ওয়েব সিরিজ রিভিউ ( রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি- এপিসোড ১,২)!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Youtube থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া।
ওয়েব সিরিজ এর কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
নাম | রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি |
লেখক | মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন |
পরিচালক | শ্রীজিৎ মুখার্জী |
প্লাটফর্ম | হইচই |
মুক্তি | ২০২১ |
অভিনয়ে | আজমেরি হক বাঁধন, অনিবার্ন ভট্টাচার্য, রাহুল বোস, অঞ্জন দও, অনিবার্ন চক্রবর্তী। |
প্রথম এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় একটা বিমান দূর্ঘটনা। একটা বিস্তৃর্ণ জনমানবহীন প্রান্তরে একটা বিমান বিধ্বস্ত হয়। ওখানে সাহায্য করার কেউ ছিল না। অবশেষে নিজের চেষ্টায় আহত সবাই একে একে বিমানের থেকে বাইরে বের হয়ে আসে। এবং বেশ কয়েকজন মারা যায়। এবার চলে আসে আবার বতর্মানে। সুন্দরপুর বেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিশিষ্ট জায়গা। তবুও কোথাও যেন কিছুই ঠিক নেই। প্রথমে দেখা যায় নিরুপম রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছে। এবং প্রথমেই উনি মুসকান জুবেবেরির হাতের স্পেশাল একটা রেসিপি খেয়ে অবাক হয়ে যান। রেসিপি টা খুবই সুস্বাদু ছিল। এরপর উনি রেস্টুরেন্টের বাইরে এসে সামনের দোকানে বসে। ঐসময় নিরুপমের সাথে পরিচয় হয় আতর আলীর। আতর আলী মূলত পুলিশের খোচর বা স্পাই। আতর আলীর সাথে নিরুপমের একটা ভালো মিল হয়ে যায়।
নিরুপম পেশায় একজন সাংবাদিক এই পরিচয় দেয় আতর আলীর কাছে।সে বলে এই রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে সে একটা নিউজ করবে এইজন্যই এখানে এসেছে খোঁজ নিতে। আতর আলীর কাছে মোটামুটি সব খরবই থাকে। সে বলে রবীন্দ্রনাথ কখনও খেতে আসেননি ঐ হোটেলের মালকিন কোন মানুষ না রীতিমতো ডাইনি। রাতে আবার ঐ রেস্টুরেন্টে খেতে যায় নিরুপম। এবং খেয়ে ফিরে আসে। পরবর্তী দৃশ্যে দেখা যায় লোকাল এমপি এর সাথে রেস্টুরেন্টের মালকিন মুসকান জুবেরির একটা সম্পর্ক আছে। তাদের মধ্যে কোন একটা বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। এরপর আতর আলী রাতে এসে নিরুপম কে ডেকে নিয়ে যায় এক মাস্টারের বাড়ি। এবং ঐ মাস্টার মুসকান জুবেরির সম্পর্কে অনেক কিছু জানে। রাতের আাঁধের দুজন কবরস্থানের মধ্যে দিয়ে চলে যায় ঐ মাস্টারের বাড়ি। এবং যাওয়ার পথে নিরুপম একটা কবরের মধ্যে পড়ে যায়।
এই এপিসোডের শুরুতেই পূর্বের একটা ঘটনা দেখাই। যেখানে তৎকালীন জমিদার এিলোককনাথ বসুর কাছে চিঠি আসে যেটা লিখেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এিলোককনাথ বসু নিমন্ত্রণ করছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে। কিন্তু হঠাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় মেয়ে মারা গেলে তিনি আসতে পারেন না। এবং না আসার জন্যই চিঠি লেখেন তিনি। মূলত এইজন্যই এই রেস্টুরেন্টের নাম দেওয়া হয় রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি। ঐ মাস্টার বলে যুদ্ধের সময়ের কথা। যেখানে এিলোককনাথ বসুর পরবর্তী পুরুষ অলোকনাথ বসু পুরো পরিবার মারা যায় পাকিস্তানিদের হাতে। বেঁচে যায় শুধু তার মেয়ের ছেলে রাশেদ জুবেরি। এবং এই রাশেদ জুবেরির সাথে বিয়ে হয় মুসকান জুবেরির। ফলে রাশেদ জুবেরি মারা গেলে তার সব সম্পত্তি পাই মুসকান জুবেরি। এবং এই রেস্টুরেন্ট টা দেয় এখানে।
এরপর মাস্টারের বাড়ি থেকে আসার পরে হোটেল থেকে একটা সাইকেল নিয়ে নিরুপম বেরিয়ে পড়ে। সে সরাসরি চলে যায় মুসকান জুবেরির বাড়িতে এবং প্রাচীল টপকে ভেতরে ঢুকে পড়ে। অন্যদিকে আতর আলী চলে যায় কবর খোদক ফালুর ঘরে। কথিত আছে এই ফালু আগেই জেনে যায় কেউ মরবে। আর সেই অনুযায়ী সে আগেই কবর খুড়ে রাখে। নিরুপম মুসকান জুবেরির বাড়িতে ঢুকে বেশ রহস্যময় কিছু দেখতে পাই। যেখানে মুসকান জুবেরি তার দারোয়ান এবং ফালু কিছু মাটি খুড়ে কিছু একটা চাপা দেয়। তবে মুসকান জুবেরি এবং ফালু বুঝতে পেরে যায় ওখানে কেউ আছে। নিরুপম কে তাড়া করলে নিরুপম লুকিয়ে পড়ে। অন্যদিকে আতর আলী ফালুর ঘরে খুজতে শুরু করে। এবং এখ সময় গিয়ে ফালুর ঘরে মানুষের কংকাল দেখে চমকে উঠে আতর আলী। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড টা।
ব্যক্তিগত মতামত
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি। এটা বাংলাদেশের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এর লেখা একটা উপন্যাস। এই উপন্যাসের দুইটা পার্ট রয়েছে। তবে বাংলাদেশের পরে কলকাতায় এটা অনেক জনপ্রিয়তা পেলে কলকাতার পরিচালক শ্রীজিত মুখার্জী এই সিরিজ টা নির্মাণ করে উপন্যাসের আলোকে। তবে উপন্যাসে অনেক টা বিস্তারিত ভাবে ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করা হলেও সিরিজে বেশ কিছু বিষয় স্কিপ করা হয়েছে। এখন পযর্ন্ত বেশ রহস্যময় পর্যায়ে রয়েছে ব্যাপার টা। কেন রাতের আঁধারে মুসকান জুবেরির বাড়িতে নিরুপম। আবার কবর খোদক ফালুর ঘরে কেন মানুষের কংকাল। এসব জানা যাবে পরবর্তী এপিসোডে।
অফিশিয়াল ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.