কক্সবাজার- অনুভূতির সতেজতায় আনন্দ ভ্রমণ (পর্ব-১০)

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, যেমন আছি ভালো আছি। কারন সর্বাবস্থায় আমাদের শুকরিয়া আদায় করা উচিত এবং নিজের অবস্থান নিয়ে খুশি থাকা উচিত। কারন আপনি যদি অখুশি থাকেন তাহলে সেটা পূর্ণ সদ্ব্যবহার করবে হতাশা। সুতরাং হতাশাকে দূরে রাখতে চাইলে এই বিষযটিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। জীবনের যে কোন বিষয়ে আপনার মাঝে অপূর্ণতা দেখা দিতে পারে সেটাকেও সন্তুষ্টচিত্তে হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করতে হবে আর এটা করতে পারলেই হয়তো আমাদের সমসাময়িক যে কোন বিষয়ের প্রতি কোন অভিযোগ থাকবে না। আর এই বিষয়টিকে আমি সব সময়ই গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করি।

IMG_20240525_170953.jpg

হ্যা, হয়তো মাঝে মাঝে আমিও আটকে যাই, বাস্তবতার কাছে হেরে যাই এবং সবটাকে মেনে নিতে পারি না। আর এই কারনেই হয়তো মাঝে মাঝে নিজেও খুব বেশী অখুশি হয়ে যাই। আসলে আমরা মানুষ যতটা কথার ক্ষেত্রে বলি ঠিক ততোটা মানার ক্ষেত্রে মানতে পারি না। কারণ পরিস্থিতি আমাদের সেই সুযোগটা দেয় না। তবে মাঝে মাঝে আমাদেরও উচিত পরিস্থিতি একটু ভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করা আর সেটা করার জন্য চাই সুন্দর ও আকর্ষণীয় জায়গায় ভ্রমণ করা। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের মানসিকতাকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। তেমন একটা ভ্রমণ ছিলো কক্সবাজার- অনুভূতির সতেজতায় আনন্দময় সেই ভ্রমণ এর দশমতম পর্ব শেয়ার করবো আজ।

IMG_20240525_142539.jpg

IMG_20240525_142544.jpg

দুপুরের খাওয়া শেষ করলাম আমরা, বেশ স্বাদের হয়েছিলো খাবারটা। সত্যি বলতে ট্যুরে গেলে খাবারের ক্ষেত্রে আমার মাঝে বেশ খারাপ অনুভূতি কাজ করে, কারন বাহিরের খাবার আমার খুব একটা সুইট করে না বরং মাঝে মাঝে অনাকাংখিতভাবে অপ্রস্তুত করে দেয়। তবে এবারের কক্সবাজারের ভ্রমণের সময় তেমন কিছুই ঘটে নাই, এটা হতে পারে আমরা অসিজনে গিয়েছিলাম এবং যার কারনে তারাও অল্প অল্প খাবার তৈরী করেছিলো, যার কারনে ভাসি কিংবা খাবারের মান অতোটা নিচু মানের হয়নি। সিজনের সময় যেহেতু মানুষের উপস্থিতি বেশী থাকে এবং তারাও খাবারের পরিমান ও কোয়ালিটি নিয়ে হিমশিম খেয়ে যায়, তাই একটু এদিক সেদিক হতে পারে, এটা একান্তই আমার নিজস্ব মতামত।

IMG_20240525_170934.jpg

IMG_20240525_170945.jpg

খাবার খাওয়ার পর আমি বাহিরে আসলাম, বেশ সুন্দর ও উজ্জ্ল ছিলো সেদিনের দিনটি। আর গরম ছিলো ভীষণ। যা দেখে বুঝার উপায় ছিলো পরিবেশ নিয়ে ঢাকার মানুষের মাঝে একটা ভয় কাজ করছে। তবুও আমরা সেই উষ্ণতাকে উপেক্ষা করে বিচে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং সেখানেই গিয়েই বিশ্রাম করবো। যথারীতি আমরা বিচের দিকে হাঁটা শুরু করলাম। সিবিচে গিয়েও আমরা ঠিক একই অবস্থা দেখতে পেলাম, উষ্ণতম ও উজ্জ্বল পরিবেশ। কিন্তু সমুদ্রের বিশাল ঢেউ সেটা খুব একটা বুঝতে দিচ্ছে না। আর এই কারনেই আমাদের বিচে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিলো। সন্ধ্যা হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা সেখানেই ছিলাম এবং চারপাশের পরিবেশ উপভোগ করার চেষ্টা করেছি।

IMG_20240525_171000.jpg

IMG_20240525_171139.jpg

IMG_20240525_171657.jpg

তবে বিকেল হওয়ার সাথে সাথে দৃশ্যগুলো পাল্টে যাওয়া শুরু হয়। মানে বিচে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সত্যি বলতে এই সিবিচের পরিবেশটা সব সময়ই উল্টো হয়ে থাকে দিনের আলোর তুলনায় রাতের অন্ধকারের আলোয় মানুষের উপস্থিতি বেশী হয়ে থাকে। বিকেল হওয়ার সাথে সাথে নানা খাবারের হকারের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করে । তবে আগের তুলনায় অনেক কম সংখ্যক হকার ছিলো, যা বিচের পরিবেশ অনেক বেশী নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। আমরা অবশ্য আগ্রহ নিয়ে সব কিছুই দেখার চেষ্টা করেছি। ঐ যে কথায় বলে না এক ঢিলে দুই পাখি মারা, বিষয়টি ঠিক তেমনই ছিলো। পরের পর্বে সন্ধ্যার আগ মুহুর্তের অনুভূতিগুলোর শেয়ার করবো আরো দারুণ কিছু ফটোগ্রাফির সাথে।

IMG_20240525_171701.jpg

IMG_20240525_171714.jpg

তারিখঃ মে ২৫, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ কক্সবাজার।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 yesterday 

কক্সবাজার গিয়ে খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া যায়। আমি যতবার কক্সবাজার গিয়েছি,প্রতিবারই তৃপ্তি সহকারে খাবার খেতে পেরেছি। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই খেতে তো আরও বেশি ভালো লাগে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। সন্ধ্যার পর বীচে সময় কাটাতে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 yesterday 

কক্সবাজার সৈকতে বসে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে ভাই। আমি তো একা একা বসে ছিলাম দীর্ঘ সময়। কত সুন্দর সব ছাউনি করা। আপনি ভীষণ সুন্দর একটি ভ্রমণ করে এসেছেন। খাওয়া-দাওয়ার বিবরণও ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে একটি দারুণ ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করলেন।