ডাই:প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে কলমদানি তৈরি।
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আমি একটি ডাই পোস্ট করব ।রঙিন কাগজ দিয়ে নতুন কিছু বানানো চেষ্টা করব।আর আজকে আমি প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে কলমদানি তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে আমার তৈরি করা প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে কলমদানি তৈরি।।
আমি কাগজ দিয়ে এবং আরো বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ডাই এবং ক্রাফট বানাতে খুবই ভালোবাসি এবং পছন্দ করি। তাই যখনই আমার ইচ্ছে করে তখনই আমি কাগজ দিয়ে এবং আরো বিভিন্ন জিনিস দিয়ে নতুন কিছু বানানোর চেষ্টা করি। আগে আমি অনেক ধরনের ডাই এবং ক্রাফট তৈরি করেছি কাগজ দিয়ে আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে ।কিন্তু অনেকদিন ধরেই কোন ধরনের ডাই তৈরি করা হয়নি আর সেটা সুযোগ হয়ে ওঠেনি ।আজকে আমি আবার একটি ডাই তৈরি করেছি রঙিন কাগজ দিয়ে। আমি প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে কলমদানি তৈরি করেছি। এর আগেও আমি অনেকগুলো কলমদানি তৈরি করেছিলাম রঙিন কাগজ দিয়ে। কিন্তু সেই কলমদানি গুলো অনেক দিন হয়ে যাওয়ায় দেখতে খুবই খারাপ লাগছিল। সেজন্যে আমি ভাবলাম আবার নতুন করে কলম দানি তৈরি করা যাক। বাজারের কলমদানি গুলো ব্যবহার করতে আমার কাছে একদমই ভালো লাগেনা। নিজের হাতে বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করে কলম দানি তৈরি করলে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর আর কিউট লাগে। সেজন্য আমি প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে একটি কলমদানি তৈরি করেছি। আমি প্লাস্টিকের বয়ামের গায়ে ভিন্ন ধরনের একটি আর্ট করে সেটাকে রাঙিয়ে তুলেছি যাতে দেখতে সুন্দরী লাগে। আশা করি আপনাদের কাছেও আমার তৈরি করা এই প্লাস্টিকের কলমদানিটি ভালো লাগবে।
উপকরণ:-
প্লাস্টিকের বয়াম
রং
আর্ট ব্রাশ
তৈরি করার পদ্ধতি:-
ধাপ:-১
প্রথমে আমি একটি প্লাস্টিকের বয়াম নিয়েছি এবং প্লাস্টিকের এই বয়ামের গায়ে সাদা রং দিয়ে আর্ট করে নিলাম।
ধাপ:-২
রংয়ের প্রথম লেয়ার টি শুকানোর পর আমি আরো একবার সাদা রং দিয়ে দিলাম যাতে রংটা গাঢ় হয়।।
ধাপ:-৩
এরপর আমি লাল রঙ নিয়ে নিলাম এবং আর্ট ব্রাশ দিয়ে প্লাস্টিকের বয়াম টির গায়ে একটি লাভ আর্ট করে নিলাম।
ধাপ:-৪
এরপর একই পদ্ধতিতে আমি প্লাস্টিকের পুরো বয়াম টির মধ্যে অনেকগুলো লাভ আর্ট করে নিয়েছি লাল রং দিয়ে।
ধাপ:-৫
এখন ভিন্ন রকম একটা ডিজাইন করার জন্য আমি একটা কটনবার্ড নিলাম এবং উপরে কটনবার্ড দিয়ে বৃত্ত ডিজাইন করেছি লাল রং দিয়ে ।
ধাপ:-৬
এরপর একই পদ্ধতিতে আমি পুরো ব্যায়ামের মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় বৃত্ত আর্ট করে নিলাম।
শেষ ধাপ:-
আর এভাবেই আমি তৈরি করে নিলাম একটি প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে সুন্দর একটি কলম দানি। এই কলমদানি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ এবং পদ্ধতি আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে তৈরি কলমদানিটি ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ডাই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে কলমদানি তৈরির অনেক সুন্দর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার হাতের কাজের দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর জিনিস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রশংসনীয় একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনাদের এই উৎসাহ মূলক মন্তব্য গুলো দেখতে কাজ করার উৎসাহটা আরো বেড়ে যায়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/APatwary88409/status/1859814828111692099?t=v2bu_3lzbsLoD_-2laoI4w&s=19
কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ডাই বানাতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনি ভিন্ন রকম ডাই তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। পুরনো বয়ামগুলো ফেলে না দিয়ে এরকম ভাবে পেইন্টিং করে সাজিয়ে রাখলে খুব সুন্দর লাগে দেখতে। খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে আইডিয়াটি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
একই প্লাস্টিকের বয়াম গুলো ফেলে না দিয়ে এভাবে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে ব্যবহার করলে খুবই ভালো লাগে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
একে বলে বেস্ট আউট অফ ওয়েস্ট৷ খুবই ভালো বানিয়েছেন৷ প্লাস্টিকের বয়াম এমন কতই পড়ে থাকে এদিক ওদিক। তাকে একটু গুছিয়ে নিলেই কাজে এসে যায়৷ চমৎকার হল আপনার কাজ৷
হ্যাঁ আপু আমাদের আশেপাশে এই ধরনের জিনিসগুলো অনেক রয়েছে এবং সেগুলো আমরা ময়লা ভেবে ফেলে দেই। কিন্তু এই জিনিসগুলোকে একটু ব্যবহার করে সুন্দর কিছু তৈরি করা যায় দেখতে অনেক সুন্দর হয় এবং কাজের ব্যবহার করা যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে কলমদানি তৈরি করেছেন। আপনার হাতে তৈরি করা প্লাস্টিকের বয়ামের কলমদানি টি অসাধারণ হয়েছে। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে কলমদানি টি তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। বেশ দারুন হয়েছে কলমদানি টি।
চেষ্টা করেছি প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে সুন্দর করে একটি কলমদানি তৈরি করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা এবং আপনার কাছে ভালো লেগেছে এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মন ভরে যাওয়ার মত একটা কলমদানি তৈরি করলেন তো আপনি। এত সুন্দর দেখতে লাগছে এই কলমদানিটা। আমি তো দেখে মুগ্ধ হলাম। কালার কম্বিনেশনটাও অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। সুন্দর কালার চয়েজ করলে কলমদানি গুলোর কালার আরো অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগে। আর তেমনই এটাও খুব আকর্ষণীয় লাগছে। অনেক সুন্দর হয়েছে পুরোটা।
আমার তৈরি করে কলমদানিটি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন এবং আপনার কাছে এই কলম দানের কালার কম্বিনেশন টা ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে খুব সুন্দর একটা কলমদানি তৈরি করেছেন আপু। সাদা রঙের উপর লাল রঙে ছোট ছোট লাভ গুলো খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে এই কলমদানির কালার কম্বিনেশন টা। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ডাই প্রজেক্ট শেয়ার করার জন্য।
রংয়ের কম্বিনেশনটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি দেখে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।।
আগের বানানো কাগজের তৈরি কলমদানির কালার নষ্ট হয়ে গেছে জন্য নতুন করে কলমদানি বানিয়েছেন প্লাস্টিকের বয়াম দিয়ে। অনেক সুন্দর বানিয়েছেন প্লাস্টিকের বয়ামটি।ধাপে ধাপে কলমদানি বানানো পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। কলমদানিতে তুলি রেখেছেন দেখে আরো ভালো লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কলমদানি টি বানিয়ে আমাদের সাথে বানানো পদ্ধতি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু আগেই এই বয়ামটা দিয়ে কাগজ দিয়ে অন্য একটি কলমদানি তৈরি করেছিলাম। সে কাগজের কলমদানিটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর আমি কাগজটা খুলে আবার রং করে একই ব্যায়াম দিয়ে নতুন করে একটি কলমদানি তৈরি করেছি এবং আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।