"পেঁয়াজের পুর দিয়ে বিচিকলা ভাজা রেসিপি"
নমস্কার
"পেঁয়াজের পুর দিয়ে বিচিকলা ভাজা রেসিপি"
সময়ের অভাবে অনেকদিন হলো কোনো রেসিপি তৈরি করা হয়না।তাছাড়া বাড়িতে বেশ কিছু বিচিকলা পড়ে ছিল,যেগুলো কম পরিপক্ক বলে খাওয়া হচ্ছিলো না।তবে খুবই ভালো জাতের,কম পরিপক্ক হলেও একেরবারেই কস নয়।তাই ভাবলাম নতুন কিছু তৈরি করবো, যেভাবে আগে কখনো খাওয়া হয়নি।তাছাড়া বাড়িতে যেহেতু আমি একা রয়েছি আর রান্নার দায়িত্ব আমার উপর।সেহেতু নতুন কিছু তৈরি করা যেতেই পারে, তো ভাবনা অনুযায়ী লেগে পড়লাম কাজে।তো আমি তৈরি করলাম পেঁয়াজের পুর দিয়ে বিচিকলা ভাজা রেসিপি।যদিও এটা তৈরি করা একটু সময়সাপেক্ষ তবুও খেতে অনেক মজাদার ও সুস্বাদু।কেউ খেয়ে প্রথমে তো বুঝতেই পারিনি এটা কি কলার রেসিপি।এটা আরো মজাদার করে তুলতে আমি ডালও তৈরি করেছিলাম।যাইহোক আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
2.পেঁয়াজ কুচি- 2 টি
3.বেসন - 4 টেবিল চামচ
4.লবণ- 1.5 টেবিল চামচ
5.হলুদ-1 টেবিল চামচ
6.লাল মরিচ গুঁড়া-1.5 টেবিল চামচ
7.সরিষার তেল-1/2 কাপ
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি বিচিকলার খোসা হালকা ছাড়িয়ে নিয়ে মাঝবরাবর কেটে নিলাম।তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম ভালোভাবে।
ধাপঃ 2
এবারে একটি পরিষ্কার কড়াই বসিয়ে দেব চুলার মিডিয়াম আঁচে।তারপর তার মধ্যে স্বাদ মতো হলুদ ও লবণ দিয়ে কেটে রাখা বিচিকলার পিচগুলি দিয়ে দেব।
ধাপঃ 3
এখন 3-4 মিনিট ধরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে বিচিকলাগুলি জলে সেদ্ধ করে নেব।
ধাপঃ 4
এরপর সেদ্ধ করা কলাগুলি নামিয়ে নিয়ে আলতোভাবে প্রত্যেকটি কলার পিচগুলি থেকে বিচি বের করে ফেলে দেবো।
ধাপঃ 5
তো প্রত্যেকটি কলার পিচ থেকে আমি বিচি বের করে ফেলে নিয়েছি।
ধাপঃ 6
এখন পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে একটি গ্রেটারের সাহায্যে গ্রেট করে নিলাম মিহি করে।
ধাপঃ 7
এরপর গ্রেট করে নেওয়া পেঁয়াজের সঙ্গে বেসন,লবণ, হলুদ ও পরিমাণ মতো লাল মরিচের গুঁড়া নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 8
এবারে সবগুলো উপকরণ একত্রে মিশিয়ে নেব হাত দিয়ে।এর মধ্যে সরিষার তেল যুক্ত করলাম 1-2 টেবিল চামচ।
ধাপঃ 9
তো পেঁয়াজের পুর আমার তৈরি করে নেওয়া হয়ে গেল।
ধাপঃ 10
এরপর একটি করে কলার পিচ নিয়ে তার দুইপাশে ফাঁকা অংশে পেঁয়াজের পুর ভরে নিলাম।
ধাপঃ 11
তো এইভাবে সবগুলো কলার পিচের ভিতরে পুর ভরে নিলাম।
ধাপঃ 12
এখন একটি পরিষ্কার কড়াই পুনরায় চুলাতে বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে গরম করে নেব।তারপর কলার যে পাশে পুর ভরে নেওয়া হয়েছে সেইপাশ করে তেলের উপর দিয়ে দেব।
ধাপঃ 13
তো এইভাবে উল্টেপাল্টে সবগুলো কলার পিচ সময় নিয়ে ভেজে নেব বাদামি রঙের করে।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে ভেজে নেওয়া কলার পিচগুলি তুলে নেব একটি প্লেটে।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "পেঁয়াজের পুর দিয়ে বিচিকলা ভাজা রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে কিংবা এমনি পরিবেশন করা যাবে।এছাড়া ডালের সঙ্গেও বেশ ভালো জমবে।এটি দেখতে যেমন লোভনীয় তেমনি খেতেও খুবই সুস্বাদু ও মজাদার।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টাস্ক প্রুফ:
