ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ একজন এতিমের জীবন কাহিনী

in আমার বাংলা ব্লগ10 hours ago (edited)

আজ - শুক্রবার

০৬, অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নভেম্বর ২২, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

হিন্দু ভাইদের নমস্কার এবং মুসলমান ভাইদের কে সালাম জানিয়ে আজকের নতুন আরেকটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি..! আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আজকে আমি আবার নতুন একটি পোস্ট করতে যাচ্ছি। আজকে আমি একটা বাস্তব ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে তবে চলুন শুরু করি। এই ঘটনাটি বেশ বড় একটি ঘটনা যার কারণে এটি অনেকগুলো পর্ব হতে পারে তাই আমি ছোট করে এই পর্বে ঘটনার মূল বক্তব্য এবং সেই সাথে কিছু ক্যারেক্টারের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব যার মাধ্যমে আপনারা এ ঘটনাটি খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। ঘটনার সঙ্গে সম্পূর্ণ জড়িয়ে রয়েছে জেবা। জেবা যার বয়স বর্তমানে ১২ বছর সে একজন মেয়ে এবং প্রথমে বলে দিতে চাই সে একজন এতিম মেয়ে। তার জীবনের যে কত রকম উথুন পথুন রয়েছে আপনারা এই গল্পটা না শুনলে হয়তোবা উপলব্ধি করতে পারবেন না । কারণ যদি কোন ছেলে বা মেয়ে এতিম হয় তাহলে হয়তো বা তার বাবা মারা যায় না হলে তার মা মারা যায়। কিন্তু তার কপালটা এতটাই খারাপ ছিল যে তার বাবা-মা দুজনেই মারা যাওয়ার মত এবং শেষ আশ্রয় তার ভাইরা যদি তাকে না দেখতো তাহলে হয়তোবা তার জীবনটা অন্যরকম হয়ে যেতে পারত‌। সেই গল্পটাই আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের শেয়ার করার চেষ্টা করব।

laos-972541_1280.jpg

source

জেবার আব্বুর নাম ছিল রববুল হোসেন। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন এবং কৃষি কাজ করেই তিনি তার জীবিকা নির্বাহ করতেন তো রব্বুল হোসেনের টোটাল তিনটা ছেলে রয়েছে একজনের নাম হচ্ছে হাবিবুর, রবিউল এবং আশরাফুল। এর মধ্যে বড় হচ্ছে রবিউল যিনি মানুষকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে নিয়ে যেতেন তবে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার কারণে তিনি মারা গিয়েছেন। তিনি পেশায় একজন মিস্ত্রি ছিলেন অর্থাৎ তিনি স্যালো মেশিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম ইলেকট্রনিক্স মেশিন মেরামত করতে পারতেন একসময় তার বাজারে বিখ্যাত একটি ইলেকট্রনিক্সের ঘরের ছিল তাই তাকে মানুষ এক ডাকে চিনতেন যে রবিউল মিস্ত্রি। তো এক পর্যায়ে তিনি জীবনের মান উন্নয়নের সাথে, সাথে গ্রামে আর থাকলেন না তিনি শহরে শিফট হলেন এবং ওখানে গিয়ে একটি বড় মিস্ত্রির দোকান খুলে বসেছেন এবং এভাবে তিনি তার জীবন অতিবাহিত করতে লাগলেন। আসলে পিতা-মাতা সবসময়ই চায় যে তার সন্তানরা ভালো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করুক আর ভালো সুযোগ সুবিধা গুলো রয়েছে শহরে তাই তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে শহরে চলে গিয়েছিলেন।

