বুক রিভিউ ( রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি- মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------ | ----- |
---|---|
বইয়ের নাম | রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি |
লেখক | মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন |
প্রকাশনী | বাতিঘর |
প্রথম প্রকাশ | ফেব্রুয়ারি,২০১৯ |
দাম | ৬৫০ টাকা |
তিন বছর ধরে মুশকান জুবেরিকে খুজে চলেছে ডিবি অফিসার নূরে ছফা। তবে তার কোন খোঁজ পাইনি সে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পিএস আশেক মাহমুদ এবার বেশ সিরিয়াস। সে যে করেই হোক তার ভাগ্নের নিখোঁজ করা মুশকান জুবেরি কে চাই। এইজন্য নূরে ছফা আবার প্রথম থেকে তদন্ত শুরু করে। নূরে ছফা আবার ফিরে যায় সুন্দরপুরে। সুন্দরপুরের বেশ পরিবর্তন হয়েছে। সুন্দরপুরের সেই রাজবাড়ী এখন একটা লাইব্রেরি। এবং লাইব্রেরির নাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি"। সুন্দরপুর থেকে ছফা ঢাকায় ফিরে আসে। একটা তথ্যসূএ পেয়ে নূরে ছফা। মুশকান জুবেরির সবচাইতে নিকট ব্যক্তি ডাক্তার আসকার থেকে জানতে পারে মুশকান এখন কলকাতায় আছে। প্রধানমন্ত্রীর পিএস আশেক মাহমুদ এর সহায়তায় কলকাতা চলে যায় নূরে ছফা। আগে থেকেই কলকাতা পুলিশে কয়েকজন পরিচিত ছিল নূরে ছফার।
কলকাতা গিয়ে নূরে ছফা আবিষ্কার করে আরেকটা জিনিস। মুশকান জুবেরি কলকাতা গিয়েও দুজন মানুষ কে তার স্বীকার বানিয়েছে। একজন হলেন সার্জন ডাক্তার দয়াল প্রসাদ মল্লিক এবং আরেকজন যুবক। এরপর কলকাতা গিয়ে জানতে পারে মুশকান জুবেরি কলকাতা এসে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে তার চেহারা পরিবর্তন করিয়েছি। এবং কলকাতা পুলিশের থেকে তার ছবি দেখে রীতিমতো চমকে উঠে নূরে ছফা। ঐ মেয়েটাকে সে কিছুদিন আগে সুন্দরপুরে দেখেছে। তবে কী মুশকান জুবেরি নিজের চেহারা পরিবর্তন করে আবার ফিরে গিয়েছে সুন্দরপুরে। নূরে ছফা সবকিছুই জানায় প্রধানমন্ত্রীর পিএস কে। প্রধানমন্ত্রীর পিএস তার একজন লোক দিয়ে ঐ মেয়েকে কিডন্যাপ করিয়ে নেয়। কিডন্যাপ করার পর উন্মোচিত হয় আরেক ব্যাপার। ঐ মেয়ে বলে তার নাম সুস্মিতা সে মুশকান জুবেরি না। সে হলো ডাক্তার আসকার এর মেয়ে। কিন্তু সেটা প্রধানমন্ত্রীর পিএস বা নূরে ছফা কেউই বিশ্বাস করে না।
কিন্তু এরপর হঠাৎ আগমন হয় মুশকান জুবেরির। ডাক্তার আশকারের মেয়েকে বাঁচাতে মুশকান হঠাৎ হাজির হয়। প্রধানমন্ত্রীর পিএস আশিক মাহমুদের বোনকে জিম্মি করে মুশকান জুবেরি,এবং বলে সুস্মিতা কে ছেড়ে দিতে। আশিক মাহমুদ সেটাই করে। তবে ঘটে যায় আরেক ঘটনা। ঘটনাচক্রে জানা যায় শুধু মুশকান জুবেরি না মানুষের ঐ বিশেষ অংশ যেটা খেলে মানুষের বয়স বাড়ে না সেটা মুশকান জুবেরি ছাড়াও ডাক্তার আসকার এবং তার মেয়ে সুস্মিতাও খাই। নূরে ছফা আরও কিছু পুলিশের সাহায্য নিয়ে মুশকান জুবেরি কে খুজতে শুরু করে ঢাকার বারিধারার কয়েকটি বাড়িতে। এবং ছফা জেনে যায় মুশকান জুবেরি এবং সুস্মিতা ঠিক কোন বাড়িতে আছে। আপনাদের কী মনে হয় শেষ পযর্ন্ত নূরে ছফা কি মুশকান জুবেরি কে ধরতে পারবে। এটা জানতে হলে আপনাদের বইটা পড়তে হবে। এটার স্পয়লার আর দিলাম না।
ব্যক্তিগত মতামত
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি এটা ছিল এই সিরিজের প্রথম বই। যেখানে নূরে ছফা ব্যর্থ হয় মুশকান জুবেরি কে ধরতে। এই সিরিজের দ্বিতীয় বই রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি। বইটা যদি পড়েন তবে নামকরণের কাহিনী বুঝতে পারবেন। সবমিলিয়ে চমৎকার ছিল এই বইটা। একেবারে অন্যরকম থ্রীলার এটা। এবং মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের এই সিরিজের তৃতীয় বই " রবীন্দ্রনাথ এখানে এসেছিলেন" সম্ভবত এই বছরেই আসবে। আমি রীতিমতো পরবর্তী বইয়ের অপেক্ষায় রয়েছি। বিশেষ করে এই বইটা শেষ করার পর আমার কৌতূহল একেবারে শীর্ষে উঠে গিয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.