পেছনের গল্প( পর্ব-১ )!!

in আমার বাংলা ব্লগyesterday


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, ২২ ই মার্চ ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000575908.jpg


আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমরা কী কখনও অতীত ভুলতে পারি? এমন প্রশ্ন করলে হয়তো স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের উওর হবে না। হয়তো আমরা ভুলে যায় কিছু সময়ের জন্য । কিন্তু যখনই অতীতর কোন মূহূর্ত অতীতর কোন জায়গা বা ছবি আমাদের সামনে চলে আসে তখন সেই অতীত টা পুরোপুরি সামনে চলে আসে। আমরা যেন সবকিছু আবার নতুন করে ভাবতে শুরু করি। ঠিকই এইরকম ভাবে অতীতের নানা গল্প লুকিয়ে থাকে আমাদের মধ্যে আমাদের মস্তিষ্কে। আজ থেকে আমি একটা সিরিজ পোস্ট চালু করব। যেখানে অতীতের ছবির সাথে তার পেছনের গল্পটা আপনাদের সাথে তুলে ধরব। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করি পেছনের গল্প-১।


1000575871.jpg

1000575874.jpg

1000575873.jpg

1000575870.jpg


দেখতে দেখতে পলিটেকনিক এর প্রায় তিনটা বছর কাটিয়ে ফেলেছি। তখন আমি ষষ্ঠ সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী। কিন্তু তখন পযর্ন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোন ট‍্যুরে আমরা যায়নি। ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট‍্যুর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হঠাৎ করেই আমাদের ডিপার্টমেন্টের স‍্যার উদ‍্যোগ নেয় ট‍্যুরের। কলেজ লাইফের প্রথম ট‍্যুর স্বাভাবিক ভাবেই আমরা বেশ উৎসুক ছিলাম। যদিও দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। আমরা আমাদের জেলার মধ্যেই ছিলাম। অবশেষে আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয় আমাদের ট‍্যুরের স্পট। এটা ছিল কুষ্টিয়া ভেড়ামাড়া তে অবস্থিত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর ট্রান্সমিশন প্লান্ট। এরা ভারতের এিপুরা থেকে ১০০০ মেগাওয়াট পাওয়ার নিয়ে এসে সেটা ট্রান্সমিশন করত।


1000575875.jpg

1000575868.jpg


বলতে গেলে আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা স্পট ঠিক হয়। ওখান আমাদের জন্য শেখার অনেক কিছু ছিল। যথারীতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখে আমাদের ট‍্যুরের সময় ঠিক হয়। ট‍্যুরের দিন বেশ আনন্দিত ছিলাম আমরা। কারণ কলেজে ছিল ঐটাই আমাদের প্রথম ট‍্যুর। এখানে আমি যে ছবিগুলি দিয়েছি সেগুলো আমরা বন্ধুরা মিলে উঠেছিলাম। অথচ এখন অন‍্যদের সাথে ঠিকমতো যোগাযোগও হয় না। এখানে আমরা সবাই মিলে বাসের সামনে একটা গ্রুপ ছবি উঠেছিলাম। এই ছবিটাতে আমাদের গ্রুপের সবাই ছিল। এ ছিল এক অন‍্যরকম অনূভুতি। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ৪০০ কেভি সুইচয়ার্ড এর সামনে ছবি উঠেছিলাম সেটা এখনও আছে। আমি এবং আমার বন্ধু শাহিন একসঙ্গে যে ছবিটা উঠেছিলাম ঐটা দেখলে এখন দিনগুলো অনেক মিস করি।

একটা সেলফিতে এখানে আমাদের সাথে রয়েছে পিজিসিবি এর একজন মেকানিক‍্যাল ইঞ্জিনিয়ার। উনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করে ওখানে নিয়োগ পান। মূলত উনিই পুরো ট্রান্সমিশন পিজিসিবি প্লান্ট আমাদের ঘুরিয়ে দেখাই। বেশ ভালো মানুষ ছিলেন উনি। সবশেষে আমরা উনার সাথে ছবি টা উঠি। ঐদিন অবশ‍্য আমি নিজেও বেশ অনেক গুলো ছবি উঠেছিলাম। আমার ক্লোজড এক বন্ধু তার ক‍্যামেরা নিয়ে গিয়েছিল। যেহেতু আমি ওকে লেখাপড়ায় সাহায্য করতাম। আমি না চাইতেও ও বেশ অনেক গুলো ছবি তুলে দেয় আমার। কথাগুলো সবসময় স্মরণ থাকে না। কিন্তু যখনই এই ছবিগুলো দেখি সব কথা মনে পড়ে যায়। আহ কী দিন ছিল। এটাই ছিল আজকের পেছনের গল্প। পরবর্তী পর্বে নতুন কোন গল্প নিয়ে আসব।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png