আপনার আজকের এই রেসিপি বেশ ইউনিক ছিল। অনেক রকমের রেসিপি খেয়েছি কিন্তু এই ধারার রেসিপি কখনো খাওয়া হয়ে ওঠেনি। যেন ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি সম্পর্কে ধারণা পেলাম আপনার জন্য।
প্রথমে আমি ছবি দেখে মনে করেছিলাম এগুলোর পটল ভাজি। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম কাঁচা বিচি কলার দারুন রেসিপি। রেসিপিটা আমার কাছে একদম নতুন তবে ভীষণ ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
পেঁয়াজের পুর দিয়ে এরকম কলা ভাজি করে কখনো খাওয়া হয়নি। কলা ভাজি করে খাওয়া যায় এটাই জানা ছিল না। আপনার রেসিপি টা দেখে তো খুবই লোভনীয় লাগছে। ইউনিক একটা রেসিপি দেখতে পারলাম। সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুণ তো! বিচি কলা কেবল মাত্র ঠাকুর বাড়ির প্রসাদ হিসেবে খেয়েছি। সে তো অবশ্যই অমৃত স্বাদ। কিন্তু এইভাবে কখনও খাইনি। আসলে বিচি কলা কোনদিন পেঁয়াজ দিয়েই খাওয়া হয়নি। তোমার রেসিপিটা কিন্তু বেশ লোভনীয়।
শুধু লোভনীয় নয়,খেতে ভীষণ মজার দিদি।আর বিচিকলা আমার খুবই প্রিয় ,মাছ দিয়ে খেতেও দারুণ লাগে।ধন্যবাদ তোমায়।
পেঁয়াজের পুর দিয়ে বিচি কলা ভাজা রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। পেঁয়াজের পুর দিয়ে বিচি কলা ভাজা রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তুমি যে রেসিপিটি শেয়ার করেছ তা তো কেউ কোনদিন খেয়েছে বলে মনে হয় না। কারণ এটি ভীষণ আনকমন একটি খাবার। অসাধারণ এমন একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলে বলে খুব ভালো লাগলো। চেষ্টা করব একদিন এই রেসিপিটি রান্না করে খাওয়ার।
অবশ্যই চেষ্টা করবেন দাদা,আমিও এটা নতুন তৈরি করে খেলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
একেবারে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। বিচি কলা খেতে আমার খুবই বিরক্ত লাগে। তবে বিচি ফেলে দিয়ে, পেঁয়াজের পুর ভরে এমন মজাদার রেসিপি তৈরি করলে তো মজা করে খাওয়া যাবে। বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটা দেখে। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও এই বিচিকলার বিচি একদম খেতে পারিনা,একটা একটা করে বেছে ফেলে দিয়ে তারপর খাই।কিন্তু এভাবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন ভাইয়া, ভালো লাগবে।
আসলে এভাবে কখনো বিচি কলা রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে পেঁয়াজের পুর দিয়ে বিচিকলা ভাজা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেসিপি টি তৈরি করেছেন।
একা বাড়িতে ছিলেন আর রান্নার দায়িত্ব ও আপনার ছিল বলে বেশ ইউনিক আইডিয়া বের করে নিয়েছেন দেখছি। তাহলে তো আপনার মায়ের উচিত সবসময় আপনাকে রান্নার দায়িত্ব দেওয়া। তাহলে পরিবারের সবাই ইউনিক রেসিপি খেতে পারবে। যাই হোক বিচি কলা দিয়ে এভাবে পেঁয়াজে পুরভরা রেসিপির নাম যেমন শুনিনি তেমনি খাওয়া ও হয়নি। আপনার কাছ থেকে যেহেতু ভিন্ন ধরনের রেসিপি শিখেছি তাহলে অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করে দেখবো। ধন্যবাদ দিদি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।