যে কথা কম বলে তার শত্রু কম।|| Who talks less has fewer enemies.
এখনকার সময়টা অনেক কঠিন। কঠিন বললাম কারন আপনি কখন কোন পরিস্থিতিতে পরে যাবেন তা বলা মুশকিল। একটা সময় মানুষের মাঝে অনেক বেশি ভাব ভালোবাসা ছিল এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিল। আর সবথেকে বড় বিষয় মানুষ মান সম্মানকে অনেক বেশি ভয় পেতো।
তবে যুগটা এখন অনেক বদলে গেছে এখনকার সময়ে আপনি কাউকে একটু আগ বাড়িয়ে সহযোগিতা করতে গেলে উল্টো বিপদে বিপদে পরতে পারেন।
আর কথা যতো কম বলবেন ততই শত্রুর পরিমাণ কম থাকবে। তাইতো এখনকার সময়ে বলা হয় দেয়ালের কান রয়েছে আস্তে বলুন।
একটা সময় অনেক মানুষ একত্রে কথা বলার মাধ্যমে অনেক বিনোদন এবং আনন্দ লাভ করতো। সেখানে পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলা হতো। আর এখনকার সময়ে আপনি যদি কোথাও গিয়ে নিজের সবকিছু নিয়ে আলোচনা করতে যান পরদিন দেখবেন আপনার বাসায় বড় ধরনের চুরি হয়ে গেছে। মানে আপনি নিজের সম্পর্কে আলোচনা করে শত্রু বাড়িয়ে নিলেন।
আবার ধরুন আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, আপনার অফিসের বস ভীষণ বাজে প্রকৃতির লোক। আপনি যতক্ষন তার অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করবেন দেখবেন আপনার শত্রু নেই। যদি বসের বিরুদ্ধে একটু মুখ খুললেন তখনই কোন না কোন বান্দা সেই কথাটি বসের কানে দেবেই। এরপর থেকে শুরু হবে আপনার উপর নির্যাতন।
আমি একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরী করতাম সেখানে পেয়েছিলাম এমন একজন মানুষ যাকে এক নামে সবাই চিনতেন। তিনি এতটাই কম কথা বলতেন তার সহকর্মীরাও খুব অবাক হয়ে যেতেন। তাকে শুধুমাত্র যতটুকু প্রশ্ন করা হতো ঠিক ততটুকু উত্তর দিতেন। ধরুন তাকে যদি আপনি প্রশ্ন করেন কেমন আছেন আপনি? উত্তর আসবে ভালো, ব্যাস এতো টুকু। তিনি সবসময়ই ভীষণ চুপচাপ থাকতেন ধরুন যদি আট ঘন্টা ডিউটি হয় প্রয়োজন অনুসারে তিনি শুধুমাত্র চার থেকে পাঁচটি শব্দ কিংবা লাইন বলতেন।
আমি ছয় বছর ঐ প্রতিষ্ঠানে ছিলাম কিন্তু কোনদিন তার সম্পর্কে কোন একটা বাজে কথা শুনিনি এবং প্রতিটি মানুষ তাকে ভীষণ সম্মান অবধি করতেন। তিনি বাস্তব জীবনে পরিবার নিয়ে ভীষণ সুখি এবং তার দুই ছেলে মেয়ে প্রতিষ্ঠিত। আমার জীবনে এধরনের মানুষ আর দেখিনি। তাকে দেখে আমি শিখেছি আসলে কম কথা বললে ব্যাপারটা সত্যিই ভালো।
আমাদের আসলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা ঠিক না, আর যারা অতিরিক্ত কথা বলার মাধ্যমে কানের বারোটা বাজিয়ে দেন তাদের থেকে কিছুটা দূরে থাকা উচিত।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
পুশ প্রমোশন
https://x.com/emranhasan1989/status/1863641984117973328?t=rZwIzS4UkiMdBRCopT3g_w&s=19
উদাহরণ দিয়ে দিয়ে খুব সুন্দর করে বিষয়টি বোঝালেন। যে কম কথা বলে তার শত্রু হবার সম্ভাবনা খুবই কম। আর বেশি কথা বললে সমাজে বেশি পরিমাণ শত্রুতা তৈরি হয়। তাই সব দিক থেকেই উচিত মৃদুভাষী হওয়া। কম কথা বললে ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ একাগ্রতা জীবনে খুব দরকার।
আসলেই ভাই বর্তমানের সময়টা আগের চেয়ে বেশ কঠিন। আমিও অনেক ক্ষেত্রে আপনার সেই অফিস কলিগের মতোই করি। আগ বাড়িয়ে কারোর কোনো বিষয় এ কথা বলতে যাই না- কারণ যত কম কথা বলা যায়, ততই ভালো। তবে হ্যা, মাঝে মাঝে থাকতে না পেরে উচিত কথাও বলে বসি বটে স্বভাববশত! সেই স্বভাবটাকে অনেকটা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি।
নীরবতা মানেই সব বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজ পদ্ধতি। আসলে প্রত্যেকটা সেক্টরেই এমন হচ্ছে নীরব থাকলে আসলে কারো শত্রু তৈরি হয় না। নীরবে যারা সবকিছু মেনে নেয় তারাই দিনশেষে ভালো থাকতে পারে। দারুন লিখেছেন ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু, নীরবতা অনেক বিপদ থেকে নিরাপদ রাখে।
কথা কম বললে সত্যিই অনেক সমস্যার যেমন সমাধান হয়।তেমনি শত্রু ও কম হয়।আপনি আপনার দেখা একজন মানুষের গল্প তুলে ধরেছেন। সত্যি ই কম কথা বলা ই ভালো শত্রু মুক্ত থাকা যায়।
যে কথা কম বলে তার শত্রু কম কথাটি যথার্থ। তবে এখন বেশি কথা বলা মানুষ বেশি দেখা যায়। এজন্য তারা বেশির ভাগ সময়ই বিপদে পড়ে যায়। এমনিতেই কম কথা বলা ভালো তাহলে শরীর এবং মাথা ভালো থাকে। আপনার এধরনের শিক্ষনীয় গল্প গুলো সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। চমৎকার ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।
আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন ভাই। বর্তমান সময়ের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় শত্রুর অভাব নেই। তার মুখ্য কারণ হলো অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত কথা বলা। যে কথা কম বলে তার শত্রু কম, এই কথা চিরন্তন সত্য। তাই নিজের সম্পর্কে আলোচনা করে শত্রু সৃষ্টি করা আমাদের উচিত নয়।
হ্যাঁ ভাইয়া যে কথা কম বলে তার শত্রু কম। আসলে বর্তমান সময়ে কথা বেশি বললেও বিপদ। তবে এটি ঠিক বলেছেন আগে মানুষ একসাথে অনেক কথা বলতেন এবং আনন্দ করতেন। আর এখন কথা একদম কম বললেই ভালো। দেয়ালেরও কান আছে কোন সময় কোন বিপদে পড়ে। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।