"আমরা গভীরভাবে শোকাহত"

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার

বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই? আমার মন কিন্তু একবারেই ভালো নেই।তারপরও ভরাক্রান্ত মন নিয়ে লিখতে বসলাম।

আমরা গভীরভাবে শোকাহত:

pexels-photo-783200.jpeg
সোর্স

আজকের লেখাটি কোথা থেকে শুরু করবো সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।কারন মন থেকে একটি শব্দও নির্গত হচ্ছে না,সঙ্গে আমার হাতও বারেবারে থমকে যাচ্ছে।

গতকাল সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে যখন আনাউন্সমেন্টে বড় দাদার বাবার মৃত্যুর খবরটি জানতে পারলুম,আমি একেবারেই হতবাক হয়ে গিয়েছি।এটা জানার পর মন যেন কিছুতেই মানছে না,শুধু আঙ্কেলের মুখের প্রতিচ্ছবিটি বারেবারে ভেসে উঠছে চোখের সামনে।এমনকি বৃহস্পতিবার রাতেও দাদা আমাদের সঙ্গে হ্যাংআউটে কতটা সময় আনন্দে অতিবাহিত করেছেন কুইজ দেওয়ার মাধ্যমে।এমন একটি মুহূর্ত হঠাৎ চলে আসবে এটা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল।

এইতো কয়েক বছর আগের কথা।যেদিন দাদার বাবাকে আমি প্রথমবার এবং শেষবার দেখেছিলাম, কিছুটা সময় উনার সঙ্গে গল্প করে কাটিয়েছিলাম আমার পরিবারসহ।খুবই ভালো একজন মানুষ ছিলেন আঙ্কেল।তাছাড়া উনি বেশ সুস্থ-সবলও ছিলেন।দাদার মা বেশ খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মাঝে। হঠাৎ এভাবে একজন সুস্থ মানুষের চলে যাওয়াটা কতটা কষ্টের সেটা হয়তো শুধু সেই পরিবারের মানুষ-ই জানেন।আমাদের হয়তো বা বাইরে থেকে কখনো সেটা অনুভব করা সম্ভব নয়।দাদার এবং দাদার পরিবারের উপর দিয়ে যে কি পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণা বয়ে যাচ্ছে সেটা ভেবেই মন কেঁপে উঠছে।

জীবন সবসময় ক্ষণস্থায়ী।কে কখন আমাদের মাঝ হতে হারিয়ে যাবে সেটা বোঝা মুশকিল।একজন শয্যাশায়ী পীড়িত মানুষ যখন আমাদের মাঝ হতে চলে যায় সেটা যতটা না কষ্টের, তার থেকে অধিক কষ্টের যখন হঠাৎ করেই হাসি-খুশি থাকা সুস্থ-সবল মানুষের চলে যাওয়াটা।দাদার মায়ের কথা ভেবেই খুবই কষ্ট হচ্ছে যে,তিনি কতটা একা হয়ে গেলেন।দাদার ও দাদার পরিবারকে কিভাবে সান্ত্বনা দেবো সেই ভাষা হয়তো আমার জানা নেই।তাছাড়া তনুজা বৌদিও বেশ অসুস্থ।তাই এই কঠিন সময়ে দাদাদেরকেই ধৈর্য্য ধরতে হবে।

যেকোনো বিদায় সবসময় কষ্টের ও গভীর যন্ত্রণার।আর বাবা চলে যাওয়া মানেই মাথার উপরের ছাদ ভেঙে পড়া।তবুও এই অনিশ্চিত জীবনে কঠিন সময়কে মেনে নিয়েই চলতে হবে।সবাইকে একদিন এই অজানার পথে পাড়ি দিতে হবে।বাবার চলে যাওয়া মানেই অন্তরে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হওয়া।যে ক্ষত কাউকে দেখানো যায় না, শুধু অনুভব বা অনুধাবন করতে পারে সেই মানুষগুলো।দাদার বাবার মৃত্যুতে আমি ও আমার পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।এই বাংলা ব্লগ পরিবারের মানুষরা মর্মাহত।

