"চায়ের আড্ডা"
নমস্কার
চায়ের আড্ডা:
পরশুদিনের কথা।ইউনিভার্সিটি গিয়ে দেখলাম মাত্র দুটি ক্লাস হয়েছে, তাও মাঝে অনেক গ্যাপ দিয়ে।তাই একটি ক্লাস করে ফাঁক পেতেই রেসিপির ছবি আপলোড করে লিখে একটি পোষ্ট করে নিলাম।এরপর অফিস রুমে গিয়ে hod ম্যামের কাছ থেকে একটি সিগনেচার সংগ্রহ করে নিলাম স্কলারশিপের ফর্মে।এরপর টিফিন শুরু হলে আমার বন্ধুরা ঝিলের পাড় হয়ে সবাই ক্যান্টিনে ছুটলো।আমি অবশ্য যায় নি,টিফিনের পর একটি ক্লাস হলো।তারপর আর ক্লাস হবে না তাই বাড়ির পথে পা বাড়ালাম।
আমার এক বান্ধবী আগেই ঝিলের পাড়ে চলে গিয়েছিল, আমি তখন টাইম দেখলাম।দেখলাম বিকেল 3.16 বাজে যখন মেন লাইনের ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে।তারপর সেই 4.30 মিনিটে ট্রেন তাই আমি আমার সেই বান্ধবিকে ফোন করলাম।তারপর ফার্স্ট গেট অব্দি পৌঁছে গিয়ে আবার ব্যাক করলাম ঝিলের পাড়ে।গিয়েই দেখি কয়েকজন মিলে ঝিল পাড়ের সিঁড়িতে সেলফি তুলছে,সামিল হলাম সেখানে।তারপর একটু হাঁটলাম জিওগ্রাফি ডিপার্টমেন্ট এর পাশ দিয়ে।এক বান্ধবী ছিল আমাদের সঙ্গে যে হোস্টেলে থাকে সে বললো--
-- চল তোদের কিছু খাওয়ায়।তবে আমার অকাতের মধ্যে।
আমরা মোট তিনজন ছিলাম তাই বললাম----ঠিক আছে, তোর পকেটে যখন টাকা বেশি হয়েছে আর যেচে খেতে দিচ্ছিস যখন তাহলে খাওয়া।
জিওগ্রাফি ডিপার্টমেন্ট এর পাশে একটি ক্যান্টিন রয়েছে আর চায়ের দোকানও রয়েছে যেদিকে আমরা দুজন আগে কখনো আসেনি। ঐ বন্ধুটির নাম ছিল অন্তরা।অন্তরা বললো---- চা খাবি নাকি কফি?
আমরা বললাম---তোর যেটা খুশি।
এমনিতেই চা খাওয়ার অভ্যেস আমার কোনোকালেই নেই।তবে শীতকাল বলে বাড়িতে ইদানিং সন্ধ্যাতে কফি,গ্রিন টি এবং রং চা করা হয় কোনো কোনো দিন।তো ও তিনকাপ দুধ চা নিলো সঙ্গে একটি চানাচুর টাইপের ডিজাইন করা খাবারও নিলো।
মজার বিষয় হচ্ছে বন্ধুরা, মিলে এতটাই গল্প করছিলাম যে টাকা দিতে মনেই ছিলো না ওর।তারপর যেই হাঁটা শুরু করেছি কয়েক পা তখন ও নিজে থেকেই দৌড়ে গিয়ে দাম মিটিয়ে আসলো।আমরা দূরে দাঁড়িয়েছিলাম একটি কুকুর এসে হাজির।তাই খাবারের একটু করে অংশ তাকেও দিলাম আমরা।কিছুটা গিয়েই কেমেস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট এর পাশে একটি বাঁশের পুল রয়েছে আমরা তো বেশ মজা করলাম সেখানে।যদি বাকি দুইজন খুবই ভয় পাচ্ছিলো,এরপর চলে গেলাম আমরা গেটের কাছে।আর অন্তরা তার হোস্টেলের দিকে চলে গেল,ওকে টাটা জানিয়ে গেটে আসতেই দেখলাম অনেকগুলো হনুমানের উপস্থিতি।সবগুলো বসে আছে পাঁচিলের উপর একটি ছবি তুলবো কিন্তু আমার সঙ্গে থাকা বান্ধবী তুলতেই দিলো না ভয়ে।
