মানসিকতা বড় হওয়া প্রয়োজন।
পৃথিবীতে এরকম অনেক মানুষ রয়েছে যাদের অর্থের অভাব নেই কিন্তু অভাব রয়েছে বড় মানসিকতার। কথাটা হয়তো শুনতে কিছুটা খারাপ লাগলেও আমি এমন অজস্র নিচু মানসিকতার তথাকথিত বড়লোক বা পয়সাওয়ালা লোক দেখাতে পারবো। আবার এমনও অমানুষ রয়েছে যারা কুকুর বিড়ালের পেছনে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা খরচ করে কিন্তু ঘরের কাজের লোকটাকে একবেলা ভালো খাবার দিতে তাদের কলিজা কাঁপে।
খুব বলতে ইচ্ছে করে: ওহে বড়লোক, এক সমুদ্র জল তোমার, যদি দিলে দয়া হয় তবে দিও গো এক ফোঁটা জল।
বাস্তবতা হলো যার এক সমুদ্র পানি আছে তার কাছে আপনি তেষ্টায় যদি মরেও যান, তবুও এক ফোঁটা পানি পাবেন না। কিভাবে পাবেন উপর ওয়ালা তাকে সেই মানসিকতা দিয়ে দুনিয়াতে পাঠায়নি। পৃথিবীতে উপর ওয়ালা মানুষ পাঠিয়েছেন তবে তার সাথে কিছু অমানুষ পাঠিয়েছেন কারন নাহলে তো আপনি মানুষ আর অমানুষের পার্থক্য করতে পারবেন না।
আসলে যাদের মানসিকতা নিচু এবং ছোট এরা টাকা পয়সা এমনভাবে আঁকড়ে ধরতে চায় মনে হয় যেন কবরে যাওয়ার সময় সাথে নিয়ে যাবে, আর মানুষের জন্য খরচ করাকে এরা অযথা অপচয় মনে করে থাকে। অথচ উপর ওয়ালা মানুষ এবং জন্তু জানোয়ারের সাথে সুবিচার এবং দয়া দেখাতে বলেছেন। কিন্তু তথা কথিত এই বড়লোকেরা সেগুলো বেমালুম ভুলে গিয়ে নিজের ভোগ বিলাসে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে। এদের পেটের খিদে আবার এদের মানসিকতার ঠিক উল্টো কারন এরা যতরকম ছলচাতুরি আছে সব জানে এবং কিভাবে সবথেকে বেশি খাওয়া যাবে সেটাও ভালো বোঝে।
হয়তো তুমি আজ ভেবেই নিয়েছো দুনিয়া তোমার স্বর্গ আর যা দিয়েছো মানুষকে তাই ঢের বেশি, তাহলে তুমিও তৈরি থেকো। একদিন সৃষ্টিকর্তা হয়তো তোমাকেও ঠিক সেইভাবে বিচার করবেন যেভাবে তুমি মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে লুটে চলেছো। তাইতো বলি পিও মনটা বড় করো, পরকাল সুন্দর করো।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আমাদের সবাইকে নিয়ম অনুযায়ী একদিন চলে যেতে হবে। এজন্য দুনিয়াতে আমাদের সকলের ভালো কাজের সাথে থাকা উচিত। যাদের কিছু নেই তারা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে মানুষ কে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন। আর যাদের কোন কিছুর অভাব নেই তাদের মানসিকতা পরিবর্তন করা উচিত বলে আমি মনে করি। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন আমীন।
পোস্ট পড়তে গিয়ে আপনার পোস্টটি যখন চোখে পড়লো তখন কেন জানি চোখ এখানেই থেমে গেছে। আপনি তো বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখেছেন। আসলেই আমাদের মানসিকতাটি বেশ বড় হওয়াই উচিত। কেবল অর্থ নিয়েই আমরা আমাদের কে বেশ বড় করে দেখি। কিন্তু একটি কথা কি জানেন ভাইয়া। আমার মনে হয় যাদের মানসিকতা যেমন তেমনই রবে। যাই হোক সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মানুষ হয়ে জন্ম নিলেও আমাদের সবার মন মানসিকতা বড় নয়।যার যত আছে, সে তত চায়।এটা একদম বাস্তব সত্য।মানসিকতা বড় করে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সবার দ্বারা হয়না।আমরা জানি আমরা কোন ধন-সম্পদ কবরে নিয়ে যেতে পারবো না।তবুও কি আশায় বুক বেঁধে থাকি তাও জানা নেই।মন বড় করে মানুষের পাশে দাঁড়ালে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া যায়। এতে পরকালে সুখ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের কে দিবেন।তাই মন মানসিকতা বড় করে বাঁচতে হবে।
এই দুনিয়া ছেড়ে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। তখন ভালো মন্দের হিসাব নেওয়া হবে। ছোট মানসিকতার মানুষগুলো সকলের কাছে অপছন্দনীয়। বিপদে-আপদে অন্য জনের পাশে থাকা বড় মনসিকতার পরিচয়। তাই অর্থ দিয়ে যাচাই করলে টাকা ওয়ালা মানুষের মানসিকতার অভাব সবচাইতে বেশি। যাইহোক চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিলেন আপনি, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।