আকাশের স্বপ্ন পূরণ ( নবম পর্ব)
আকাশ স্যালারির ঘরের সংখ্যাগুলো ভালোমতো বুঝে উঠতে পারে না। অনেকক্ষণ পরে সে বুঝতে পারে তার স্যালারি ধরা হয়েছে দেড় লাখ টাকা। সেই সাথে একটা ব্যক্তিগত গাড়ি এবং থাকার জন্য ফ্ল্যাটের ব্যবস্থাও করে দেবে কোম্পানি। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারের দিকে তাকিয়ে আকাশের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়তে লাগলো। আকাশ ম্যানেজার সাহেবকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেলেন এমডি সাহেবের রুমে। সেখানে গিয়ে নক করতেই তিনি আকাশকে রুমে ঢুকতে বললেন। আকাশ রুমে ঢুকে সরাসরি তার কাছে গিয়ে তার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো।
লোকটা দেখতে পেলো আকাশের চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। তিনি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আকাশকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। তিনি বললেন সেদিন রাত থেকে আমার একটা না দুটো সন্তান হয়ে গিয়েছে। এখন থেকে তুমিও আমার সন্তান। তোমার জীবনের সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর করে দেয়ার দায়িত্ব এখন থেকে আমার। তিনি আকাশকে বললেন খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করবে। যাতে সবাই বুঝতে পারে আমার পছন্দ সঠিক ছিলো। আকাশ তার কাছে ওয়াদা করে সে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ভালোভাবে কাজ করার। এই কথা বলে আকাশ অফিস থেকে বের হয়ে আসে। অফিস থেকে বের হয়ে আকাশ প্রথমে তার বাবা-মার কাছে ফোন দেয়। আকাশের বাবার কাছে মোবাইল না থাকায় আকাশ তার পাশের বাড়িতে ফোন দিয়ে তার বাবাকে চাই। কিছুক্ষণ পর তার বাবা লাইনে এলে আকাশ তাকে সবকিছু খুলে বলে। খুশিতে আকাশের বাবা-মা অস্থির হয়ে যায়। আকাশ তখন তাদেরকে জানায় ফ্ল্যাটটা বুঝে পেলেই তোমাদেরকে শহরে নিয়ে আসবো। এখন থেকে আমরা সবাই শহরেই থাকবো। আমাদের দুঃখের দিন শেষ হয়েছে বাবা। এই কথা বলে আকাশ ফোনটা কেটে দিয়ে গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে তার মেসের দিকে ফিরতে থাকে। (সমাপ্ত)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।