সুযোগের সৎ ব্যবহার!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমি কাজের সূএে ঢাকার একটু বাইরে থাকি। আর এই জায়গাটা শিল্প এলাকা হওয়াই মানুষের সমাগম বেশ অনেক বেশি। এইজন্যই বাড়ি ভাড়া সহ অন্য কিছুই বেশি। মোটামুটি বেশ সকালে আমাকে বাসা থেকে বের হতে হয়। এইজন্য ঘুম থেকে উঠতেও হয় সকালে। ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হলেও আমি উঠে পড়ি কিন্তু আসল সমস্যা অন্য জায়গাই। এখানে সকালে এবং রাতে রাস্তায় মানুষের চাপ থাকে অতিরিক্ত। সকালে সবাই অফিসে যায় এবং রাতে ফেরে। ঐ দুই সময় অনেক ঝামেলা হয়ে যায় গাড়ি পেতে। আজ সকালে রাস্তায় বেশ জ্যাম ছিল। এই রাস্তাটাই ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনি কে কানেক্ট করেছে। এইজন্য এখানে প্রায়ই এমন জ্যাম হয়। আর যখনই জ্যাম হয় তখনই এই গাড়িওয়ালারা তাদের ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। আজ সকালে রীতিমতো ১০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা চেয়ে বসে।
আমি আর উঠিনি। সবকিছুর একটা লিমিট আছে। ইচ্ছা হলো আর ভাড়া বাড়িয়ে দিলাম এটা কখনোই ভালো কথা না। আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। তো হাঁটা শুরু করলাম। হাঁটা পথ দশ মিনিটের। আমার সাথে ছিল আমার অফিসের এক বড় ভাই হালিম ভাই। উনার সাথে কথা বলতে বলতে আসছিলাম। তখন এই বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ ঠিক কতটা সুযোগের সৎ ব্যবহার করে। এটা সবাই করে। তখনই একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল ২০২০ সালের। ঐটা হালিম ভাইকে বললাম। ২০২০ সালের মে মাস সম্ভবত তখন। করোনা ভাইরাসের প্রভাব চারিদিকে অতিরিক্ত। লকডাউনের জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। সেই পর্যন্তই ঠিক ছিল। কিন্তু তার মধ্যে এসে পড়ে নতুন এক বিপদ।
বাংলাদেশের উপর আঘাত করে ঘুর্ণিঝড় আমফান। যদিও নামটা নিশ্চিত না তবে এমন কিছুই হবে। সত্যি বলতে আর তার আগে ঐরকম বড় ঝড় দেখিনি। আমফান সারা রাত ধরে তান্ডব চালায়। শুধুমাত্র উপকূলীয় এলাকায় না পুরো বাংলাদেশ জুড়ে। ঐ রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। সারারাত জেগে ছিলাম। আমাদের এলাকায় বিভিন্ন জায়গাই গাছ এবং গাছের ডাল ভেঙে পড়ে তারের উপর। ফলাফল বিদ্যুৎ নেই। প্রথম একদিন ফোন এবং চার্জার লাইট দিয়ে চালিয়ে দিলেও সমস্যা দেখা দিল পরবর্তী দিন থেকে। সেগুলোও শেষ অথচ যে অবস্থা আগামী কয়েকদিন বিদ্যুৎ আসবে না। দিনটা কোনভাবে চলে যেত। কিন্তু রাতে স্বল্প হলেও তো আলো প্রয়োজন হয়। এখন ভরসা মোমবাতি। আমাদের এলাকা সহ পাশের যে এলাকায় যে কয়েকটা দোকান ছিল সব জায়গাই মোমবাতির সংকট দেখা দিল।
চাহিদা অনেক বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ পেয়ে গেল দোকানদার রা। যে মোমবাতি অন্য সময়ে ৫ টাকা বিক্রি করতো। সেই মোমবাতি বিক্রি করা শুরু করলো ১৫,২০,২৫ টাকা করে। অর্থাৎ মূহুর্ত্তের মধ্যে দাম বাড়িয়ে দিল কয়েক গুণ। ঐসময় ব্যাপার টা আমি অতোটা বুঝতে পারিনি। তবে আজ বুঝতে পারি যে তারা আসলে কোন পর্যায়ের মানুষ ছিল। মানুষের যখন প্রয়োজন সেটার সুযোগ বুঝে এভাবে দাম বৃদ্ধি করে দেওয়া মোটেই ভালো কিছু না।আর এমন টা বাংলাদেশ বহুবছর ধরে হয়ে আসছে। পরবর্তীতে অনেক বছর ধরে হবে যতদিন এই পৃথিবী থাকবে। সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে কেউ ভুল করে না। আজ কথাটা মনে পড়ে গেল ঐ লোকেদের কাজ দেখে। আমাদের রক্তে রক্তে মিশে আছে এগুলো। আর কিছু বলার নাই।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1975110565485056355?t=Mc4it7nB7VK2ZGqGYyGitQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1975110860743000098?t=2bm7bmokl1WU5zGoJkBlEg&s=19
এটা আমাদের বাংলাদেশ ভাই বুঝতে হবে যদি কখনো শুনেন আপনি যে ঘূর্ণিঝড় হওয়াতে বাংলাদেশের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ মারা গিয়েছে তাদের দাফন করতে কাফনের কাপড়ের প্রয়োজন আছে তখন দেখবেন দোকানদাররা কাফনের কাপড়ের দাম 5 গুণ বাড়িয়ে দেবে। আপনার আজকের ঘটনাটি পরে খুবই খারাপ লাগলো তবে আশ্চর্য হয়নি মোটেও।