সুস্বাদু খিচুড়ি রেসিপি।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি পোস্ট । আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি । আমি তৈরি করেছি আজকে আমি খিচুড়ির রেসিপি তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজকে আমি খিচুড়ি রান্না করছি । খিচুড়িটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল । খিচুড়ি খেতে আমি অনেক পছন্দ করি আর আমার পরিবারে আমার ভাই বা সবাই অনেক পছন্দ করে। সেজন্য প্রায়ই মাঝেমধ্যে খিচুড়ি রান্না করা হয়। আর ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে একটি খিচুড়ি রেসিপি শেয়ার করি। খিচুড়ি রান্না করার জন্য আমি খিচুড়িতে ব্যবহার করেছি মসুরের ডাল আর মুরগির মাংস। আমি আমার পছন্দ মত উপকরণ দিয়েই রান্না করেছি। রান্না করার পর সবাইকে পরিবেশন করে দিয়েছি সবাই আমরা অনেক মজা করে খেয়েছি দুপুরবেলা। খুবই নরমাল ভাবে আমি খিচুড়িটি রান্না করেছি পেঁয়াজ, রসুন তেলে ভেজে তারপর মাংস ডাল দিয়ে চাল দিয়ে রান্না করে ফেলেছি।
আমি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। রান্না করাটা আমার একটা শখ । রান্না আমি অতটা করতে পারি না কিন্তু রান্না করার চেষ্টা করি এবং রান্না করা শিখি। আমার আম্মু যখন রান্না করে তখন আমি তাকিয়ে থাকি এবং রান্না কিভাবে করে সেটা দেখি। ছোটবেলা থেকে রান্না করে দেখতে দেখতে এখন আমি নিজেও রান্না করতে পারি। আজকেও আপনাদের সাথে নতুন একটি রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।
উপকরণ
চাল
ডাল
মুরগির মাংস
পেঁয়াজ
রসুন
তেলে
আদা
কাঁচা মরিচ
তেজপাতা
দারুচিনি
এলাচি
হলুদ
লবণ
মরিচ
মসলা
পানি
তৈরি করার পদ্ধতি:-
প্রথমে আমি কড়াই এর মধ্যে তেল গরম করতে দিয়েছি। তারপর পেয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, আদা রসুন বাটা ইত্যাদি দিয়ে দিয়েছি কড়াই এর মধ্যে।
এরপর আমি কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিলাম লবণ ,হলুদ ,মরিচ, মসলা সবকিছুই পরিমাণ মতো দিয়ে দিয়েছি। সবকিছু একসাথে মিশিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম।
মুরগির মাংস দিয়ে দিব এখন কড়াই এর মধ্যে ।মুরগির মাংসগুলো আমি ছোট ছোট পিস করে কেটেছি । এগুলো এখন পেঁয়াজ মসলার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি এবং ভালো করে সেই সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
রান্নার এ পর্যায়ে আমি সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে দিলাম কড়াই এর মধ্যে । কারণ আগে মাংসগুলো কিছুক্ষণ রান্না করে নিব।
কড়াই এর মধ্যে পানিগুলো সামান্য শুকিয়ে এসেছে এবং মাংস গুলোও রান্না হয়ে এসেছে। এ পর্যায়ে আমি দিয়ে দিলাম চাল। চালের সাথে আমি এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতাও দিয়ে দিয়েছি।
চাল দেওয়ার পর আমি চালের উপর ডালগুলো দিয়ে দিলাম। ডালগুলো আমি আগে থেকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি। এরপর আমি চাল , ডাল ও মাংসগুলো একসাথে মিশিয়ে নিয়েছি ভালো করে।
এখন আমি কড়াই এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি। এখন একটু বেশি করে পানি দিতে হবে যাতে চাল, ডাল ভালো করে সিদ্ধ হয় এবং রান্না হয়। আমি আমার যতটুকু প্রয়োজন সেই পর্যন্তই পানি দিয়েছি। এরপর পানিগুলো ফুটতে শুরু করল এবং একটা পর্যায় পানি গুলো শুকিয়ে রান্না হয়ে গেল।
চুলা থেকে নামিয়ে আমি একটা প্লেটের মধ্যে নিয়ে শসা দিয়ে গরম গরম খিচুড়ি গুলো পরিবেশন করে নিয়েছি। সবাই মিলে একসাথে অনেক মজা করে খেয়েছি গরম গরম খিচুড়ি। আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে আমার এই সুস্বাদু খিচুড়ি রেসিপি।
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
খিচুড়ি দেখেই জিবে জল চলে আসলো। খিচুড়ি আমার অনেক প্রিয় কিন্তু আমি খালাইয়ের খিচুড়ি খেতে বেশি পছন্দ করি ।আপনি মুসুরির ডাল ও মুরগির মাংস দিয়ে অনেক সুন্দর খিচুড়ি রান্না করেছে ।দেখেই মনে হচ্ছে সুস্বাদু হয়েছে ধন্যবাদ।
শুরুতে কেউই রান্না পারেনা। রান্না করতে করতে পরে শিখে যায়। আপনিও রান্নার চেষ্টা করতে করতে এক সময় অনেক ভালো রান্না শিখে যাবেন আপু। তাছাড়া মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি যেভাবে রান্না করেছেন দেখে তো মনে হচ্ছে না যে আপনি রান্না পারেন না। খুবই লোভনীয় এবং সুস্বাদু লাগছে আপনার রেসিপিটি দেখতে। খিচুড়ি এমনিতেই অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া এভাবে মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করলে তো খেতে আরও বেশি সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
সুস্বাদু খিচুড়ি রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। খিচুড়ি আমার ভীষণ প্রিয়। আমার মায়ের হাতের খিচুড়ি আমার সব থেকে প্রিয়। আপনার খিচুড়ি রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
শীতকালে আপু খিচুড়ির মজা আলাদা হয় যদি গরম গরম খাওয়া।এছাড়াও শীতকালের বিভিন্ন সবজি এবং ডালের সাথে যদি মিক্স খিচুড়ি রান্না করা হয় তাও খেতে অনেক মজার হয়।আপনার খিচুড়ি রান্না দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে।
মুরগির মাংসের খিচুড়ি রান্না দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আমাদের বাসায় ও প্রায় খিচুড়ি রান্না করা হয়। খিচুড়ি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সাথে লেবু ও শসা থাকলে তো কথাই নেই। রান্না করার প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।