ভ্রমণ: বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক ও যশোর বিমানবন্দর পর্ব-১
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার ,২ মার্চ ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আজকে রমজান মাসের প্রথম দিন । কেমন আছেন আপনারা সবাই।আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি ভ্রমণ পোস্ট। এই ভ্রমণ টা ছিল অনেকজন মিলে। আপনাদের ভাইয়ার স্কুল থেকে শিক্ষা সফর। আমরা শিক্ষা সকলে গিয়েছিলাম ২৫ শে ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ব্যানারে লেখা আছে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ। নিয়ে একটি ঘটনা আছে সবকিছুই আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তার আগে বলি এই ভ্রমণে আমি ভীষণ মজা পেয়েছি। কেননা সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার ছেলের আনন্দ দেখে। আমি যতটা খুশি হয়েছি তার থেকে বেশি খুশি ছিল আবু রায়হান। তাই আজ পর্যন্ত যত জায়গায় গিয়েছি তার মধ্যে সবথেকে আনন্দ পেয়েছি এই শিক্ষা সফরে গিয়ে। সব গল্প সব মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। আমার ছেলের সাথে অর্থাৎ আমরা তিনজন মিলে এই প্রথম কোথাও দূরে ঘুরতে গেলাম। এছাড়াও কাছে ছোট ছোট পার্কে গিয়েছে। কিন্তু এবারকার জার্নিটা সত্যি অনেক দূরে। এবার ভ্রমর করতে গিয়েছিলাম সাগরদাঁড়ি , বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক এবং যশোর বিমানবন্দর।
প্রতিবছর স্কুল থেকে বিভিন্ন জায়গায় পিকনিকে যাই। আমিও যেতাম কিন্তু কত বছর বাবু খুব ছোট থাকার কারণে যেতে পারিনি। এ বছর আবু রায়হানের বয়স এক বছর এক মাস। তাই ভেবেছিলাম এ বছরও যাব না বাবু যেহেতু ছোট। যদি কোন সমস্যা হয়। আর আপনারা তো জানেনই বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে কতটা কষ্ট হয়। তবে প্রথম দিক থেকে আপনার ভাইয়া আমার জন্য বাসে সিট রেখে দিয়েছিল। কেননা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। কিন্তু বাড়ি থেকে এবং আমারও ইচ্ছে হচ্ছিল না যেতে বাবুর কারণে। এরপর ডিসিশন ফাইনাল হয়ে গেল যে আমি আর যাব না। আপনাদের ভাইয়া যথা নিয়মে ২৪ তারিখে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল পিকনিকে যাবার জন্য। স্কুলে সবাই উপস্থিত পিকনিকে যাবে। কিন্তু তখন বাস নিয়ে একটি ঝামেলা হল। আর এই ঝামেলার কারণে সবাই বাড়িতে চলে গেল। সবাই একই কথা বলছিল যে এই বাসে নাকি কেউ যাবেন না। সবারই ভীষণ মন খারাপ হয়ে গেল। আপনাদের ভাইয়া ফোন দিয়ে বলল আজকে আর পিকনিকে যাওয়া হবে না। আমি জিজ্ঞেস করলাম বললো বাস নিয়ে নাকি অনেক ঝামেলা হয়েছে। বাস তেমন ভালো ছিল না আবার ভাড়াও বেশি চাচ্ছিল। সব মিলিয়ে সেই দিন আর পিকনিক হলো না।
এরপর সারাদিন আপনাদের ভাইয়া মেহেরপুরে ছিল ওখান থেকে বাস দেখে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেছে। এরপর বাড়িতে এসে আমাদেরকে বলে বড় বাস বেশ ভালো সিট তোমাদের যেতে কোন অসুবিধা হবে না। বাবু কে নিয়েও কোন অসুবিধা হবে না আশা করছি। এরপরে আমাকে বলে দশ মিনিটের মধ্যে তোমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দাও। আমি কি করবো প্রথমে ভেবেই পাচ্ছিলাম না। আমার তো ভ্রমন করতে ভীষণ ভালো লাগে কিন্তু সমস্যা বাবুকে নিয়ে। তারপর ডিসিশন ফাইনাল করলাম যে আমি যাব। এরপর আমি বললাম পিকনিকে যাওয়ার জন্য তো কোন কেনাকাটা করা হয়নি। তখন আবার রাতে আপনাদের ভাইয়া রাতে বাজারে গিয়ে আমার এবং আবু রায়হানের জন্য কেনাকাটা করে নিয়ে আসে। তারপর সকালে ভোর চারটায় উঠে সবকিছু গুছিয়ে আমরা রেডি হয়। আমাদের আশে পাশেও যেহেতু অনেক মানুষ ছিল তাই আমরা সবাই মিলে একটা ভ্যানে করে চলে যায় স্কুল পর্যন্ত। কে আমি তো সেই খুশি আর আমার থেকেও বেশি খুশি আমার ছেলে। বাস দেখে ও তো শুধু বাসের দিকে তাকাচ্ছে আর আমাকে কি যেন বলছে। আবু রায়হানের এমন খুশি দেখে আমারও ভীষণ ভালো লাগছিল।
