গাছ থেকে পাকা পাকা বরই পাড়ার অনুভূতি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার,২৬ জানুয়ারি ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির সকল সদস্যদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন । আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব গাছ থেকে পাকা পাকা বরই পাড়ার অনুভূতি।বরই খেতে আমরা কম বেশি সবাই অনেক পছন্দ করি। আমাদের এলাকাতে বেশিরভাগ মানুষ এটার নাম কুল বলে। আমাদের ভাগে একটি বড় বরই গাছ ছিল কিন্তু সেটা ঝড়ে ভেঙে যাওয়ার পর আবারো একটি ছোট বরই গাছ আমার আব্বু লাগিয়েছে। তবে এই গানটি ছোট খুব বেশি বড় হয়নি কিন্তু অনেকগুলো বরই ধরেছে। তাই আর আপনাদের মাঝে আগামী বছর আমার আব্বু দের গাছের বড়ই এর কিছু ফটোগ্রাফি আশা করছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আজকে আমি যে গাছ থেকে বরই পেড়েছি এটা হচ্ছে আমার বড় চাচা দের গাছ। তারপরেও আমরা ইচ্ছামত বড়ই খাই।এই বরই গুলো আমি কয়েকদিন আগে পেরেছিলাম। আমার বড় চাচার মেয়ে এসেছি। আপু বলছিল অনেকদিন বরই মাখানো খাওয়া হয়নি। চলো আজকে একটু বড়ই মাখা খাই।
আমারও বেশ ইচ্ছে করছিল। এদিকে বরই গাছের বড়ই গুলো প্রায় পেকে এসেছে। তাই আর দেরি না করে আমি আর আপু চলে গেলাম আমাদের ক্ষেত থেকে কিছু ধনিয়া পাতা আনতে। ধনিয়া পাতা এনে গাছ থেকে বড়ই পাড়তে লাগলাম। গাছ বেশি বড় না তারপরেও নিচ থেকে হাতে পাওয়া যায় না। তবে অতিরিক্ত বরই ধরেছে এর জন্য ডালগুলো কিছুটা নিচের দিকে নুয়ে পড়েছে। তাই আমি একটি টুলের ওপর পা দিয়ে হাত দিয়ে বড়ই পারছিলাম। বরই পারতে পারতে আমি যে কয়টা বরই একদম পাকা টুকটুকে দেখেছিলাম সেগুলো খেয়ে নিয়েছি। বরই গুলো খুব বেশি টক না পাকা গুলো হালকা মিষ্টি মিষ্টি বেশ ভালো লাগছিল খেতে। ভাবলাম এই সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাই বরই গুলো পাড়ার সময় কয়েকটি ফটোগ্রাফি ধারণ করে নিলাম। আশা করছি এখন বরই এগুলো দেখে আপনাদের খেতে ইচ্ছে করছে।
আমি গাছ থেকে বরই পাড় ছিলাম আর আপুর কাছে দিচ্ছিলাম। আপু ও পাকা পাকা দেখে কিছু বরই খেয়ে নিল। সত্যি চোখের সামনে যদি এরকম লোভনীয় কোন খাবার থাকে না খেয়ে থাকাই মুশকিল। গাছে অনেক বড়ই ধরেছিল তাই আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক মানুষ এসে এই বড়ই পেড়ে নিয়ে যেতো। আর সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে আমার বড় চাচা দের এই গাছে সবার আগে বরই ধরে। আবার অন্যান্য গাছের বরই ছোট থাকতে থাকতে এই গাছের বরই শেষ হয়ে যায়। আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে আগে আগে এত সুন্দর সুন্দর কিছু বরই খেতে পারি। আমার ছেলেও ভীষণ পছন্দ করে খেতে। পাকা পাকা বরই হলে দুইটা খেয়ে নেয়। এখন যদি আমার চাচা দের বাড়িতে যাই তখনই আবু রায়হান গাছের দিকে আঙ্গুল বাড়িয়ে দিয়ে বলবে মা দাও দাও। আর ওর মুখ থেকে এই কথাটা শুনতে আমার তো ভীষণ ভালো লাগে।
তারপর আমরা বরই গুলো পেড়ে এনে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম। বরই মাখানো রেসিপি একদিন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তাই আমি গত শুক্রবারে এই রেসিপিটা তৈরি করেছিলাম আপনাদের মাঝে আর শেয়ার করিনি। তবে রেসিপিটা ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। কেননা বরই গুলো সব একদম পাকা পাকা ছিল। আর এখন আমার যখন ইচ্ছে হয় তখনই এই পাকা পাকা বরই খেতে পারি। আমার কাছে কিন্তু এই অনুভূতিটা খুবই ভালো লেগেছে। আপনাদের কাছে পাকা পাকা এরকম বরই খেতে কেমন লাগে সেটা অবশ্যই জানাবেন। সবার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপু বরইকে অনেক জায়গাতে কুল বলে। আপনি দেখছি চাচার গাছের বরই পেয়ে মেখে খেয়েছেন। আর সমবয়সী লোক থাকলেও বরই মেখে খেতে বেশ মজা লাগে। সত্যি বলতে আপু আমি নিজেও মাঝেমধ্যে বরই মেখে খাই। আপনার চাচাতো বোন আসার কারণে গাছ থেকে বরই পেয়ে খেলেন এবং অনুভূতি আমাদের মধ্যে শেয়ার করলেন।
