ব্যাস্ততম একটি দিন।
আসলে ব্যস্ততা আমাকে কোনমতেই ছাড়ছে না প্রত্যেক মাসের এই সময়টাতে আমাকে সর্বোচ্চ ব্যস্ত থাকতে হয়। প্রতি মাসের অন্তত এক থেকে ১৫ তারিখ অবধি দম ফেলার সময় পাইনা, কারণ এই সময়টাতে আমার স্যালারি পিরিয়ড চলে এবং মেশিনগুলো প্রচন্ড রকম সমস্যা তৈরি করতে থাকে। প্রতিনিয়ত তাদের মেরামত করতে হয় আমাকে, তাই ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছি।
আসলে মাঝে মাঝে ভীষণ বিরক্ত লাগে, আর প্রতিনিয়ত কাজ, কাজ এবং কাজ আমাকে সত্যিই ক্লান্ত করে তোলে। আসলে পরিবারকে একটু ভালো রাখতে হলে আমাদের পুরুষদের প্রচণ্ড রকম পরিশ্রম করতেই হয়, এর কোন বিকল্প নেই। তবুও মাঝেমধ্যে কেমন যেন একটা একঘেয়েমি এবং হতাশা কাজ করে। ইস আমি যদি একটু সময় পেতাম, আমি যদি একটু কোথাও ঘুরতে যেতে পারতাম এবং মন খুলে যেদিকে ভালো লাগে সেদিকে যেতে পারতাম। সত্যিই এই ব্যাপারটা আমি ভীষণ মিস করি।
আসলে একেকটা বয়স আমাদের পুরুষদের জীবনে একেক রকম ভাবে কাটে। ছোটবেলায় প্রচন্ডরকম দুষ্ট ছিলাম এবং সারাক্ষণ খেলাধুলায় মেতে থাকতাম। যখন লেখাপড়ার চাপ শুরু হল তখন সত্যিই ধীরে ধীরে ব্যস্ত হতে থাকলাম এবং যখন বড় হলাম একগাদা দায়িত্ব নরম কাধের উপর চাপতে থাকলো। এই ভার সইতে সইতে এক সময় আমাদের কাঁধ সত্যিই শক্ত হয়ে যায়। ঠিক এমনটাই আমার সাথেও ঘটেছে এখন আর কোন কষ্ট, কিংবা দায়িত্ব খুব বেশি বড় কিছু মনে হয় না।
প্রতিনিয়ত আমার কাছে মনে হয় আমাকে শুধু কাজ করতে হবে এবং কাজ করেই যেতে হবে। এর বাইরে আর কোন কিছু আমি যেন কল্পনাই করতে পারি না। আজকের দিনটা শুরু হয়েছিল সকাল সাতটায় ঘুম থেকে উঠেই দৌড়ে চলে যাই একটি সকালের কাজ। এরপর থেকে একটার পর একটা কাজ লেগে আছে এবং আমি প্রায় আজকে সারাদিনে প্রায় ১২০ কিলো মিটারের মতো ভ্রমণ করেছি। তবে মেশিনের কাজ করতে আমি কখনোই ক্লান্ত হইনা শুধুমাত্র ক্লান্তি লাগে দূর-দূরান্তে ভ্রমণ করার সময়। দুপুরে বাইরে খেয়েছিলাম এবং খাবারটি খুব বেশি তৃপ্তিদায়ক ছিল না।
যখন আমার বাসার আশেপাশে ফিরলাম তখন প্রায় রাত নটা বাজে এবং পরিবার থেকে বেশ কিছু বাজারের জন্য একটি লিস্ট হাতে আসে। যাইহোক তারপর বেশ কিছু বাজার সদাই নিয়ে বাসায় ফিরলাম। এরপর খেয়ে দেয়ে একটু কাজ করতে বসলাম। এভাবেই কেটে গেছে ব্যাস্ততম একটি দিন।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
@tipu curate
দিন গুলো কাটে খুব বেশী ব্যস্ততায়।আজকাল ঘরে বাইরে সবাই খুব ব্যস্ত হয়ে পরেছে।আর ছেলেদের ব্যস্ততা তো আরো বেশী।একটি পরিবারের দায়িত্ব থাকে ছেলেদের উপর।তাই ব্যস্ততায় কাটে তাদের জীবন।এতো ব্যস্ততায় দম ফেলতে হলে একটু অবসর তো লাগেই।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদিনে ১২০ কিলোমিটার ভ্রমণ মানে অনেকটা পথ। তবে কি জানেন ব্যস্ততম দিন হলেই সময়টা ভালো কাটে। হঠাৎ করে হাতে কোন কাজ না থাকলে সেই সময়টা যেন কাটতেই চায় না। আমার তো বেশ ভালো লাগে চরমতম ব্যস্ত দিনে কাটাতে।
ভাইয়া আপনার ব্যস্ততম দিনের পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনি এটা ঠিক বলছেন। ছোটবেলায় আমরা কমবেশি সবাই অনেক দুষ্টু ছিলাম এবং খেলাধুলায় কিন্তু ব্যস্ত ছিলাম। এখন যত বড় হচ্ছি ততই কিন্তু দায়িত্বের বোঝাটা আমাদের কাঁধে চলে আসতেছে। তবে যখন একবার দায়িত্ব নিতে পারব এবং দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যাবো তখন এই বিষয়টা আর আমাদেরকে কিছু মনে হবে না।যেমন টা আপনার কাছে লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।