আবু রায়হানের সাথে সবজি বাগানে সবজি তোলার কিছু মুহূর্ত।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার ,২৭ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ,আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। গত দুই তিন দিন আপনাদের মাঝে কোন পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে পারিনি। গত মঙ্গলবার আপনাদের ভাইয়ার সাথে ভোরবেলা গিয়েছিলাম স্কুল থেকে পিকনিকে। পিকনিক শেষ করে বাড়িতে ফিরতে ফিরতে রাত দশটা। বাবু যেহেতু আমাদের সাথে ছিল তাই আমরা সবাই অনেক ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর গতকাল কেউ আপনাদের সাথে কোন রকম পোস্ট শেয়ার করা হয়নি ব্যস্ততার কারণে। তবে আজকে এখন আমি আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আজকে বিকেল বেলা আমাদের সবজি বাগান থেকে কিছু শাক তোলার এবং আবু রায়হানের আনন্দের মুহূর্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা। আজকে বিকেল বেলায় খুব সবজি খেতে ইচ্ছা করছিল। তখন আমার শাশুড়ি বলল চলো আমরা আমাদের সবজি বাগান থেকে কিছু সবজি তুলে আনি। এবারে আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে সবজি বাগান আছে এর কোন ফটোগ্রাফি বা কোন পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি। আজকে প্রথম এই সবজি বাগান নিয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট লিখছি। তবে এর আগে অন্য সিজনে একটি পোস্ট লিখেছিলাম।
তো যেমন ভাবনা তেমন কাজ আমরা চলে গেলাম বিকেল বেলা সবজি বাগানে। আমি, আমার শাশুড়ি ও আমার ছেলে। এবারে সবজি বাগানে ছিল শিমের গাছ, টমেটো গাছ, লাউয়ের গাছ আর অনেকগুলো পেঁয়াজ ও রসুনের গাছ। তাছাড়া এই বছর আর তেমন কোন সবজি লাগানো হয়নি। তবে আমরা তুলতে গিয়েছিলাম পেঁয়াজ ও রসুনের গাছের মধ্যে থেকে কিছু লাল ও সবুজ শাক। এর সাথে কিছু কলমি শাক ও তুলেছি। আমি শান্ত ছিলাম একা একা শাক তুললে অনেক দেরি হয়ে যাবে দেখে আমার শাশুড়ি ও শাক তুলতে শুরু করে দিল। এদিকে আবু রায়হান একা পেয়ে সে তো মহাখুশি। একদম দৌড়ে দৌড়ে পেঁয়াজ গাছের মধ্যে যা ছিল আর পড়ে যাচ্ছিল। তবে আমি সব থেকে বেশি আশ্চর্যজনক হয়েছি ওর এই হাসি খুশি দেখে। কেননা মাত্র একদিন আগে আমরা একটা বড় জার্নি করে আসলাম। ঘোরাঘুরি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর আবু রায়হানের আব্বু ও ভীষণ পছন্দ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে। এবার ছেলেকেও দেখছি ঠিক আমাদের মতোই হয়েছে।
কেননা আমরা ভোর সাতটায় গাড়িতে উঠেছিলাম আর গাড়ি থেকে নেমেছি প্রায় বারোটার দিকে। আর এত জার্নি আবু রায়হানের জীবনে প্রথম। তারপর নতুন জায়গায় ঘোরাঘুরি সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় গেছে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে ওর কোন সমস্যাই হয়নি। ওর সবজি বাগানের মধ্যে ঘুরে ঘুরে খেলা দেখে কেউ বলতে পারবে না যে ও কালকে এত বড় একটা জার্নি করে এসেছে। আমি তো শাক তোলা বাদ দিয়ে ওর আনন্দ দেখছিলাম। সবুজ প্রকৃতির মাঝে কি সুন্দর ভাবে খেলা করছিল আর হাসছিল। তখন আমি কিছু ভিডিও করে নিলাম। তবে তার আগে একটা কথা বলি আমি কিন্তু প্রথমে মোবাইল নিয়ে গিয়েছিলাম না। ওর এরকম আনন্দ দেখে আমার শাশুড়ি আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিল বলল তোমার মোবাইলটা নিয়ে আসো ওর কিছু ভিডিও করে রাখো। তখন আমিও ভাবলাম এর মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি করেনি। তাহলে আপনাদের মাঝেও এই সুন্দর মুহূর্ত টা শেয়ার করতে পারব।
আপনারা নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন ওর হাসি খুশি মুখটা। কি বলবো এত পরিমাণ খুশি ছিল যা দেখে আমারই গতকালের সব ব্যস্ততা এক নিমিষেই শেষ হয়ে যাচ্ছিল মনে হচ্ছিল। তবে সবজি বাগান থেকে লাল ও সবুজ রঙের সবগুলো তুলে তার সাথে কলমি শাক তুলেছিলাম অনেক। যদিও কলমি শাক গুলো এমনিতেই মাটির উপর হয়েছে। ওখানে গতবছর বেশি বৃষ্টি হওয়ার কারণে অনেক পানি জমে গিয়েছিল। আর তারপর থেকেই এই কলমি শাক গুলো দেখা যায়। তবে সবগুলো রান্না করে খেলে ভীষণ ভালো লাগে। কেননা একদম প্রাকৃতিকভাবে শাক গুলো বড় হচ্ছে। যাইহোক ভীষণ মজা করে রান্না করে খেয়েছিলাম সবগুলো। আজকে এই পর্যন্তই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট দিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাচ্চাদের অনেক এনার্জি থাকে। বড়রা ক্লান্ত হয়ে গেল বাচ্চাদের চোখে মুখে কোন ক্লান্তি থাকে না তারা এরকম ধরনের ফাঁকা মাঠ পেলেই দৌড়ে কাঁপিয়ে দেয়। সবজির ক্ষেতে এসে সবজি তোলার পাশাপাশি আপনার ছেলের এই আনন্দঘন মুহূর্ত দেখে ভীষণই ভালো লাগছে। ভালো থাকুক আপনার সন্তান।
ধন্যবাদ আপু । সত্যি আপু আমার কাছে এমন মনে হচ্ছে ওরা ক্লান্ত হয় না।
আপনি আবু রায়হানের সাথে সবজি বাগানে গিয়ে বেশ কিছু সবজি উত্তোলন করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। ওইখানের পরিবেশটা খুবই সুন্দর। চারপাশে বড় বড় নারকেল গাছ দেখা যায়। আবু রায়হান ভালোই দুষ্টামি করছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া চারিদিকের পরিবেশ টা একদম প্রাকৃতিক। আর বাচ্চারা এই ধরনের প্রকৃতি পেলে ভীষণ খুশি হয়।
পিকনিকে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আপনি দারুণ দারুন শাক তুলে ফেলেছেন দেখছি আপনার শ্বাশুড়িকে সাথে নিয়ে। তরতাজা নিজের বাগানের শাকের স্বাদ ও পুষ্টি আলাদা। বেশ ভালো লাগলো শাক তোলার গল্প শুনে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
হ্যাঁ আপু আমার শাশুড়ি এবং আমার ছেলেকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম সবজি বাগানের সবজি তুলতে। তবে সেখানে গিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি।
wow . অনেক কিউট।