নদীর মজাদার মাছের রেসিপি।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি পোস্ট । আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি । আমি তৈরি করেছি আজকে আমি নদীর মজাদার মাছের রেসিপি তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজকেও আপনাদের সাথে নতুন একটি রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে আমার বাংলা ব্লগে অনেকেই অনেক সুন্দর সুন্দর ইউনিক রেসিপি শেয়ার করে যেগুলো দেখতে সত্যি অনেক লোভনীয় আরো অনেক ইউনিক। আজকে আমি নতুন আরেকটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমার আজকের রেসিপি পোষ্ট টি হল নদীর মজাদার মাছের রেসিপি। বেশ কিছুদিন আগেই মাছের রেসিপিটা তৈরি করেছিলাম এই মাছগুলো তৈরি করার পর খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। কয়েকদিন আগে আমার মাই মাছ গুলো পাঠিয়েছে আমার জন্য সেগুলোই বেশ মজা করে রান্না করেছিলাম টমেটো দিয়ে। এই মাছগুলো আমাদের বাড়ির পাশে একটা জমি থেকে আমার ভাইরা ধরেছিল। এ বছর বন্যায় নদীর মাছগুলো পুকুরে জমিতে এসে পড়েছে আর পানি নেমে যাওয়ার পর সেগুলো আর যেতে পারেনি। সেজন্য এখন পুকুরে জমিতে সব জায়গাই নদীর মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আর শীতকাল আসলেই তো জমিগুলো শুকিয়ে যায় শীতের শেষে এই জমিগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পর আমার ভাইয়েরা এবং আশেপাশের মানুষেরা সবাই মিলেই আমাদের সেখানে মাছগুলো ধরে। এই মুহূর্তগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগিয়ে যদিও এবার দেখা হয়নি। মায়ের পাঠানো এই মাছগুলো খুবই মজা করে রান্না করেছিলাম খেতেও বেশ ভালো লেগেছে। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।
উপকরণ
মাছ
পেঁয়াজ
রসুন
টমেটো
কাঁচামরিচ
লবণ
হলুদ
মরিচ
মসলা
তেল
পানি
তৈরি করার পদ্ধতি:-
প্রথমে আমি একটি কড়াইতে তেল গরম করতে দিয়ে দিলাম এবং পেয়াজ ও কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
এরপর আমি টমেটো কচি ও রসুন বাটা দিয়ে দিলাম।
তারপর আমি লবণ, হলুদ, মরিচ, মসলা সবকিছু পরিমাণমতো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
এরপর আমি মাছগুলো দিয়ে দিলাম এবং মাছের সাথে সবগুলো মসলা কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম।
এরপর আমি পরিমাণমতো পানি দিয়ে রান্না করে নিলাম।
আর নদীর এই মাছগুলো রান্না করার পর খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছিল। বিশেষ করে টমেটো দিয়ে রান্না করেছিলাম খেতে দুর্দান্ত হয়েছে। কিন্তু নদীর মাছ এইগুলো অনেক বড় হয়েছে আর বিভিন্ন ধরনের মাছ একসাথে মেশানো ছিল বলতে গেলে পাঁচমিশালি নিয়ে মাছ বলা যায়। আশা করছি আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
নদীর মজাদার এই মাছগুলির নাম কী তা তো বুঝতে পারলাম না। কিন্তু আপনার বানানোর রেসিপিটি যে খুব সুন্দর স্বাদের হয়েছিল তা বুঝতেই পারছি। ছবিতে দেখেই আমি তা বুঝতে পারলাম। ভীষণ সুন্দরভাবে ছবির মাধ্যমে সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন।
নদীর মাছ খাওয়ার মজাই অন্যরকম। বাজারে কিনে খাওয়া মাছ আর নদীর মাছের মধ্যে স্বাদের অনেক পার্থক্য আছে।নদীর মাছের মজাদার এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বন্যার সময় নদী থেকে জমিতে ভেসে আসা মাছ আপনার মা আপনার জন্য পাঠিয়েছে। নদীর মাছ খেতে ভীষণ মজাদার হয়। আপনিতো টমেটো দিয়ে লোভনীয় নদীর মাছ রান্না করেছেন। মাছের রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো।কালারটা কিন্তু দারুণ এসেছে আপু। রেসিপিটি ধাপে ধাপে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
গত বছর বন্যার কারণে নদীর পানি সব পুকুরে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। আর এখন সেই পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এই পানি শুকানোর মধ্যে আপনার ভাইরা দেখছি দারুণ দারুণ মাছ ধরেছে। তবে ভাগ্যিস আপনার মা মাছগুলো পাঠিয়েছিল না হলে হয়তোবা এই রেসিপিটা দেখতেই পারতাম না। খুবই মজাদার মাছের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
আজকে আপনি মজার মাছের রেসিপি করেছেন। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে সত্যি চমৎকার লাগলো। এবং এইবার বন্যার কারণে নদীর মাছগুলো উপরে উঠলো। এবং পানি নামার সাথে সাথে মাছগুলো বিভিন্ন জায়গা রয়ে গেল। আর এই কারণে নদীর মাছগুলো সব জায়গাতে কম বেশি পাওয়া যাচ্ছে এখন। তবে আপনার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। মজার রেসিপিটি সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনার মায়ের পাঠানো এই মাছগুলো খুব সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন। নদীর মাছ গুলো কিন্তু খুবই সুস্বাদু হয় খেতে। মাছের নাম জানতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগতো। খুব সুন্দর ভাবে মাছগুলো রান্না করেছেন। খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছে। মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
https://x.com/APatwary88409/status/1891875845699940576?t=MU4gmY7kvsjF7-0JPXfhIw&s=19
নদীর মজাদার মাছের রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আমাদের এলাকাতে নদীর মাছ পাওয়া যায় না তাই এই ধরনের মাছের রেসিপি খাওয়ার সৌভাগ্য হয় না। কিন্তু আমি খুব ভালোভাবেই জানে এই মাছগুলো খেতে অনেক বেশি পরিমাণে সুস্বাদু হয়ে থাকে।
আপনারা কাঁচা মাছ না ভেজেই ঝোলে দিয়ে দেন আর আমি প্রতিবারই ভাবি মাছের গন্ধটা নাকে লাগেনা? এটা হয়তো আপনাদের অভ্যাস তাই কিছু মনে হয় না। আমার তো দেখলেই মনে হয়। হয়তো কখনও এভাবে খাইনি তাই৷
এই রান্নাগুলো আমার ভালো লাগলেও এই প্রসেস বাড়িতে কোনদিন করতে পারি না। কারণ আমাদের বাড়িতে মাছ না ভাজলে খেতেই পারবে না৷ কিন্তু মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে রান্না করতে৷
আমাদের এদিকে মাছের দুই ধরনের রান্না হয়ে থাকে। আপনি যেটা বলছেন মাছ ভেজে রান্না করা, তাকে আমাদের এদিকে দোপেঁয়াজা বলে থাকে। মাছ ভেজে রান্না করলে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে।