গল্প: ডঃ কিম্ভুত কিমার।( শয়তানের পূজারী) || Story: Dr. Kimbhut Kimar. (Devil Worshiper) Part 6
শয়তানের পূজারী (পর্ব: ৬) |
---|
পঞ্চম দিনে এসে কিম্ভূতকিমাকার তার বানর আকৃতির শরীর নিয়ে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে শুরু করেছে। আর মাত্র আটচল্লিশ ঘন্টা সময় রয়েছে তার হাতে, যদি এরমধ্যে সে এন্টিডোজ না নেয় তাহলে মারা যাবে। কিমারের শরীর বানর হলেও তার মস্তিষ্ক কিন্তু সেই আগের কিমার রয়েছে। কিন্তু সে নাছোড়বান্দা সর্বোশেষ অবস্থা দেখবেই। পঞ্চম দিন সন্ধ্যায় তার প্রচন্ড বমি হতে শুরু করে এবং তার সাথে রক্ত যেতে থাকে। এবার কিমার বুঝতে পারে অবস্থা ভয়ানক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। তার ঔষধ মারাত্মক সক্রিয় এবং জীবন নিতে সক্ষম। সেদিনের মতো কোনরকম চোখ দুটো বন্ধ করে ঘুমিয়ে যায়।
পরদিন সকালে কিমারের বানর শরীর মনে হয় আর জাগ্রত হচ্ছে না। চোখদুটো ভীষণ ভারী হয়ে উঠেছে, খুব কষ্ট করে কিমার চোখ খুলেছে। না আর দেরি করা যাবেনা, তাকে খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষেধক নিতে হবে। কিন্তু সে শোয়া থেকে কোনভাবেই উঠতে পারলো না। কিন্তু কিমার বুদ্ধি করে তার প্রতিষেধক মাথার কাছে রেখেছিল। ভীষণ কষ্ট করে হাতটা সামনের দিকে বাড়িয়ে কোনরকম ঔষধটা গ্রহণ করলো। কিন্তু এরপর সে তাঁর জ্ঞান হারালো। ঠিক কতটা সময় সে ঘুমিয়েছে বলতে পারবে না।
ঘুম থেকে উঠে রিতিমত সে অবাক কারন সূর্য তখন অস্ত গিয়েছে। প্রায় বারো ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকার পর সে তার অস্তিত্ব অনুভব করলো। তার মানে তার প্রতিষেধক শতভাগ কাজ করেছে। সে উঠতে যাবে কিন্তু উঠতে পারলো না, তার শরীর একেবারে দূর্বল হয়ে গেছে। সে আবারো ঘুমিয়ে পড়লো কারন, হয়তো ঘুমাতে পারলেই একমাত্র তার সুস্থতা ফিরে আসতে পারে।
পরদিন সকালে সে ধীরে ধীরে উঠতে পারলো এবার বিভিন্ন ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি একটি পানীয় পান করলো। ধীরে ধীরে শরীরে শক্তি ফিরে আসতে লাগলো, এবার তার কাজ করার সময় এসেছে। সে খুব দ্রুত এই রোগ কাসফ্লান শহরে ছড়িয়ে দেবে। আপন মনে হাসতে থাকে আর তার শয়তান দেবতার পূজা করতে থাকে।
এবার পরিকল্পনা হলো কোন জিনিসটাতে ভাইরাস দিতে পারলে দ্রুত সবাইকে আক্রান্ত করা যাবে। তখন হঠাৎ মাথায় এলো শহরের পানি শোধনাগার থেকে সবাই পানি পান করে, এটাই হবে তার প্রধান হাতিয়ার।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
পুশ প্রমোশন
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!