ফটোগ্রাফি পোস্ট: কয়েকটি এলোমেলো ফুলের ফটোগ্রাফি।

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি এলোমেলো ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।

বাগানবিলাস

আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। উপরে এবং নিচে আমি দুইটি বাগান বিলাস ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। বর্তমানে বাগান বিলাস গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুল এসেছে। আমার এক আঙ্কেলের বাসায় এই বাগান বিলাস ফুলের গাছ রয়েছে গেটের সামনে। প্রচুর পরিমাণে ফুল ফোটায় গেটের সৌন্দর্য অনেক গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। কালকে আঙ্কেলের বাসায় ঘুরতে গিয়ে আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম বাগান বিলাস গাছটির ফুল গুলো দেখে। আমাদের এদিকে বেশিরভাগ লোক গেটের সামনে এই গাছটি রোপন করে থাকেন। এই গাছের ফুল গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি ও বেশ চমৎকার হয়ে থাকে। আপনারা চাইলে এই ফুল গাছের ফটোগ্রাফি করতে পারেন।

বাঁধাকপি

এবার উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে বাঁধাকপি ক্ষেতের ফটোগ্রাফি। ফুলকপি এবং বাঁধাকপি আমার কাছে ফুলের মতই লাগে দেখতে। একজন কৃষক তার জমিতে সারি সারি বাঁধাকপি রোপন করেছেন, ফলনও ভালো হয়েছে দেখা যাচ্ছে। শীতের মাঝে আমরা বাঁধাকপি খেলেও এই বাঁধাকপি আমরা গ্রীষ্মকালে খেতে পারব এখনো পরিপক্ক ভাবে এই সবজি হয়ে ওঠেনি আরো বেশ কিছুদিন লাগবে বাজারজাত করতে। বর্তমানে বাঁধাকপির দাম না থাকলেও গ্রীষ্মকালে হয়তোবা বাঁধাকপির দাম পেতে পারেন এই কৃষক। সচরাচর এই সময় কেউ বাঁধাকপি রোপন করেন না আমাদের এদিক। যাইহোক কৃষকের পরিকল্পনা ঠিকই রয়েছে আমার মতে।

রঙ্গন ফুল

উপরে যে ফটোগ্রাফটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফি। কয়েকদিন আগে আমি রংপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে আমি বেশ কয়েকটি ফুলের ফটোগ্রাফি করেছিলাম তার মধ্যে এই রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফি একটি। রঙ্গন ফুল বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে আমার কাছে এই গোলাপি টাইপের রঙ্গন ফুলটি বেশি ভালো লাগে। ফটোগ্রাফিও বেশ চমৎকার হয় এই ফুলের। এই ফুল আমরা বেশিরভাগ শীতকালেই ফুটতে দেখতে পাই। আমার কলেজের আঙ্গিনায় এই ফুলের অনেকগুলি গাছ রয়েছে । সেই গাছগুলোতে আমি প্রায় সারা বছরই যখনই কলেজ যাই তখনই দেখতে পাই।

ভাইটার ফুল

এবার যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে ভাইটার ফুলের ফটোগ্রাফি। এই গাছটি আমাদের এলাকায় ভাইটার নামে পরিচিত। এই গাছটি বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে ডেকে থাকেন। এই গাছটির সঠিক নাম আমার জানা নেই। এই গাছটি যেখানে সেখানে জন্মে থাকে। বিশেষ করে বন জঙ্গলে রাস্তার ধারে এই গাছটি দেখতে পাওয়া যায়। এই গাছটিতে প্রথমে ফুল এবং পরবর্তীতে ছোট ছোট ফল দেখতে পাওয়া যায়। এই ফটোগ্রাফিটি আমি আমাদের রাস্তার ধারে জন্মানো ভাইটার গাছে ফুল দেখতে পেয়ে করেছিলাম। প্রথমে ভাবছিলাম ফটোগ্রাফি হয়তোবা ভালো আসবেনা , ফটোগ্রাফি করার পর দেখলাম ভালোই ফটোগ্রাফি হয়েছে।

আজকে এ পর্যন্তই। আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্টে জানাবেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

আমার নাম মোঃ গোলাম রব্বানী।আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলাতেই কথা বলতে ভালোবাসি।আমি একজন ছাত্র।আমি লালমনিরহাট সরকারি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ালেখা করি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের মিয়াপাড়া নামক গ্রামে।আমি ফটোগ্রাফী এবং ভ্রমণ করতে বেশি ভালোবাসি।