পুরাতন অ্যালবাম থেকে কিছু ফটোগ্রাফি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি মোটামুটি ভালো আছি। সবমিলিয়ে চলে যাচ্ছে দিন গুলো। মাঝে মাঝে অদ্ভুত কিছু চিন্তা এসে মনের মাঝে উকি দেয়। এক অদ্ভুত খেয়ালে ডুবে যায় তখন। মনে হয় ইস জীবনে যদি কিছু মানুষের সাথে কখনোই দেখা না হতো। তাহলে জীবন টা কত সুন্দরই না হতো। সৃষ্টিকর্তা চাইলেই আমাদের জীবন থেকে এইরকম ট্রাজেডি বাদ দিতে পারত। কিন্তু উনি হয়তো ইচ্ছা করেই এটা করেনি। উনি নিজেও আমাদের কে খারাপ পরিস্থিতিতে ফেলে পরীক্ষা করতে পছন্দ করেন। যদিও এমন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন জীবনে রয়েছে। উনি কোন কারণ ছাড়া কিছু করেন না। হয়তো পরবর্তীতে গিয়ে সেটা অনুধাবন করব আমি। যাইহোক চলুন আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসা যাক।
- বেশি না এইতো কয়েকমাস আগের কথা। এক বিকেলে আমি চলে গিয়েছিলাম নীলক্ষেত বই কিনতে। বই কিনে ফেরার পথে চলে গিয়েছিলাম শাহবাগ। আর এই ফটোগ্রাফি টা সন্ধ্যার সময় আমি শাহবাগ থেকেই ধারণ করেছিলাম। আহ কী চমৎকার কী ওয়েদার ছিল ঐসময়। একা একা আমি হাঁটছিলাম এই রাস্তা দিয়ে।
- এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করা ৬ মাস আগে। এটা আমার বাড়ির পাশের হাইওয়ে থেকে ধারণ করা। বৃষ্টি হলে এই হাইওয়ে দেখতে যেন আরও সুন্দর লাগে। এক বৃষ্টির দিনে এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম। দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে আমার কাছে জায়গাটা।
- চাকরিতে জয়েন করার পর ঈদে বাড়ি গিয়েছিলাম প্রায় এক মাস পরে। ঈদের পরে এক বিকেলে চলে গিয়েছিলাম আমার পছন্দের এই জায়গাই। চমৎকার মেঘাচ্ছন্ন বিকেল টা দারুণ কেটেছিল আমার নদীর পাশে। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। আমার হাতে ছিল এক কাফ কফি।
- একটা জায়গার কথা চিন্তা করুন তো। শান্ত নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশ বিশিষ্ট। যেখানে গেলে আপনি আপনার সব দুঃখ কষ্ট নিমিষেই ভুলে যান। এটা হলো সেই জায়গা। আমি বাড়িতে গেলে সময় করে বিকেলে এখানে চলে যায়। অনেক টা সময় কাটিয়ে আসি। তেমনই একটা বিকেলে এখানে বসে থাকার সময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- এই ফটোগ্রাফি টা আমার এলাকার ঈদগাহ ময়দান থেকে ধারণ করা। সাধারণত ঈদের সময় এইভাব বিভিন্ন রঙের পতাকা টানানো হয়। ঈদগাহ সাজানো হয়। তেমনই এক ঈদের সময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- গত মে মাসের কথা। ঐদিন ঢাকা শহরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির প্রভাবে রাস্তায় বাস ছিল না একেবারেই। আমি গুলিস্তানে দাঁড়িয়ে ছিলাম কিন্তু কিছুই পাচ্ছিলাম না। ঐসময় এই রিক্সাওয়ালা মামা আমাকে পৌছে দেয়। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। ঐদিনের কথা এখনও আমার মনে আছে।
- ঐদিন আমি ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। সারাদিন একভাবে চলছিল বৃষ্টিপাত। তো এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করছিলাম আমার ক্যাম্পাসের কাছেই তেজগাঁও নাভিস্কো মোড় থেকে। ওয়েদার টা একেবারে ছবির মতো সুন্দর। মূহূর্ত টাও ছিল অনিন্দ্য সুন্দর।
- ঐ একই দিনে এই ফটোগ্রাফি টাও ধারণ করছিলাম আমি। এই ফটোগ্রাফি টা দেখলেই আমার আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের "রেইনকোট" গল্পের কথাটা মনে পড়ে। ঐ বইয়ের কাহিনী টাও এইরকম একটা বৃষ্টিমূখর মুক্তিযুদ্ধের দিন নিয়ে লেখা। এই ফটোগ্রাফি টা আমি হঠাৎ করে ধারণ করছিলাম। কিন্তু ফটোগ্রাফি তে একটা ছাতাবিহীন মানুষ বৃষ্টির মধ্যে কতটা অসহায় সেটাও প্রকাশ করছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
অনেকগুলো সুন্দর ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করেছেন। যেখানে দৈনন্দিন চলতি পথের চিত্র উপস্থাপন করেছেন আপনি। বৃষ্টির মুহূর্তে চলতি পথে ধারণ করেছেন ফটো। আর ঠিক এভাবে বিভিন্ন সময়ের সুন্দর সুন্দর চিত্র গুলো আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আপনি। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার সুন্দর ব্লগ।
Daily task
বাহ,সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।নদীর পাশের নিরিবিলি জায়গা আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে, আর ছাতাবিহীন মানুষ আসলেই সমস্যায় পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি চোখ জুড়ানোর মতো ছিল ভাই। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, বিশেষ করে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে কফির কাপের ফটোগ্ৰাফিটি।
আপনি কিন্তু পুরাতন অ্যালবাম থেকে সব সময় চমৎকার ফটোগ্রাফি করেন। আজকে ও আপনি পুরাতন অ্যালবাম থেকে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। সত্যি বলতে আপনার এক একটা ফটোগ্রাফি দেখলে মনে হয় এক একটা শিল্প। তবে ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজ আপনি পুরাতন অ্যালবাম থেকে কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন।আপনার ফটোগ্রাফি সব সময় অনেক সুন্দর হয়। বরাবরের মতো আজকের ফটোগ্রাফি গুলোও দারুন হয়েছে।সন্ধ্যার শাহবাগ ফটোগ্রাফিতে কিন্তু দারুন হয়েছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি নিজের মত সুন্দর। সুন্দর ফটোগ্রাফি সহ বিস্তারিত বর্ণনা করে দারুণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন। তবে সব ফটোগ্রাফি গুলোই যেন ছিল বৃষ্টি কেন্দ্রিক। একদিকে শহরের রাস্তা। ঈদের পরে বাসায় ফিরে প্রাকৃতিক পরিবেশে নদীর পাড়ে কিছু সময়। আবার রাস্তা চিত্র। অনেক অনেক ভালো লেগেছে এমন সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে দেখে।
পুরাতন অ্যালবাম থেকে পুরনো কিছু ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।আপনি চমৎকার অনুভূতি নিয়ে ফটোগ্রাফির বর্ননা তুলে ধরেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা পুরনো ছবি গুলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল বৃষ্টি ভেজা শহরের সৌন্দর্যটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আবার গড়াই নদীর পাড়ের সৌন্দর্যটাও দারুন ছিল সব মিলিয়ে স্বচ্ছ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।