কবিতা আবৃত্তি ( কুড়ি বছর পরে- জীবনানন্দ দাশ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
জীবনের সবচাইতে কঠিন সত্য হয়তো এটা আপনি যাকে সবচাইতে বেশি ভালোবেসেছিলেন আপনাকে তাকে ছাড়াই সারাজীবন বেঁচে থাকতে হয়। সম্পর্কে বিচ্ছেদের পর যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পরেও হয়তো মানুষ টা আপনার ভেতরে কোথাও থেকে যায়। অন্তত জীবনে যারা এইরকম পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছেন তারা এটা খুব ভালোভাবে জানবেন। আমার নিজেরও এখন মাঝে মাঝে মনে আরেকবার যদি তার সাথে হঠাৎ দেখা হয়। তাহলে কী বলব অথবা কোন কথা কী বলতে পারব। হয়তো অনেক বছর পরেও আমার মনে মানুষ টা থেকে যাবে। একদিন হঠাৎ দেখা হয়ে যাবে।
এইরকম অব্যক্ত অনূভুতির ব্যাপারটা একেবারে অন্যরকম জীবনানন্দ দাশের কুড়ি বছর পরে কবিতা টা ঠিক এমনই। যেখানে কুড়ি বছর পরে জীবনানন্দ দাশ আবার সেই মানুষ টার সাথে দেখা হওয়ার কথা বলেছে। একটা প্রশ্ন রেখে দিয়ে গিয়েছে অনূভুতি টা তখন কেমন হবে। আমারও এখন এটা জানতে ইচ্ছা করে হঠাৎ যদি আমাদের আবার দেখা হয় আমাদের অনূভুতি টা ঠিক কেমন হবে। যাইহোক আজ অনেকদিন পরে আপনাদের সাথে কবিতা আবৃত্তি শেয়ার করে নিব। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
- কুড়ি বছর পরে
- জীবনানন্দ দাশ
আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা হয় যদি!
আবার বছর কুড়ি পরে—
হয়তো ধানের ছড়ার পাশে
কার্তিকের মাসে—
তখন সন্ধ্যার কাক ঘরে ফেরে— তখন হলুদ নদী
নরম-নরম হয় শর কাশ হোগলায়— মাঠের ভিতরে।
অথবা নাইকো ধান খেতে আর;
ব্যস্ততা নাইকো আর,
হাঁসের নীড়ের থেকে খড়
পাখির নীড়ের থেকে খড়
ছড়াতেছে; মনিয়ার ঘরে রাত, শীত আর শিশিরের
জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি-কুড়ি বছরের পার—তখন হঠাৎ যদি মেঠে পথে পাই আমি তোমারে আবার!
হয়তো এসেছে চাঁদ মাঝরাতে একরাশ পাতার পিছনে
সরু-সরু কালো-কালো ডালপালা মুখে নিয়ে তার,
শিরীষের অথবা জামের,
ঝাউয়ের— আমের;
কুড়ি বছরের পরে তখন তোমারে নাই মনে!
জীবন গিয়েছে চ’লে আমাদের কুড়ি-কুড়ি বছরের পার—তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার!
তখন হয়তো মাঠে হামাগুড়ি দিয়ে পেঁচা নামে—
বাবলার গলির অন্ধকারে
অশথের জানালার ফাঁকে
কোথায় লুকায় আপনাকে!
চোখের পাতার মতো নেমে চুপি কোথায় চিলের ডানা থামে—
সোনালি-সোনালি চিল— শিশির শিকার ক’রে নিয়ে গেছে তারে—
কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে!
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি বোধকরি ভীষণ ভাবে জীবনানন্দ দাশের ফ্যান। তাই আপনার পোস্টগুলোর মধ্যে তার ছোয়া অনেক পাই৷ আজ আপনি জীবনানন্দ দাশেরই একটি চমৎকার লেখা পাঠ করেছেন৷ খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।
জীবনানন্দ দাশের কবিতা সব সময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে জীবনানন্দ দাশের কুড়ি বছর পরে কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।