রজব আলীর আত্মত্যাগ (সপ্তম পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


শুধু যে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সে হাসপাতালে দিয়েই বসে ছিলো তা নয়। তার কাছে থাকা অল্প কটা টাকাও সে তাদের ওষুধ কেনার পেছনে খরচ করে। দিনশেষে রজব আলী যখন বাড়িতে ফিরে তখন তার শার্ট ভরা রক্তের দাগ। তার স্ত্রী তার এমন অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করে তোমার কি হয়েছে? তখন রজব আলী তার স্ত্রীকে এই বলে আশ্বস্ত করে আমার কিছু হয়নি। কিছু আহত ছাত্র-ছাত্রীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছি। তাদেরই রক্ত আমার গায়ে লেগে রয়েছে। তখন রজব আলীর স্ত্রী বলে তুমি তাড়াতাড়ি কাপড়চোপড় পাল্টে নাও। আমি তাড়াতাড়ি তোমার শার্ট ধুয়ে দেই। না হলে এ রক্তের দাগ আর সহজে উঠবে না।

Polish_20240813_202051127.jpg

রজব আলী কাপড়চোপড় পাল্টে মন মরা হয়ে বসে থাকে। সে চিন্তা করতে থাকে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবিতো ন্যায্য ছিলো। তাহলে কেন সরকার তাদের উপর হামলা করলো। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে রজব আলীর দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। সে চিন্তা করতে থাকে এতোটুকু ছেলেমেয়েরা দেশের মানুষের জন্য কতো কষ্ট করছে। বুকে গুলি পর্যন্ত খেয়েছে। আর আমি তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। রজব আলী নিজের অক্ষমতার কথা চিন্তা করে কাঁদতে থাকে। তার স্ত্রী দেখে তার চোখে অশ্রু। রজব আলীর স্ত্রী তখন তাকে জিজ্ঞেস করে কি ব্যাপার তুমি কাঁদছো কেনো?

তখন রজব আলী তার দেখা সমস্ত কথা তার স্ত্রীকে খুলে বলে। শুনে তার স্ত্রীর মনটাও কেঁদে ওঠে। সেদিন রাতে ঘুমানোর আগে রজব আলি মনস্থির করে। যতোদিন এই আন্দোলন চলবে ততদিন তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবেন। যতটুকু সম্ভব তিনি তার পক্ষ থেকে করার চেষ্টা করবেন। পরদিন সকাল থেকে রজব আলী কিছুক্ষণের জন্য রিক্সা চালিয়ে। তারপর ছেলেমেয়েদেরকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করতে লাগলেন। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Sort:  
 4 days ago 

রজব আলীর মন-মানসিকতা খুবই ভালো। কারণ সে যেভাবে ছাত্র ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, এটা সত্যিই বেশ প্রশংসনীয়। রজব আলীর মতো এমন মন-মানসিকতা যদি সবার থাকতো,তাহলে আমাদের দেশের চিত্রটা একেবারে পাল্টে যেতো। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।