঝে। হয়তো বাস্তবে পাশে থাকতে পারিনি এইটা সত্য, তবে মনটা পড়েছিল আপনাদের সঙ্গেই।

 2 years ago 

হ্যা, আমরাও সেটা সব সময় অনুভব করেছি, হয়তো আপনি সাথে ছিলেন না কিন্তু আমরা ভেবেছি আপনি আমাদের সাথেই আছেন।

 2 years ago 

ভালোবাসা নিরন্তর ভাই ❤️🙏

 2 years ago 

ভালোবাসার টানে কলকাতায়। আমি ভেবেছিলাম শুভ ভাই ও আপনাদের সাথেই ছিল।। কিন্তু আপনার পুরো পোষ্টটি পরে হতাশ হয়ে গেলাম যে শুভ ভাই আসলেই শুভক্ষণটা মিস করে গেল।।
আসলে ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন এই অনুভূতি এই ভালোবাসার অনুভূতি কখনো ব্যক্ত করে শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।।
তবে আপনারা দেখছি খুবই আবেগী ছিলেন কলকাতায় দাদার সাথে দেখা করবেন কথা বলবেন সামনাসামনি।।
আসলে এমন পরিস্থিতি যদি এমন মুহূর্ত আমার সামনে আসতো তাহলে আমিও আপনাদের মতোই এরকম প্রত্যেকটা মুহূর্তই আনন্দ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পার করতাম।।
আরিফ ভাইয়ের কথা কি বলবো আসলে ও আরিফ ভাই খুবই স্মার্ট।। আর সুমন ভাই তো তার সাথে আছেই ওভার স্মার্ট।।
ভালো লাগলো আপনার অনুভূতির গল্পের প্রথম পর্ব পড়ে পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।।

 2 years ago 

জ্বী ভাই এটা সকলের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য কারন ভালোবাসার মানুষগুলোর প্রতি আবেগটা সর্বদা বেশী থাকে।

আপনার পোস্ট পড়ে যতটা বুঝতে পারলাম হাফিজ ভাই, যে উত্তেজনা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আসছিলেন তার অর্ধেকই তো বিমানবন্দর এসে নষ্ট হয়ে গেল। হ্যাঁ এটা আমি জানি যে ইমিগ্রেশন করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে, তাই বলে এতটা সময় লাগে কি...?

হঠাৎ এক ভদ্রলোক এসে বললেন ভিতরে যাবেন, সিরিয়াল ছাড়া ব্যবস্থা করে দিবো, জিজ্ঞেস করলাম কত টাকা লাগবে উনি বললেন দুই জনের ১০০০ টাকা লাগবে।

আমি এখন অব্দি বিমানবন্দরে এই ধরনের লোকজনদের সন্ধান পাইনি। এরকম লোকে যে বিমানবন্দরে থাকে এটা আজ প্রথমবার জানলাম।

 2 years ago 

ভাই বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন কি আর বলবো, বেশ সময় নষ্ট হয় এখানে। সমস্যা নেই বিমানবন্দর আসলে বলিয়েন সন্ধান দিয়ে দিবো নে, হা হা হা।

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png