এরপর সবাইকে নিজ নিজ সিটে বসিয়ে দিয়ে সকাল সাতটায় আমরা রওনা দিলাম। বাসের মধ্যে বক্স ছিল। এবং অনেক মানুষজন সবকিছু দেখে আবু রায়হান ও অনেক খুশি আর আনন্দ করছিল। আমাদের জার্নিটা ছিল প্রায় সাড়ে চার ঘন্টার। সাড়ে চার ঘন্টা জার্নি করে আমরা পৌঁছে গেলাম বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কে। এরপর সেখানে নেমে চারপাশটা একটু দেখছিলাম। তখন আপনাদের ভাইয়ারা অটোতে রান্না করার সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে একটি স্পটে চলে গেল। ওখানে গিয়ে যেহেতু পিকনিক হবে আর পিকনিকে ও আইটেম ছিল তিনটা। ভাত, মাংস, আলুর মালিশ তার সাথে টমেটোর সালাদ। এছাড়াও খাবার জন্য ছিল পেপসি ও পানি। রান্নার জন্য আলাদা মানুষ নেওয়া হয়েছিল। এই ছিল আমার আজকের ব্লগ। ইচ্ছা না থাকার পরেও চলে গেলাম ভ্রমন করতে। সত্যিই হুটহাট করে এভাবে ঘোরাঘুরি করতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। পরবর্তীতে পার্কের বিভিন্ন জায়গায় এবং খাওয়া-দাওয়ার সব মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কের মধ্যে চিড়িয়াখানায় গিয়ে। সেই মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। তবে আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে নতুন কোন পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে হাজির হবার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
শ্রেণী | বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @fatema001 |
লোকেশন | যশোর |
W3W | https://w3w.co/flat.installs.unsettled |
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
0.00 SBD,
1.29 STEEM,
1.29 SP
আব্বুর চাকরির সুবাদে দীর্ঘদিন ক্যান্টনমেন্টে থাকাই বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক অনেকবার দেখার সুযোগ হয়েছে। যত সেখানেই আমাদের বাসা ছিল। ভালো লাগলো জেনে আপনারা সেখানে ঘুরতে গেছেন শিক্ষা সফর করার জন্য। ওদিকে আর একটা গার্ডেন রয়েছে সেটা করে দেখে আসতে পারতেন। ওটা হচ্ছে জেস গার্ডেন।
তেমন সময় ছিল না ভাইয়া বিনোদিয়া পার্ক ভ্রমণ করার পর আমরা গিয়েছিলাম যশোর বিমানবন্দর দেখতে। তাছাড়াও সবাই ছোট ছিল সেই কারণে বেশি রাত হয়ে যাবে এই জন্য যাওয়া হয়নি।
আপনার ভ্রমণের গল্পটি খুবই মজার এবং হৃদয়স্পর্শী! বিশেষ করে আবু রায়হানের আনন্দ দেখে সত্যিই আনন্দিত হলাম। একসঙ্গে পরিবারের সবাই মিলে যাত্রা করার অনুভূতি একেবারেই আলাদা, এবং আপনার এই ভ্রমণের মাধ্যমে সেই অনুভূতিটা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কের মধ্যে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার অভিজ্ঞতাও খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। দারুণ মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আমি তো চিড়িয়াখানার ভেতরে প্রবেশ করার মুহূর্তটা এখনো আপনাদের মাঝে শেয়ার করিনি। তবে চিড়িয়াখানায় অনেক কিছু দেখেছি। ধন্যবাদ আপু।