অ্যাস্টরয়েড বেল্ট
অ্যাস্টরয়েড বেল্ট আমাদের সৌরজগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।অ্যাস্টরয়েড বেল্টের দিকে তাকালেই আমরা জুপিটার গ্রহের যে শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড রয়েছে সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাই। মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যে প্রায় তিন অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরত্ব রয়েছে। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট সমান সমান সূর্য থেকে পৃথিবীর যতটুকু দূরত্ব সেটাকে বোঝানো হয়।
এই অ্যাস্টরয়েড বেল্টের দিকে তাকালে আমরা মনে করি এটা হয়তো সম্পূর্ণ একটি রিং মতো অর্থাৎ একটি বলায়ের মত। কিন্তু আসলে তেমনটা নয়। অ্যাস্ট্রোয়েড বেল্টে থাকা বেশিরভাগ বস্তুই হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শিলা, ধূলিকণা, বরফ ও পাথর। এখানে শিলার মধ্যে নিকেল লোহা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বর্ণেরও খোঁজ পাওয়া গেছে। এই এস্ট্রয়ের্ড বেল্ডে থাকা সবথেকে বড় যে গ্রহাণু হচ্ছে তাকে বর্তমানে বামন গ্রহ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যার নাম সেররেস এবং এস্ট্রোয়েড বেল্ডে থাকা সব থেকে বড় বস্তু সেটাই।
তবে এর পাশাপাশি আরো অনেক গ্রহানু রয়েছে। গ্রহাণুর ব্যাস কিন্তু অনেক বেশি হয়। ১ থেকে ১০০ কিলোমিটার এরও বেশি পর্যন্ত গ্রহানু সনাক্ত করা হয়েছে। এবং যেসব গ্রহানু আমাদের পৃথিবীর জন্য আশঙ্কাজনক সেসব গ্রহণের দিকে সবসময় নাসা কর্তিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। এখান থেকেই যদি কোন অ্যাস্ট্রোয়েড কিংবা গ্রহানু ছুটে আসে সে ক্ষেত্রে আমাদের পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। যা এখান থেকে আমাদেরকে বৃহস্পতি গ্রহ বড় ভাইয়ের মতো রক্ষা করে।
অ্যাস্টরয়েড বেল্ট উৎপত্তির বিষয়বস্তু নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করেছেন এবং তাদের মতে মঙ্গল গ্রহ এবং বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যে আরও একটি গ্রহ উৎপত্তি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বৃহস্পতি গ্রহের এতটা মধ্যাকর্ষণ এবং চৌম্বক ক্ষেত্র ছিল যার কারণে সেই গ্রহটি আর গ্রহ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারেনি। বরং সেই গ্রহের সমস্ত পাথর ধূলিকণা কিংবা বরফ টুকরো সেগুলো ছোট আকারেই থেকে গেছে। যাইহোক আজকে এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।