রেসিপি: সুস্বাদু বিস্কুট পিঠা বা নকশি পিঠা তৈরি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার,৩ মার্চ ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতি সপ্তাহে একটি করে আমি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করি। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে মজাদার একটি পিঠা রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বিস্কুট পিঠা বা নকশা পিঠার রেসিপি। বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করতে এবং বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কিছুদিন আগে আমি পিঠা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আর আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি। তাই আজকে চলে এলাম দুপুরে মজাদার এই পিঠা রেসিপি নিয়ে। এটাকে আপনাদের এলাকায় কি পিঠা নামে সবাই জানে সেটা অবশ্যই জানাবেন। আমাদের এলাকাতে এই পিঠার নাম বিস্কুট পিঠা। তাছাড়াও অনেক মানুষ নকশি পিঠা নামেও জানে। এই পিঠা গুলো অনেক দিন রেখে মানে সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। আর আমারও ভীষণ পছন্দের পিঠা তাই মাঝে মাঝেই তৈরি করার চেষ্টা করি। যাইহোক কিভাবে আমি সম্পূর্ণ পিঠা তৈরি করলাম সেটা এখন আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | চিনি |
২ | লবণ |
৩ | নারকেল কুচি |
৪ | কালো জিরা |
৫ | ময়দা |
৬ | তেল |
৭ | গরম পানি |
ধাপ-১
প্রথমে আমি একটি পাত্রে এক কেজি চিনি নিয়ে নিলাম। এরপর এর মধ্যে স্বাদ মতো লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর সম্পূর্ণ একটা নারকেল কুচি দিয়ে দিলাম। এরপর সবগুলো উপকরণ হাত দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ-২
এরপর উপকরণ গুলোর মধ্যে পরিমাণ মতো কালোজিরা দিয়ে দিলাম। তারপর অল্প একটু কুসুম গরম পানি দিয়ে সম্পূর্ণ উপকরণগুলো হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম। এখানে চিনি গুলো না গলা পর্যন্ত মেশানো লাগবে।
ধাপ-৩
চিনি গুলো গলে পানি পানি হয়ে গেলে এর মধ্যে আমি পরিমাণ মতো ময়দা দিয়ে দিলাম। তারপর কিছুক্ষণ হাত দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে সুন্দর একটি ডো তৈরি করে নিলাম। এই মিশ্রণ টা খুব বেশি শক্ত হবে না আবার একদম নরম হবে না। হাত দিয়ে গোল গোল করে নকশা করা যায় এমন মিশ্রণ করতে হবে।
ধাপ-৪
এরপর আমি অল্প অল্প করে মিশ্রণ নিয়ে সুন্দর করে ছোট ছোট গোল করে নিলাম। তারপর নকশা করা ছাঁচ দিয়ে পিঠা গুলো চাপ দিয়ে নিলাম। এতে পিঠা গুলো সব সুন্দর ডিজাইন হয়ে গেল। এভাবে আমি অনেকগুলো পিঠা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ-৫
তারপর চুলায় কড়াই বসিয়ে এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে অল্প অল্প করে পিঠা গুলো দিয়ে সুন্দর করে এপাশ ওপাশ ভেজে নিলাম। এভাবে সম্পূর্ণ পিঠা গুলো ভেজে নিলাম।
ধাপ-৬
এরপর একটি পাত্রে রেখে আমি কিছু ছবি তুলে নিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে যে আরো সুন্দর করে ফটোগ্রাফি ধারণ করব এটা আমার মনে ছিল না। যাই হোক আপনাদের কাছে কেমন লাগলো আমার আজকে তৈরি এই পিঠা গুলো সেটা কমেন্টে জানাবেন। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পিঠা গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। সত্যি এভাবে নিজের হাতে তৈরি খাবারের তুলনা হয়। আর এভাবে বানিয়ে রাখলে অনেক দিন পরে মজা করে খাওয়া যায়।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু এই পিঠা গুলো একদিন বানিয়ে রাখলে অনেকদিন পরও খাওয়া যায়। তাই এই পিঠা আমার ভীষণ পছন্দ। ধন্যবাদ আপু।
এই ধরনের বিস্কুট পিঠা তো আগে খাওয়া হয়নি। আপনি এগুলোর সাথে চিনি মিক্স করেছেন। তবে আমি একবার করেছিলাম চিনি মিক্স না করে। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। বিস্কুট পিঠা নিশ্চয়ই সুস্বাদু ছিল খেতে। মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভীষণ ভালো লাগে আপু এগুলো খেতে। তবে সব থেকে বেশি ভালো লাগে এগুলো অনেকদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায় বলে। এরমধ্যে চিনির পাশাপাশি যদি ডিম দেওয়া হয় তাহলে এর ফ্লেভারটা আরো সুন্দর আসে। ধন্যবাদ আপু।
নারকোল তিল ইত্যাদি দিয়ে দারুন সুন্দর ভাবে বিস্কুট বানিয়ে ফেলেছেন দেখছি। আমাদের দেশে বিহারীরা এই ধরনের খাবার বানিয়ে তাকে ঠেকুয়া বলে। সাধারণত ছট পুজোর সময় এগুলি তৈরি করা হয়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সমগ্র রেসিপিটি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন বলে ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া এই পিঠার আরেকটি নাম জানতে পারলাম।
ডিজাইন দেখে ভাবলাম পাকন পিঠা। যদিও আমি পাকন পিঠার রেসিপি জানি না৷ তবে আপনার এই রেসিপিটা দারুণ লাগল৷ এইভাবে বিস্কুট করলে বাজার থেকে কিনতে হবে না বাড়িতেই অপূর্ব স্বাদের বিস্কুট খাওয়া যাবে। দারুণ রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু আপনি। ধন্যবাদ নেবেন।
ঠিক বলেছেন আপু এভাবে এই পিঠা তৈরি করলে বাজার থেকে বিস্কুট কেনা লাগবেনা তাছাড়াও স্বাস্থ্যসম্মত একটি খাবারও খাওয়া যাবে যখন ইচ্ছা তখন। ধন্যবাদ আপু।
সুস্বাদু বিস্কুট পিঠা বা নকশি পিঠা তৈরি অসাধারণ হয়েছে। দেখতে পেয়েই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি আমার কাছে দারুন লেগেছে।
আপনার কাছে আমার আজকে তৈরি রেসিপি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।