দাদার বাবা সবসময় বেঁচে থাকুক আমাদের মাঝে।তিনি যেন পরপারে ভালো থাকেন এবং উনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।দাদার পরিবারকে ধৈর্য্য দান করুক,কঠিন সময় সহ্য করার মতো শক্তি দান করুক এটাই ঈশ্বরের কাছে মন থেকে প্রার্থনা করি।।


আমার আজকের অনুভূতিটা এই পর্যন্ত-ই,আর কিছুই লেখার নেই।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমান

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

Thanks.

 last year 

দাদার বাবার মৃত্যুর খবর শুনে আমরা সবাই অনেক কষ্ট পেয়েছি আপু। আসলে এরকম কোন খবর হঠাৎ করে শুনলে নিজেকে সামলে রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমরা সবাই মন থেকে প্রার্থনা করি উনি যেন পরপারে ভালো থাকেন।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু,হঠাৎ এমন খবর আসলেই মেনে নেওয়া কঠিন।ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

হঠাৎ করে দাদার বাবার মৃত্যু সংবাদ শুনে বেশ কষ্ট পেয়েছি। কেননা দাদা কাছে কখনও আংকেল এর অসুস্থতার কথা শুনেনি।তাই হঠাৎ অংকেল এ মৃত্যু সংবাদ শুনে বেশ খারাপ লাগলো। দাদা ও দাদার পরিবার যেন সেই শোক সইতে পারেন সে প্রার্থনা করি। আর পরপারে তিনি যেন ভালো থাকেন সেই প্রার্থনা করি।

 last year 

আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

এই খবরটি কাল দুপুরে দেখে আমার ভীষণ খারাপ লাগছিলো।আমি পোস্ট শেয়ার করা ছাড়া আর কোন কাজই এই কমিউনিটিতে করতে পারিনি।পরে রাতে বসে আছি পোস্ট ও পড়তে ভালো লাগছিলো না।তাই একটা কবিতা লিখেছিলাম।বার বার মনে হচ্ছিল দাদা যদি জেনারেল চ্যাটে এসে একটু কথা বলতো।সত্যি এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়।দাদা তার পরিবারের সবাইকে ধৈর্য ধারন করার শক্তি আল্লাহ দান করুন এটাই চাওয়া আমার।

 11 months ago 

এমন করে আপনজনের মধ্যে কেউ হঠাৎ হারিয়ে গেলে কিছুই করতে ভালো লাগে না, ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

দাদার বাবার মৃত্যু আমাদের সবার জন্য একটি বিশাল ক্ষতি এবং শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। আপনার লেখায় যে আবেগ এবং যন্ত্রণার প্রতিফলন ঘটেছে, তা খুবই হৃদয়স্পর্শী।

জীবনের এই অনিশ্চয়তায়, এমন হঠাৎ করে প্রিয়জনের চলে যাওয়া সত্যিই খুব কষ্টের। আমরা সবাই জানি, দাদার বাবার মৃত্যুতে দাদার পরিবার যে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করছে, তা বলার মতো নয়। আমাদের সকলের প্রার্থনা এবং সমবেদনা দাদার পরিবারের সাথে রয়েছে।

দাদার পরিবারকে এই কঠিন সময় সহ্য করার শক্তি দান করুন। আমাদের সকলের মনে তিনি সবসময় বেঁচে থাকবেন। দাদার এবং তার পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল।

[@redwanhossain]

 11 months ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য, ধন্যবাদ আপনাকে ।

 11 months ago 

ভালো মানুষগুলো পৃথিবী থেকে তাড়াতাড়ি বিদায় নিলেও, তারা নিজেদের ভালো কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝেই সারাজীবন বেঁচে থাকেন। দাদার বাবা অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন এবং ভীষণ পরোপকারী ছিলেন। মহান সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই উনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন। দোয়া করি উনি ওপারে যাতে খুব ভালো থাকেন। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তা যেনো দাদার পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দেন, সেই কামনা করছি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 11 months ago 

আসলেই ভাইয়া, ভালো কর্মের মাধ্যমে মানুষ বেঁচে থাকে।ধন্যবাদ ভাইয়া ,সুন্দর মতামতের জন্য।