গল্প: নীলাভ প্রেম। || Story: Blue Love. 💙 ( Part-6)
সোনমের ছাদটা আরো বেশি ভালো লাগতে থাকে কারন সেখানে অপ্সরা নামক একটা মিষ্টি পরী তার অপেক্ষায় থাকে। মজার ব্যাপার হলো পরীটা তাকে ভীষণ ভালোবাসে আর সোনম শুধুমাত্র তার বন্ধুত্বের মিষ্টি অনুভূতি নিয়ে যাচ্ছে কারণ প্রেম ভালোবাসা ব্যাপারটা সত্যিই এখনো বোঝেনা সোনম। সোনমের মিষ্টি বন্ধুত্ব এগিয়ে যাচ্ছিল আর অপ্সরার স্বর্গীয় প্রেম। অপ্সরা মনে প্রানে বিশ্বাস করে সোনম তাকে ভালোবাসবেই, এটা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
অপ্সরা মাঝে মাঝে সোনমের জন্য গন্ধরাজ ফুল নিয়ে আসে। এতো মিষ্টি ঘ্রাণ সোনম মনে হয় কখনো পায়নি। আরো মজার ব্যাপার হলো ফুলের ভাঁজে ভাঁজে অপ্সরা ভালোবাসার বিভিন্ন প্রতীক আর (S+A) লিখতো। সোনম ব্যাপারটা শুধুমাত্র উপভোগ করতো। দুজন দুজনের সাথে গল্প করতো একটু আড়ালে আর লুকিয়ে কারন কেউ দেখলে হয়তো খারাপ ভাববে আর বদনাম করবে। এভাবেই কাটছে দিনগুলো ভীষণ ভালো আর সুন্দর অনুভূতি নিয়ে।
এদিকে সোনমের কলেজের ছুটি শেষ, সোনমকে ফিরতে হবে তার ভবিষ্যত গড়ার জায়গায়। কিন্তু কেন যেন মন এবার যেতে চাইছে না, মা বললো কিরে কাল তো তোকে ফিরতে হবে। তো কি খেতে চাস বলিস আর কিছু পিঠা তৈরি করবো নিয়ে যাস। মায়ের কথায় তেমন মন নেই তার, বললো মা তোমার যা ইচ্ছে তৈরি করে দিও।
বিকেলে আবারো ছাদে দৌড়ে উঠে অপ্সরার দেখা। মিষ্টি হেসে স্বাগতম জানালো, কিন্তু সোনমের মন ভালো নেই। অপ্সরা স্পষ্ট বুঝতে পারলো, সাহেব মনমরা। কি গো কি হলো তোমার? মুখটা গোমরা কেন? সোনম জানায় আগামীকাল তাকে ফিরতে হবে কলেজে। অপ্সরার চোখের কোনে জল গড়িয়ে পড়লো। বললো চলে যাবে আমায় ছেড়ে, আর এখনো তো আমাকে ভালোবাসতে পারলে না। কোন জবাব দেয় না সোনম, শুধু তাকিয়ে দেখলো একটা পাগল মেয়ে কেঁদে চলেছে তার জন্যে। সোনম সত্যিই কি করবে বুঝতে পারছে না। শুধুমাত্র জানায় খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে সে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
নীলাভ প্রেমের গল্পের ষষ্ঠ পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। সোনমের প্রতি অপ্সরা দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই মাঝে মাঝে সোনমের জন্য গন্ধরাজ ফুল নিয়ে আসে এবং যাওয়ার কথা শুনে অপ্সরার চোখের কোনে জল চলে আসে। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অপ্সরার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর সোনমের সরল বন্ধুত্ব দুজনের এই মিষ্টি সম্পর্ক সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। অপ্সরার অপেক্ষা, তার ভালোবাসার প্রতীক, আর সোনমের অবুঝ মন সবকিছুই এক অনন্য অনুভূতি এনে দেয়। বিদায়ের মুহূর্তটা যেন এক অদৃশ্য টান তৈরি করল। গল্পটা দারুণ লাগলো, পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম।