ওয়েব সিরিজ রিভিউ ( রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি- এপিসোড ৩,৪)!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Youtube থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
ওয়েব সিরিজ এর কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
নাম | রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি |
লেখক | মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন |
পরিচালক | শ্রীজিৎ মুখার্জী |
প্লাটফর্ম | হইচই |
মুক্তি | ২০২১ |
অভিনয়ে | আজমেরি হক বাঁধন, অনিবার্ন ভট্টাচার্য, রাহুল বোস, অঞ্জন দও, অনিবার্ন চক্রবর্তী। |
খোরখোদক ফালুর ঘর থেকে কংকালের একটা অংশ নিয়ে বেরিয়ে আসে আতর আলী। এরপর সে চলে যায় নিরুপম চন্দ্রর কাছে। কিন্তু হোটেলে গিয়ে দেখে সে নেই। এরপর চায়ের দোকানি রহমান মিয়ার থেকে জানতে পারে নিরুপম নাকী ঐ রাতে ঐ জমিদার বাড়ির মধ্যে গিয়েছে যেখানে ঐ মুশকান জুবেরি থাকে। জমিদার বাড়ির প্রাচীলের উপর উঠে নিরুপম কে ফোন দেয় আতর আলী। নিরুপম চন্দ্র বেরিয়ে আসার রাস্তার কথা জিজ্ঞেস করে। এরপর আতর আলীর বলে দেওয়া উপায় থেকে নিরুপম চন্দ্র ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। তবে সেটা জমিদার বাড়ির দারোয়ান দেখতে পেয়ে যায়। এবং মুশকান জুবেরি পুলিশকে জানিয়ে দেয়। অন্যদিকে নিরুপম হোটেলে ফিরে যখন বলে ঐ মুশকান জুবেরির বাড়ির পুকুরে কুমির আছে। সেটা শুনে অবাক হয়ে যায় আতর আলী এবং বলে ঐ বেডি কুমির পালে কেন।
পরেরদিন সকালে থানা থেকে এসআই আনোয়ার এসে আতর আলীকে থানায় নিয়ে যায়। আতর আলীকে ওসি জিজ্ঞেস করে নিরুপম কেন এসেছে সুন্দরপুরে। প্রথমে আতর আলী জমি দেখানোর মিথ্যা কথা বলে। কিন্তু ওসি সেটা ধরে ফেললে বলে উনি একজন সাংবাদিক। মহাকাল পএিকা থেকে এসেছে। ঐ রবীন্দ্রনাথ হোটেলের সম্পর্কে কিছু লিখবে। এরপর ওসি আরও কিছু জিজ্ঞেস করে আতর আলীকে। অন্যদিকে মুশকান জুবেরি সুন্দরপুরের এসপি কে ফোন করে বলে খোঁজ নিয়েছেন কীনা। মুশকান জুবেরির ফোন পেয়ে ওসি একেবারে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। কারণ মুশকান জুবেরির অসাধারণ সৌন্দর্য এবং তার রান্নার সুনাম। এরপর দেখা যায় নিরুপম রাস্তায় রিক্সায় করে যাচ্ছিল। ঐসময় থানার এস আই গিয়ে নিরুপম কে গালাগালি শুরু করে এবং বলে থানায় চল। তক্ষণাৎ নিরুপম এসআই এর গায়ে হাত তোলে।
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় শাওয়ার নেওয়ার সময় এসপি মুশকান জুবেরি কে ফোন দিয়ে অতিরিক্ত কথা বলতে থাকে যেটাতে মুশকান জুবেরি বেশ বিরক্ত হয়। এরপর এসপি বলে নিরুপম একজন সাংবাদিক। অন্যদিকে ওসি নিরুপম কে জিজ্ঞেস করতে থাকে সে কেন সুন্দরপুর এসেছে এবং কেন না বলে রাতের আধারে মুশকান জুবেরির বাড়িতে ঢুকেছে। ততক্ষণে ওসি মহাকাল পেপারের অফিসে খোঁজ নিয়েছে। ওখানে নিরুপম নামে কেউ কাজ করে না। ওসি রীতিমতো গালাগালি করতে থাকে নিরুপম কে। তখন নিরুপম বলে আপনার পোস্টিং এবার আরও খারাপ জায়গাই হবে। তখন কয়েক মাসের আগের একটা দৃশ্য দেখায়। যেখানে হাসিব ফেসবুকে চারুলতা নামের কারো সাথে চ্যাট করছে। এবং পরের দিন অফিসে গিয়ে তার কলিক এর থেকে একটা ট্যাক্সি ক্যাবের নাম্বার নেয় কোথাও যাওয়ার জন্য। পরবর্তীতে হাসিবের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ সুবিধা করতে না পরলে কেসটা দেওয়া হয় সিবিআই অফিসার নিরুপম কে।
নিরুপম হাসিবের কলিকদের সাথে কথা বলে ঐ ট্যাক্সি ডাইভারের সাথে কথা বলে। ট্যাক্সি ডাইভার জানায় হাসিবের আগে আরও একজন কে সে ঐ রবীন্দ্রনাথ কখনও খেতে আসেননি রেস্টুরেন্টের সামনে নামিয়ে দেয়। এইজন্যই তার মনে আছে সবকিছু। হাসিব বাংলাদেশের এক মন্ত্রীর ভাগ্নে এইজন্য হাই অথোরিটি কেসটা বেশ গুরুত্বের সাথে দেখে। অন্যদিকে কিছুক্ষণ পর ওসির রুম থেকে নিরুপম বেরিয়ে আসে আতর আলীকে বলে আতর তোমার কোন চিন্তা নেই এখন থেকে আমরা আগের মতোই কাজ করব আর আমি কোন সাংবাদিক না আমি একজন সিবিআই অফিসার। এরপর নিরুপম সরাসরি চলে যায় সুন্দরপুরের এসপির কাছে। সুন্দরপুরের এসপি ততক্ষণে জেনে গিয়েছে নিরুপম কে। নিরুপম সবকিছু এসপি কে বলে। তবে এসপি খুব একটা বিশ্বাস করতে চাইছিল না যে হাসিবের নিখোঁজের পেছনে মুশকান জুবেরি আছে। অন্যদিকে ফালুর সাথে কথা বলতে গিয়ে আক্রমণের স্বীকার হয় আতর আলী। এখানেই শেষ হয় এপিসোড টা।
ব্যক্তিগত মতামত
নিরুপম কে সাংবাদিক বলে জানত আতর আলী। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায় সে আসলে একজন সিবিআই অফিসার। একটা নিখোঁজের তদন্ত করতে এসেছে। যার পেছনে রয়েছে ঐ মুশকান জুবেরি। এবং এসপির কাছে সেটা বললে এসপি বিশ্বাস করতে চাই না। কারণ সুন্দরপুরের এমপির থেকে চাপ ছিল এসপি যেন মুশকান জুবেরি কে সাহায্য করে। সবমিলিয়ে একটা রহস্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তী এপিসোডে গিয়ে পুরোপুরি জানা যাবে কারণটা।
অফিশিয়াল ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অসাধারণ ওয়েব সিরিজ, অনেকদিন আগে দেখেছিলাম। এখন আবার আপনার রিভিউটা পড়ে মেমোরি তরতাজা হয়ে গেল। আপনি বোধহয় উপন্যাসটা পড়ার পর ইন্সপায়ার হয়ে গিয়ে ওয়েব সিরিজটা দেখছেন। ভালো লেগেছে নিশ্চয়ই। হইচইতে এমন অনেক সুন্দর সুন্দর ওয়েব সিরিজ আছে। বাংলা ওয়েব সিরিজ হিসেবে আমার তো বেশ ভালো লাগে।