পেছনের গল্প( পর্ব-২ )!!

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ২৫ ই মার্চ ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000575877.jpg


বন্ধুরা মিলে পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন আর হয় না। শেষ মূহূর্তে গিয়ে কোন না কোন কারণে বাতিল করতে হয় ট‍্যুর গুলো। একটা সময় বন্ধুরাও হারিয়ে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কখনোই আর সবাই একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া হয় না। সবকিছুই থেকে যায় স্মৃতির পাতায়। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে এমন কিছুই হতে যাচ্ছিল। আমরা পরিকল্পনা করে যাচ্ছিলাম সেই তৃতীয় সেমিষ্টার থেকে। সেমিষ্টার ফাইনাল শেষ হলেই ঘুরতে যাব। একটার পর একটা সেমিষ্টার শেষ আমরা পরিকল্পনা করি আবার পরিকল্পনা বাতিল হয়। একপর্যায়ে গিয়ে এটা আমাদের অভ‍্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। আমরা জানতাম পরিকল্পনা বাতিল হবে শেষমেশ কিন্তু তারপরও করতাম। এটা ভালো লাগত। কিন্তু ব‍্যতিক্রম ঘটলো সপ্তম সেমিষ্টারে গিয়ে। ঐটাও ছিল ইনস্টিটিউটে আমাদের শেষ সেমিষ্টার।


1000575882.jpg

1000575881.jpg

1000575880.jpg

1000575879.jpg


এইজন্যই আমরা বন্ধুরা সিরিয়াসলি নিলাম বিষয়টা। যথারীতি সবাই এবার সিরিয়াস। শেষমেশ সত্যি সত্যি আমরা ট‍্যুরে গেলাম। ২০২৩ এর ১২ ই মে আমরা বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। প্রথমে গাজীপুর জেলার কিছু জায়গা ঘুরে চলে এসেছিলাম ঢাকায়। গাজীপুর সাফারি পার্ক টা ছিল সবচাইতে দর্শনীয় স্থান। যদিও এর আইডিয়া টা ছিল আমার। প্রথমে সাফারি পার্কের কথা কারো মাথায় ছিল না। শনিবার আমরা চলে গিয়েছিলাম গাজীপুর সাফারি পার্কে। দুপুরের পরে ঢুকেছিলাম পার্কে। বেশ অনেক বড় এবং উন্মুক্ত ছিল জায়গাটা। তার পূর্বে ঐরকম প্রাকৃতিক নৈশ্বর্সীক সৌন্দর্য দেখেছিলাম সেই সুন্দরবন গিয়ে। আমরা বেশ দারুণ সময় অতিবাহিত করেছিলাম।


1000575878.jpg

1000575883.jpg

1000575884.jpg


তখন আমরা পাখির অভয়াশ্রমে। আমি হেঁটে যাচ্ছি হঠাৎ আমার ফ্রেন্ড রাসেল আমার দুইটা ছবি তোলে। সত্যি বলতে পুরোপুরি অপ্রস্তুত অবস্থায় ছবি টা তোলে ও। কিন্তু পরবর্তীতে দেখি ছবি দুইটা বেশ দারুণ এসেছিল। ছবির মধ্যে এক অন‍্যমনস্ক হাস‍্যজ্বল আমি ফুটে উঠেছিলাম। একটা সেলফিতে আমি নাভিদ এবং ইকরা। ঐটাও একটু অপ্রস্তুত অবস্থায় নেওয়া। প্রথমে আমি এবং ইকরা ছিলাম। পরে দেখি হঠাৎ নাভিদ চলে এসেছে সেলফিতে। বেশ সুন্দর একটা মূহূর্ত ছিল। সবমিলিয়ে বেশ দারুণ ছিল অনূভুতি গুলো। সাফারি পার্কের মধ্যেই ছিল ঝুলন্ত ব্রীজ। ঝুলন্ত ব্রীজের সামনে আমরা চারজন আমি নাভিদ ইকরা তুহিন ছবি উঠেছিলাম। এবং সেটা তুলেছিল রাসেল। এই ছবিটা দেখলে এখনও বেশ ভালো লাগে। এখন ওদের সাথে যোগাযোগ হয় মাসে একবার।

তবে সবচাইতে বেশি উপভোগ করেছিলাম আমরা ট্রেন জার্নিটা। আমরা বাড়িতে আসি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে। এবং রাতে ট্রেন জার্নি বন্ধুরা একসঙ্গে ফাজলামি তো হবেই। এবং হয়েছিল। ঐ রাতে আমরা কেউই ঘুমাতে পারিনি। বলতে গেলে কেউ কাউকে ঘুমাতে দেয়নি। ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরে টা দেখেছিলাম। আহ কী অসাধারণ ছিল সেই রাত। ট্রেনের সবাই যখন ঘুমাচ্ছে তখন আমরা জেগে আছি। ঐসময় ছবিটা নিয়েছিলাম। এগুলো সবকিছুই এখন স্মৃতি। ছবিগুলো দেখলে প্রতিটা মূহৃর্ত একেবারে মনে পড়ে যায়। এই পেছনের গল্পগুলো থাকে সবসময় না বলা। সময় চলে যায় কথাগুলো মিলিয়ে যায় স্মৃতিতে। কিন্তু অনূভুতি সেটা সর্বদা জাগ্রত থাকে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png