আমাকে আঁকড়ে ধরে নিয়ে চলে আসলো বাইরে, যাইহোক পরের দিন আমাদের হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট এর ফুটবল খেলা রয়েছে মোহনবাগান মাঠে।তাই আর সেদিন কোনো ক্লাস হবে না,আমরা দুজনে টোটো ধরে স্টেশনে গিয়ে দেখলাম আরেক মুশকিল।সেখানে আবার 8-10 টা কুকুরের লড়াই লেগেছে সেখানেও ওর ভীতু স্বভাব ,যাইহোক কয়েকজন পুলিশ অবশ্য লাঠি দিয়ে থামানোর চেষ্টা করছিলো তাদের।এরপর আমরা ট্রেন ধরে নিলাম 3 নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে।এটাই ছিল আমাদের চায়ের আড্ডার ছোট্ট মুহূর্ত।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বান্ধবীদের সাথে চায়ের আড্ডায় দেখতেছি বেশ মেতে উঠেছিলেন। আপনার বান্ধবী অন্তরার ট্রিট যদিও বা ছোট মানের হয়েছে তারপরেও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে এরকম ছোট ছোট জিনিসগুলোতেও ভীষণ মজা হয়। আর ঠিক সে কারণেই হয়তো বা বিল দিতে ভুলে গিয়েছিলেন। যাইহোক আপনার বান্ধবীদের সাথে কাটানোর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
যেহেতু কলেজে ক্লাস ছিল না তাহলে তো চায়ের আড্ডা দেওয়া যায়। বেশ ভালোই করলেন তিন বান্ধবী মিলেই চায়ের আড্ডায় বসে পড়লেন। বিশেষ করে চানাচুরের মত নাস্তাটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো দেখে। ডিজাইনটাও খুবই সুন্দর আপু। সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে বর্ণনা করলেন। আপনাদের খাওয়া দাওয়া দেখে খুব ভালো লেগেছে।
ফ্রেন্ডদের সাথে মাঝেমধ্যে এভাবে আড্ডা দিতে কিন্তু ভালোই লাগে। আপনারা তো দেখছি বেশ ভালোই আড্ডা দিয়েছিলেন। চায়ের আড্ডা দেওয়ার বিষয়টা কিন্তু দারুন ছিল । পকেটে টাকা থাকলে অনেক ভালো লাগে আড্ডা দিতে আর খাওয়া-দাওয়া করতে। আপনাদের কাটানো পুরো মুহূর্তটা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম।
দিদি আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে চায়ের আড্ডার মুহূর্তটা সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। আর এই মুহূর্তটা দেখে আমার নিজের তো অনেক ভালো লেগেছে। ইচ্ছে করছে আপনার হাত থেকে চায়ের কাপ নিয়ে খেয়ে ফেলতে। এরকম আড্ডা দিতে কে না পছন্দ করে। পুরো মুহূর্তটাকে এত সুন্দর করে শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
বন্ধুদের সাথে মাঝেমধ্যে এভাবে আড্ডা দিতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। আপনারা বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনারা তিন জন মিলে চায়ের আড্ডা দিয়েছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আরে বাহ খুবই ভালো লাগলো তো আপনাদের এই একসাথে চলাচল আর খাওয়া দাওয়া। আমি যেন অনেক সুন্দর অনুভূতি খুঁজে পেলাম আমার কলেজ লাইফের। অনেক কিছু মনে করলাম আমার প্রিয় বান্ধবীদের সাথে এভাবে চলাচল করেছি। একদম হুবহু সব শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।