পৃথিবীটা এখন আত্মকেন্দ্রিক।|| The world is now self-centered.
আপনি মানুন কিংবা নাইবা মানুন পৃথিবীটা এখন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। এখন মানুষজন একমাত্র নিজেকে ছাড়া অন্য কোন কিছু ভাবতে মোটেও রাজি নয়। অথচ একটা সময়ে মানুষ সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করতো। আমার চোখে এখনো ভাসে যখন আমরা গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন পুরো বাড়িতে অসংখ্য মানুষজন একসাথে সামান্য ছোলা মুড়ি পেয়াজু শরবত এগুলো দিয়েই আমরা ইফতার করতাম এবং সেটা এতটাই তৃপ্তিদায়ক খাবার ছিল যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাছাড়াও সবাই যৌথ পরিবারে এত হাসি আর আনন্দে দিন যাপন করতেন যা এখনো চোখের সামনে স্বপ্নের মত ভাসে।
এখনকার সময়ে মানুষজন চার দেয়ালের মাঝে নিজেকে একা বানিয়ে ফেলতে বেশি পছন্দ করে। নিজে একাকী কিংবা শুধুমাত্র নিজ পরিবারকে নিয়ে ভরপেট খাওয়া দাওয়া এবং ভোগ-বিলাসে মেধা থাকতে মানুষ বেশি পছন্দ করে। অথচ পাশের বাসার একজন মানুষ তার বাসায় ইফতার নেই কিংবা খাবার খেতে পারছে না এখনকার মানুষ সেই চিন্তাটা মনে আনতে একদমই চায় না। কিন্তু আমার মাথায় ধরে না এভাবে শুধুমাত্র নিজেকেই ভালো রাখার চেষ্টা করাটা কতটুকু যৌক্তিক এবং আদৌ এটা নিজেকে ভালো রাখতে পারে কিনা তার সন্দেহ রয়েছে। আমার কাছে কখনোই মনে হয় না একজন মানুষ একাকী শুধুমাত্র নিজের ভোগ বিলাস মেটাতে পারলেই সে সুখী হয়ে যাবে।
আমাদের উচিত সমাজ এবং আশেপাশের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করা। যদি এটা করা সম্ভব হয় তাহলে আপনি একটু খেয়াল করে দেখবেন যে মানসিকভাবে প্রচণ্ড রকম আনন্দ পাবেন এবং এটা ভেতর থেকে আপনাকে প্রশান্তি এনে দিবে। কিন্তু মানুষ তবুও বুঝতে চায় না এবং সবার সাথে নিজের আবেগ অনুভূতি সুখ এবং ভালোবাসা শেয়ার করতে চায় না। তাছাড়াও আত্মকেন্দ্রিকতার জন্য সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সবার সাথে যদি সৌহার্দ্য পূর্ন সম্পর্ক থাকতো তাহলে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে রাস পেত এবং কেউ সহজেই অন্য কারো ক্ষতি করার চেষ্টা করত না।
যাইহোক আমাকে উচিত আত্মকেন্দ্রিকতাকে পরিহার করে সবার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা। তাছাড়াও সমাজের দশ জন এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে একত্রে সুন্দর ভাবে বসবাস করার চেষ্টা করতে হবে। এত করে মানসিক শান্তি পাওয়া যাবে এবং সবার জন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
please share yous puss tweet's comment link.
আপনার কথা পুরোপুরি সঠিক, পৃথিবী সত্যিই এখন অনেকটা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। আমাদের মনে রাখা উচিত, সবার সাথে ভালো সম্পর্ক, ভালোবাসা এবং সহানুভূতি ভাগাভাগি করার মধ্যেই আসল সুখের প্রকাশ। এককভাবে নিজেকে ভালো রাখা কিছু সময়ের জন্য হয়তো তৃপ্তি দিতে পারে, কিন্তু মানুষের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা ছাড়া আসল শান্তি এবং আনন্দ আসে না। সবার পাশে দাঁড়ানো, একে অপরের খোঁজ নেওয়া এবং সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করার মাধ্যমে একটি সুন্দর, সহানুভূতিশীল সমাজ গঠন করা সম্ভব।
আপনার এধরনের পোস্ট গুলো সব সময়ই ভালো লাগে। বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। সমাজে এখন মানুষজন নিজের ছাড়া অন্য কে কি খেলো না খেয়ে মারা গেলো এসব দেখার সুযোগ নেই। দিন দিন সমাজে অধঃপতন দেখা দিচ্ছে। জানি না সামনের দিন গুলোতে কি হবে। তবে সমাজের পরিবর্তন জরুরি।
যতদিন যাচ্ছে এভাবে মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। কিন্তু এটা যে মানুষকে অমানুষ রূপে গড়ে তুলছে সেটা কেউ বুঝতে পারে না। আমাদের মধ্যে এমন আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব দূর করতে হবে। নিজেকে বস্তুতি রাখতে হবে অন্যের উপকারে নিয়ে আসার। জয় হোক সবার মধ্যে যেন সেই সুন্দর বোধশক্তি গড়ে ওঠে সেটাই কামনা করি। আপনার লেখা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর লিখেছেন।
সবাইকে নিয়ে আনন্দে থাকার মধ্যে অনেক ভালো লাগা কাজ করে।একা থাকার মধ্যে কোন আনন্দ নেই।আমাদের সবার সাথে মিলে মিশে থাকতে হবে।এতেই সুখ।