ব্যাস্ততম একটি দিন।
আসলে ব্যস্ততা আমাকে কোনমতেই ছাড়ে না প্রত্যেক মাসের এই সময়টাতে আমাকে সর্বোচ্চ ব্যস্ত থাকতে হয়। বিশেষ করে পাঁচ তারিখ থেকে শুরু করে একেবারে পনেরো তারিখ পর্যন্ত সেলারি প্রিওড চলে। আর এই সেলারি প্রিওডে আমার মেশিন গুলো যত সমস্যা শুরু করে দেয়। কি পরিমান যে মেশিনে কাজ করতে হয় বলে বোঝাতে পারবো না, এর উপর থাকে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
আপনাদের একটা মজার কথা বলি, কিছু কিছু মানুষ মনে করে তাদের টাকা ব্যাংকে থাকলে কোম্পানি উঠিয়ে নিয়ে যাবে 😂 তাই এরা সেলারি পাওয়ার আগে থেকেই ব্যাংকে এসে বসে থাকে যাতে সিরিয়াল আগে পায় এবং মেসেজ আসার সাথে সাথেই টাকা তুলতে পারে। যখন তীব্র হুড়োহুড়ি শুরু হয় তখনই মেশিন গুলো সমস্যা শুরু হয়ে যায়। আর এই সমস্যা সারাতেই ডাক পরে আমার।
যাইহোক আজ সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করলাম, রোজা ছিলাম তাই তেমন খাওয়া দাওয়ার ঝামেলা নেই। এটা একদিকে ভালোই হোটেলে খেলে এমনিতেই পেটের বারোটা বেজে যায় 😄 যাইহোক বেশ কিছু কাজ সেরে যখন ক্লান্ত এবং পরিশ্রান্ত তখন বিকেল হয়ে গেছে। এবার পরিস্থিতি বুঝে বাসার দিকে রওনা দিলাম, উদ্দেশ্য ইফতার করা। যদিও জানিনা আবার বের হতে হবে কিনা। যাইহোক পরিবারের সবার সাথে ইফতার করলাম, এরপর নামাজ পড়ে কিছুটা বিশ্রাম নিলাম। উপর ওয়ালার ইচ্ছায় আর বের হতে হয়নি। এরপর এশার নামাজ পড়লাম বাসায়। যাইহোক এভাবেই কেটেছে ব্যাস্ততম একটি দিন।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
রোজা মুখে তাহলে তো আপনার একটু ছোটাছুটি বেশি হয়ে গিয়েছে ভাইয়া। পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি টাকা তোলার মেশিন সাড়তে পারেন ধন্যবাদ ভাইয়া শুভকামনা রইল।
জেনারেল রাইটিং হিসেবে খুব ছোট পোষ্ট হয়ে গেছে, সৃজনশীলতামূলক কিছু হলে শব্দ সংখ্যা নিয়ে সমস্যা হয় না। কিন্তু সাধারণ কিছু হলে শব্দ সংখ্যা কাউন্ট করা হয়।
জি ভাই লিখাটা একদমই সাধারণ হয়ে গেছে।
ভাইয়া, আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু শিখলাম। টাকা তোলার মেশিন সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল, আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুন।
আপনি মাসের শুরু থেকে খুব ব্যস্ত থাকেন এ সম্পর্কে আমি আগে থেকে জানি। তবে এ বিষয়টি সত্যিই খুব বিরক্ত কর, টাকা আসার আগেই লম্বা সিরিয়াল হয়ে যায় ব্যাংকের সামনে। এক্ষেত্রে আমাদেরও কাজ করতে খুব অসুবিধা হয়। যাইহোক ব্যস্তময় দিনের কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।