ভ্রমণ পোস্ট: রংপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি। (১ম পর্ব)
আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি আপনাদের সাথে রংপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়ে কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন আগে আমি এবং আমার ছোট মামা সহ রংপুরে মার্কেট করার জন্য গিয়েছিলাম। মার্কেট শেষে আমি এবং আমার মামা সহ একটু ঘোরার জন্য চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেছিলাম। প্রথমে আমাদের যাওয়ার কথা ছিল চিকলি ওয়াটার পার্কে। চিড়িয়াখানায় তেমন যাওয়া হয়না বিধায় মামাকে বললাম আজকে চিড়িয়াখানায় আড্ডা দেবো। আগে টিকিট ছিল দশ টাকা করে এখন ২৫ টাকা করে টিকিট এর মূল্য করেছে।
আগের তুলনায় চিড়িয়াখানায় এখন অনেক উন্নত মানের হয়েছে। প্রকৃতিতে বিলুপ্তপ্রায় পশুপাখি এখানে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম। উপরে যে দুটি ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন একটি হচ্ছে ময়না পাখির এবং অপরটি হচ্ছে টিয়া পাখির ফটোগ্রাফি। আগে আমাদের দেশে আনাছে কানাচে এই টিয়া পাখি এবং ময়না পাখি দেখা যেত প্রকৃতিতে। বর্তমানে এই পাখি দুটি আমাদের দেশে বিলুপ্তপ্রায় প্রকৃতি থেকে। আর যদিও বা দেখা যায় এই পাখি তাহলে পাখি শিকারীরা এসব ধরে অবৈধভাবে বাজারে বিক্রি করেন। আমাদের সকলের উচিত এসব বিলুপ্তপ্রায় পাখি শিকার থেকে বিরত থাকা। প্রকৃতি থেকে একটি প্রাণী বিলুপ্ত হলে প্রকৃতির বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
এবার উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে হরিণের ফটোগ্রাফি। এসব হরিণ আমাদের দেশের সুন্দরবনে বেশিরভাগ দেখতে পাওয়া যায়। কয়েক মাস আগে আমি অবশ্য সুন্দরবনে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে আমি অনেকগুলি হরিণ বনের মাঝে দেখতে পেয়েছিলাম। ভাগ্যিস বাঘ মামার সাথে দেখা হয়নি। অনেকেই আমরা এসব প্রাণী শিকার করে খেয়ে ফেলি। এসব বন্যপ্রাণী আমাদের দেশের সম্পদ এগুলো রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এই প্রাণীগুলো দেখতে অপরূপ সুন্দর। প্রকৃতিতে থাকলে প্রকৃতির আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেত। বর্তমানে সুন্দরবন ব্যতীত আমাদের দেশের প্রকৃতিতে আর কোথাও দেখা যায় না।
উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে বানরের ফটোগ্রাফি। আমাদের দেশে দক্ষিণ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে এই বানর দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের উত্তর অঞ্চলে এই বানর দেখতে পাওয়া যায় না। রংপুর চিড়িয়াখানার দক্ষিণে এই বানরের একটি বিশাল আবদ্ধ ঘর রয়েছে। অনেকগুলি বানর সেখানে আমি দেখতে পেয়েছিলাম এবং অনেকগুলো বাচ্চাও। মুহূর্তের মাঝেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বানরগুলো লাফিয়ে লাফিয়ে চলার দৃশ্যগুলো আসলেই মুগ্ধকর। সেদিন আমরা বানরকে কিছু বাদাম খেতে দিয়েছিলাম। তারা মানুষের ন্যায় আচরণ করে।
উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে শিশু পার্কের ফটোগ্রাফি। রংপুর চিড়িয়াখানার ভিতরে এই শিশু পার্ক টি অবস্থিত। শিশু পার্কে বেশিরভাগ শিশুরাই প্রবেশ করে থাকে সেখানে শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে প্রবেশ মূল্য রয়েছে। পার্কের বাইরে থেকে আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এর আগে এর ভিতরে কয়েকবার প্রবেশ করেছিলাম। মামাকে বলছিলাম যে চলো প্রবেশ করি কিন্তু শিশু পার্ক হওয়ায় মামা প্রবেশ করতে নিষেধ করে এজন্য পরে আর সেখানে আমাদের প্রবেশ করা হয়নি। পার্কে সেদিন আমরা অনেক সময় অতিবাহিত করেছিলাম এবং নানা ধরনের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। দিনটি আমাদের ভালই কেটেছিল সেদিন।
আজকে এ পর্যন্তই। আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্টে জানাবেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Device | Tecno spark 20c |
---|---|
Camera | 50 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
ডেইলি টাক্স গুলো:
https://x.com/Golamrabba34801/status/1891408338249748678?t=W-KpclD4NebHamRDU0izXQ&s=19
চিড়িয়াখানায় গেলে খুব ভালো লাগে। আপনি দেখছি আপনার মামাকে নিয়ে রংপুর চিড়িয়াখানা গেলেন। তবে এটি ঠিক চিড়িয়াখানা গেলে বিলুপ্ত হওয়া পশুপাখি গুলো দেখা যায়। এবং খুব সুন্দর সুন্দর চিড়িয়াখানা থেকে ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ফটোগ্রাফি প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।