আমাদের এলাকাতেও কুল বলে আপু। ধন্যবাদ আপু আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইস দেখেই তো জিভে জল চলে এলো।মাশাল্লাহ আপনাদের গাছের বড়ই তো বেশ লোভনীয়। দেখে ইচ্ছে হচ্ছে মরিচ গুড়া ও লবণ দিয়ে খেয়ে নিতে। আর নয়তো ধনিয়া পাতা কাঁচা মরিচ বাটা ও কাসুন্দি দিয়ে মেখে খেতে। আপনাদের গাছের বড়ই গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা আছে। নিজেদের গাছের যেকোনো জিনিস খেতে অনেক মজা লাগে।
সত্যি আপু বড় এগুলো খেতে ভীষণ মজার ছিল। আপনার পোস্ট পড়ে আমারই তো ইচ্ছা করছে রেসিপিগুলো তৈরি করে খায়।
এই গাছ টা তে তো অনেক বড়ই ধরেছে দেখছি। গাছ থেকে এরকম পাকা বড়ই খাওয়ার মজাটাই আলাদা। বড়ই গুলো দেখে তো আমারও খেতে ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু ছিল খেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুস্বাদু ছিল বরই গুলো খেতে। ধন্যবাদ আপু।
নিজের গাছের বড়াই ও নিজের ক্ষেতের ধনিয়া পাতা দারুন ব্যাপার।আপনার বড়াই গুলো দেখে তো খেতে মন চাচ্ছে কি টসটসে হলুূদ বড়াই।এমন বড়াই মাখা খেতে যে কি মজা তা না খেলে বোঝা মুসকিল।অসাধারণ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু খুবই ভালো লাগলো।বড়াই মাখা রেসিপিটি দেখেছি জিভে জল আসার মতো রেসিপি ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
আপু যখন বরই গুলো ধনিয়া পাতা দিয়ে মাখিয়ে ছিলাম তখন যে কি মজা ছিল খেতে বলে বোঝানো মুশকিল।
সময়ের সাথে সাথে গ্রামীণ পরিবেশের অনেক কিছুই যেন আমরা হারিয়ে ফেলছি। দেশি বড়ই যেটা মিষ্টি এবং টক এই দুটোর মিশ্রণে দারুন একটা মজা দায়ক খাবার ছিল। সেই ধরনের বড়ই গাছ বর্তমান খুবই কম দেখা যায় । কলমের বড়ই গাছগুলো বেশি দেখা যায়। অনেক ভালো লাগলো পাকা বড়ই দেখে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন গ্রামের সব গাছ গুলোই কলম করে বিদেশি সব কুলের জাত তৈরি করছে।
বড়ই মাখা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আর সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত হলো যখন এই পাকা বড়ই গুলো গাছ থেকে পাড়া হয়। আপনার বড় চাচাদের গাছে তো দেখছি ভীষণ ভালো জাতের বড়ই হয়েছে। এগুলো দেখেই তো লোভ লেগে গেল আপু। ইচ্ছে করছে এখান থেকে তুলেই খেয়ে ফেলে।
একদম দেশি জাতের বরই আপু টক মিষ্টি দুটোই। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগে।
বাহ গাছে তো দেখতেছি অনেক গুলো পাকা পাকা বড়ই।আসলে এইরকম দেশি পাকা পাকা বড়ই গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার পাড়া পাকা পাকা বড়ই গুলো দেখে তো আমার জিভে জল চলে আসলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি অনুভূতিমূলক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
যখন বরই গুলো গাছ থেকে পাড়ছিলাম ভীষণ ভালো লেগেছিল তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে তুলে ধরি ধন্যবাদ।
আপু এমন করে বড়ই এর পোস্ট করলেন। দেখেই তো খেতে লোভ লাগছে। আপনিকিন্তু বেশ সুন্দর করে আপনাদের নিজের গাছের বড়ই পাড়ার গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে এমন দারুন সুন্দর সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু বরই গাছ আমার চাচা দের তবে আমরা নিজেদের গাছের মতো করে বরই খায়। ধন্যবাদ আপু।
আপু খুব সুন্দর একটা অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনার এই বরই পারা দেখে ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে গেলো। আমাদের বিশাল বড় একটা গাছ ছিল। বরই পাকলেই বড় লাঠি নিয়ে বরই পারায় ব্যস্ত হয়ে পড়তাম। আপনার এমন বরই পারা দেখে ইচ্ছে করছে সেখানে আমিও ছুটে যাই। বরই গুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
আমার পোস্ট দেখে আপনার শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল জেনে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।