পেছনের গল্প( পর্ব: ৯ )।

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, ১৯ ই এপ্রিল ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000577724.jpg


আজ কয়েক বছর পরে যখন আবার পেছনে ফিরে তাকায় দেখি কতকিছু না ফেলে এসেছি। কত বন্ধু কত মূহূর্ত কত স্মৃতি আরও কত কিছু। গতদিন ল‍্যাপটপে গিয়ে পুরাতন ফাইলের কিছু ছবি দেখছিলাম। তখন কয়েকটা মূহূর্তের ছবি আমার নজরে চলে আসে। এরমধ্যে আজকে একটা গল্প বলব। ছবির পেছনের গল্প। ফুটবল নিয়ে বরাবরই আমার আগ্রহ অনেক বেশি। ২০২৩ সালের জুন মাসের কথা। তখন আমি সপ্তম সেমিষ্টারে। অর্থাৎ ক‍্যাম্পাসে আমার শেষ সেমিষ্টার। ডিপার্টমেন্ট থেকে আয়োজন করা হলো ফুটবল টুর্নামেন্ট। যথারীতি আমার ক্লাসের টিমের দায়িত্ব এসে পড়লো আমার উপর। তখন অনেক কাজ টাকা তোলা জার্সি তৈরি করা খেলোয়ার দের লিস্ট তৈরি করা। যদিও আগের বছর খেলা হয়েছিল এইজন্যই জানা ছিল কোন কেমন খেলে কোন পজিশনে খেলে।


1000577749.jpg

1000577725.jpg

1000577726.jpg


সবকিছু ম‍্যানেজ করে প্রথম ম‍্যাচ খেলতে মাঠে নামলাম। প্রথম ম‍্যাচে আমাদের খেলা ছিল তৃতীয় সেমিষ্টারের সাথে। কিন্তু ম‍্যাচটা আমরা ড্র করলাম। অনেক আক্রমণ করেও কোন গোল করতে পারিনি। তবে পরবর্তী দুই ম‍্যাচ পঞ্চম সেমিষ্টার এবং প্রথম সেমিষ্টারকে হারিয়ে আমরা চলে গেলাম সেমিফাইনালে। কিন্তু ঐ তিন ম‍্যাচে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ দুইজন খেলোয়ার ইঞ্জুরিতে পড়ে গিয়েছে। একাদশ সাজানোর জন্য আমাকে আবার নতুন ভাবে চিন্তা শুরু করতে হয়। এই বিষয়ে আবার অন‍্যরা খুব একটা আমার বিরোধীতা একেবারেই করত না। সেমিফাইনালে আমাদের খেলা পড়ে টুর্নামেন্টের সবচাইতে ভালো দল পঞ্চম সেমিষ্টারের অনেক গ্রুপের সাথে।


1000577747.jpg

1000577729.jpg

1000577728.jpg


ঐ ম‍্যাচে দারুণ লড়াই হয়েছিল। তবে ম‍্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আমার অ‍্যাসিস্টে মাহফুজ দারুণ একটা গোল করে। এবং আমরা ডিফেন্স টা ঠিকঠাক করি। ম‍্যাচটা আমরা জিতে যায় এবং ফাইনালে পৌঁছে যায়। ঐদিন জেতার পরে আমাদের ক্লাসের সব বন্ধুরা আমাদের কয়েকজন বান্ধবী সবাই মিলে ঐটা বেশ সেলিব্রেট করেছিলাম। কলেজের পুকুরে একসঙ্গে গোসল করেছিলাম। যদিও প্রতিদিন খেলার পরেই আমরা ঐটা করতাম। অবেশেষ ফাইনাল ম‍্যাচের দিন আসে। ফাইনাল ম‍্যাচে আমাদের প্রিন্সিপাল আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রধান সহ আমাদের ডিপার্টমেন্টের সকল শিক্ষক মাঠে ছিলেন আমাদের খেলা উপভোগ করছিলেন। তবে ঐদিন আমি নিজেকেই একাদশের বাইরে রাখি। প্রথমার্ধে আমরা ১-০ তে পিছিয়ে যায়। আর দেরি করিনি। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করি এবং আমি মাঠে নামি।

ম‍্যাচে আমরা গোল করি। ম‍্যাচে সমতা চলে আসে। সবাই বেশ দারুণ উপভোগ করছিল আমাদের খেলা। তবে ঐদিন বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যায় ম‍্যাচে।‍ যেটা আমরা কেউ চিন্তা করিনি। ফাইনালে আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল আমাদেরই অন‍্য গ্রুপ। অর্থাৎ আমরা ছিলাম এ গ্রুপ এবং ওরা বি। ম‍্যাচে সমতা আসার পরে ওরা বেশ ফাউল করে খেলা শুরু করে। ফলশ্রুতিতে আমাদের খেলোয়ার রাও ফাউল করা শুরু করে। মাঠের মধ্যে অধিকাংশ খেলোয়ার আক্রমনাত্মক আচরণ করছিল। যদিও আমি এবং আরও কয়েকজন বেশ শান্ত ছিলাম। কিন্তু এতে কোন লাভ হয়নি। যেটার ভয় পেয়েছিলাম সেটাই ঘটে। ম‍্যাচের শেষের দিকে একটা ফাউল কে কেন্দ্র করে মারামারি লেগে যায় দুই দলের খেলোয়াদের মধ্যে। আমি সহ আরও বেশ কয়েকজন সেটা থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষের উস্কানি মূলক কথাবার্তায় ঘটনা চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png