লাইফ স্টাইল: আবু রায়হানের সাথে সবজি ক্ষেতে বেগুন তোলার কিছু মুহূর্ত।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আবারো আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আবু রায়হানের সাথে সবজি বাগানে গিয়ে বেগুন সবজি তোলার কিছু মুহূর্ত। এর আগে আমি এই বিষয়ে অনেকগুলো পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। যদিও এগুলো আমি কোন পর্ব করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছে না সবগুলোর আলাদা আলাদা নাম দিয়েছি। তবে জায়গা একটায় কিন্তু অনেক ধরনের সবজি আরও অনেক মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। যেসব অনুভূতি এবং মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে একবারে শেয়ার করা সম্ভব না তাই এগুলো আমি কয়েকটা পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করছি। এর আগে আমি আপনাদের সাথে মুলা, টমেটো, লাল শাক আরো অনেকগুলো সবজি নিয়ে কথা বলেছি। আজকে আবু রায়হান নিজের হাতে বেগুন তুলেছিল আর তার সাথে ছোট্ট একটি গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আশা করছি আমার আজকের এই পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
সেদিন আমরা তিনজন গিয়েছিলাম এবং অনেকগুলো সবজি তোলার পর দেখি বেগুন গাছে অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর বেগুন ধরেছে। তাই আমার মা বলল বেগুন গুলো তুলে নিয়ে যায়। যখন আমি আমার আব্বু দের বাসায় ছিলাম তখন বিকেলে মাঠে গিয়েছিলাম সবজি ক্ষেতে। আর সেখান থেকে এই মুহূর্তগুলো অতিবাহিত করেছিলাম। সত্যি বলতে গেলে আমার ছেলে আবু রায়হানের সুন্দর মুহূর্তগুলো আমি ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি। এই ব্লগে সুখ দুঃখ সব কথাই সবার মাঝে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লাগে যখন আমার সবথেকে সুন্দর মুহূর্ত আমার ছেলের সাথে কাটানো কিছু সময় আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আর আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত গুলো জানতে পেরে ও খুবই ভালো লাগে। তো অন্যান্য সবজি তোলা হয়ে গেলে আমরা একদম শেষের দিকে বেগুন তুলতে শুরু করলাম। বেগুনে ছিল অনেক কাটা তাই এগুলো শেষের দিকে তোলার চেষ্টা করেছি। আমার মা বেগুন তুলছিল আর আবু রায়হান বেগুন নিজের হাতে নেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়ছিল। তাই আমি একটা বেগুনের কাঁটা গুলো ছিড়ে বেগুন গাছের নিচে রেখে দেই।
তারপর আবু রায়হানকে বেগুন টা দেখিয়ে ওটা তুলতে বলি। সে তো একদম দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে বেগুন টা নিয়ে পলিথিনে রেখে দেয়। এটা দেখে আমি বেশ কয়েকটা বেগুনের কাটা ছাড়িয়ে সব গাছের নিচে নিচে রেখে দিই। এরপর সে প্রতিটা গাছের নিচে গিয়ে বেগুন নিয়ে তার হাতের থাকা ব্যাগের মধ্যে রেখে দেয়। আর এই দৃশ্যটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তাই তখন কিছু ফটোগ্রাফি করি। আর আজকে সেটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। বেগুন গুলো খুব মোটা মোটা ছিল না তবে খেতে ভীষণ সুস্বাদু ছিল। যেহেতু একদম বিষমুক্ত টাটকা বেগুন। এই বেগুন গুলো দিয়ে যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করলে ভীষণ মজা লাগে খেতে। বাচ্চাদের মাঝে মাঝে এভাবে সবুজ প্রকৃতির মধ্যে নিয়ে গেলে বা বিভিন্ন ধরনের সবজি দেখালে ওরা ভীষণ খুশি হয়। আর এটা খুব সুন্দরভাবে উপলব্ধি করতে পারলাম আবু রায়হানের মাধ্যম দিয়ে। তবে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল ওর এত খুশি আর আনন্দের সাথে সবজি বাগানের মধ্যে ঘুরে বেড়ানো দেখে।
এরপর সবগুলো সবজি নিয়ে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আমাদের বাসা থেকে সবজি বাগান টা খুব বেশি দূরে না। তাই বাড়িতে আসতে বেশি দেরি হলো না। বেগুন সবজি টা খেতে আমার কাছে মোটামুটি ভালই লাগে। আর টাটকা এরকম বিষমুক্ত সবুজ বেগুন গুলো দেখলে আমার তো বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করতে ইচ্ছে করে। আপনাদের কাছে বেগুন সবজি কেমন লাগে সেটা অবশ্যই জানাবেন। আর নিজেদের বাড়িতে তৈরি করা সবজি থেকে আমার কাছে মনে হয় না বাজারের সবজি গুলো ভালো হয়। যাইহোক আমরা চেষ্টা করি বাড়িতে যতটুকু পারা যায় সবজি চাষ করার জন্য। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে আমি এখানেই শেষ করছি। আবারো পরবর্তীতে নতুন কোন পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নিজেদের গাছ থেকে এরকম বেগুন তোলার অনুভূতিটাই অন্যরকম। আপনারা সেখানে দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং বেগুন তুলেছেন। বেগুন গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এরকম তাজা ভেজালমুক্ত বেগুন খেতে তো আরও ভালো লাগবে। সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাহ দারুন একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন আপু আপনি আবু রায়হানের সাথে কাটানো। বাচ্চারা তো সবজি ক্ষেতে গেলে শুধু নষ্ট করবে আপু। এদিক ওদিক টানাহেচড়া করে গাছগুলো নষ্ট করে। যাক তারপরেও আবু রায়হান অনেক আনন্দ করছে। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনি এবং আবু রায়হানের এই মুহূর্তগুলো সত্যিই দারুণ। যেভাবে আপনি তাকে প্রকৃতির মধ্যে শেখাচ্ছেন এবং বাগানের কাজের আনন্দ উপভোগ করতে বলছেন, সেটা খুবই সুন্দর। বেগুনের ক্ষেতের মধ্যে ছোট ছোট আনন্দের সন্ধান পাওয়া খুবই পরিতৃপ্তির, আর টাটকা সবজি সংগ্রহের এমন একটি মুহূর্ত পরিবারের জন্য অনেক মূল্যবান। সত্যিই আপনার এই গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ, এতে আমাদেরও কিছু নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়া হলো।
নিজের বাচ্চাকে সাথে নিয়ে আনন্দে সবজি সংরক্ষণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপা। আসলে এটা অন্যরকম ভালোলাগা। তবে বাচ্চাদের সাবধানে নিয়ে যাবেন বাগানের মধ্যে। কখন কিভাবে পড়ে যায় তার ঠিক নেই। বারবার ফিরে আসো কেমন ভালোলাগা সুস্থ থাকুক আপনার সন্তান, অনেক অনেক শুভকামনা করি।
আবু রায়হানের সাথে সবজি ক্ষেতে বেগুন তোলার কিছু মুহূর্ত আপনি আজ শেয়ার করেছেন। আসলে বাচ্চাদের সাথে কাটানো এই মূহুর্ত গুলো অনেক বেশী আনন্দের।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ই ভালো লাগলো। বেগুন সবজি তো আমার খুব পছন্দ। আর নিজের গাছের হলে যেকোনো সবজি বাজারের চাইতে হাজার গুন ভালো লাগে খেতে।অনেক ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।