ভালো থাকাটা একটু কঠিন।
ভালো থাকাটা একটু কঠিন, সত্যি বলতে একটু নয় বেশ কঠিন। ভালো থাকাটা আপেক্ষিক একটা ব্যাপার। কিন্তু এটা এখন এতটাই আপেক্ষিক হয়ে গেছে যে এর দেখা পাওয়াটাই মুশকিল।
একটা সময় মানুষ একে অপরকে ভালো রাখার চেষ্টা করতো কিন্তু ব্যাপারটা এখন শুধুমাত্র অতীতের সুখকর স্মৃতি। এই একে অপরকে ভালো রাখার ব্যাপারটা এখন শুধুমাত্র ব্যাক্তি কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। এখন মানুষ শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে চিন্তা করে এবং নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করে। আসলে যখন একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে শুধুমাত্র নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করবেন, তখনই বিপত্তি ঘটবে। দেখুন সবাই ভালো মানসিকতার না, আবার সবাইকে আপনি ভালোর কাতারে আনতেও পারবেন না।
তবে শুধুমাত্র নিজের ভালো চিন্তা না করে, পুরো একটি গোষ্ঠীর ভালো চিন্তা করলে সবাই মিলে ভালো থাকা যায়। এই ব্যাপারটাই বুঝতে পারে না, চাটুকর, লোভী এবং নিকৃষ্টতম কিছু মানুষ। এই লোকগুলো খুব ধীরে ধীরে সমাজের অন্য মানুষগুলোর রক্ত চুষতে থাকে, এক অপার শান্তি নিয়ে। সত্যিই কি তারা ভালো থাকবে? কিংবা এই ভালো থাকাটা কি টেকসই কিছু? হা হা 😄 এটা শুধুমাত্র সময় বলে দেবে।
বৈষম্য, বৈষম্য আর বৈষম্য তুমি করছো বৈষম্য।
হয়তো ভেবেই নিয়েছো এটাই তোমার সুখ সম।
কিছু মানুষ সমাজে ভালো থাকে আর কিছু মানুষ খাবাবের জন্য শুধু চেয়ে থাকে। তুমি বলেছো তুমি ভালো আছো, এটাই কি আসলে ভালো থাকা?
প্রশ্নটা রেখে গেলাম তোমার জন্য। তুমি চলেছো শুধুমাত্র নিজের গা বাঁচিয়ে সুখের বানিজ্যে, ভাসতো থাকো সুখের সাগরে। কিন্তু ভেবছো কি, এটাই কি ভালো থাকা?
আজ হয়তো প্রশ্নটা আমি করছি, একদিন হয়তো সময় তোমাকে এই প্রশ্নটা করবে। তুমি কি আদৌ সঠিক উত্তর দিতে পারবে 😄 অপেক্ষায় রইলাম তোমার সঠিক উত্তরের, আর দেখার অপেক্ষায় কিছু ছদ্মবেশী সুখি মানুষের পরিনতি।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
মনুষ্যত্ববোধের প্রধান কাজ হল সঠিক চিন্তা ভাবনা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। আমাদের সমাজে এই ধরনের শ্রেণীর মানুষ খুব কম। নিজের জন্য তারা সবকিছু করতে রাজি মানুষ হিসেবে একজন মানুষকে মেরে ফেলা এবং জুলুম নির্যাতন করতে কোন দ্বিধা নেই। তাদের জন্যই আজকের এই বৈষম্যমূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আপনার এধরনের লেখা গুলো বাস্তবমুখী। আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। বর্তমান সমাজে এ সমস্ত লোকজন বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে সময় মতো এদের পতন হবে। ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এ ধরনের পোস্টগুলো খুব ভালো লাগে। পড়ে অনেক কিছু শিখতে পারি। আমাদের সমাজে এই ধরনের মানুষ গুলো দেখতে পাই, তারা নিজের স্বার্থের জন্য সব কিছু করতে রাজি। কিন্তু দুঃখের বিষয় অন্যের জন্য তারা কোন কিছু করতে রাজি না। তারাই হলো বৈষম্যের উচ্চ পর্যায়ের লোক। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।