child-7119165_1280.jpg

source

তো তিনি মানুষ হিসেবে অনেক ভালো একজন মানুষ ছিলেন। তার ছেলে মেয়েকে তিনি সুশিক্ষিত করার চেষ্টা করতেন বিশেষ করে তার মেয়েটা পড়াশোনায় অনেক বেশি ভালো ছিল এবং ছেলেটাও ভালো। মেয়েটা যখন ফাইনাল রেজাল্ট বাসায় নিয়ে আসতো তখন সে সবসময়ই প্রথম এবং দ্বিতীয় এর মধ্যে থাকতো এবং দ্বিতীয় নম্বর যে ছেলেটি রয়েছে তার নাম হচ্ছে মাসুম সেও পড়াশোনায় অনেক ভালো একজন ছিল‌। তো এক পর্যায়ে এভাবেই তাদের জীবন অতিবাহিত হতে থাকলো যখন মাসুম ভাই আমাদের এদিকে আসছেন তখন আমাদের জন্য অনেক জিনিস নিয়ে আসছেন বিশেষ করে ঈদের সময় অনেক রকম পটকাবাজি নিয়ে আসতেন আমরা মাসুম ভাইয়ের অপেক্ষায় থাকতাম কারণ তিনি যদি না আসেন তাহলে আমাদের ঈদটা মনে হতো যে সঠিকভাবে উদযাপিত করতে পারতাম না। তো এভাবে আমাদের সুন্দর সময়গুলো অতিবাহিত হচ্ছিল কিন্তু একদিন হঠাৎ দেখা গেল যে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার ফলে রবিউল আঙ্কেল মারা গেছে এবং পরবর্তীতে তখন তাকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হলো এবং দাফন কাফনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হলো।

poverty-7087493_1280.jpg

source

তো প্রথমে বলে রাখা ভালো সম্পর্কে রবিউল হোসেন আমার আংকেল হয় এবং মাছুম আমার চাচাতো ভাই হয় । যার কারণে আমি এই ঘটনাটা আপনাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে বলতে পারব। তো আপনাদের মাঝে জেবার কাহিনীটি শেয়ার করছিলাম তবে গল্পের মধ্যখানে যেহেতু ইনাদের কথা উঠে আসলে তাই এটাও শেয়ার করে রাখছি, একদিক থেকে মাসুম ভাইয়েরাও ওনার আব্বা মারা যাওয়ার পরে এতিম হয়ে গেলেন এবং তিনি অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করার পরে এখন বর্তমানে একটা চাকরিতে রয়েছে এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো পর্যায় রয়েছে। তো জেবার কথায় ফিরে আসা যাক যেবার আব্বু অর্থাৎ রাব্বুল হোসেন প্রথম অবস্থায় একটা বিয়ে করেন এবং তার তিনটা সন্তান হয়। দ্বিতীয় অবস্থায় তিনি আবারও একটা বিয়ে করেন এভাবে প্রায় কয়েকটা বিয়ে করার তার রেকর্ড রয়েছে। তো প্রায় শেষ বয়সে তিনি আবারও একটা বিয়ে করেন এবং বিয়ে করার পরে তার স্ত্রী গর্ভবতী হয় কিন্তু ডাক্তার বলেছিল যে ওনার স্ত্রী যদি সন্তান নেয় সে ক্ষেত্রে ওনার বড় একটা সমস্যা হতে পারে। কারণ উনার স্ত্রীর আগে থেকে একটা রোগ ছিল। তবে তারা হয়তো বা এটা গ্রাহ্য না করে পরবর্তীতে যখন জেবা হয় তখন এক পর্যায়ে রবগুল হোসেনের স্ত্রীর শরীর খারাপ হতে শুরু করে। (চলবে...)

ক্রোমব্লগার@emonv
ডিভাইসTecno camon 20
শ্রেণী ‌ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট

🔚 সমাপ্তি

Screenshot_20240511-225100.jpg

আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...Lv2At2mGmrfEMg6f1U32Fbx5AMXoYvtwxPoGN64iEBA4Rv1YhRRuUftAwRmKthwLZXLSTwWxtFD7Sj1QyBBErTgPny6vsjAKSJvXy9ovR9TDNhx7vqPZQ8nKqg.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

1000004142.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.